Madhubani Goswami Social Media Post: একটা সময় বাংলা মেগার দর্শকের অত্যন্ত পছন্দের ধারাবাহিক ছিল 'ভালবাসা ডট কম'। রাজা-মধুবনী জুটির অন স্ক্রিন কেমেস্ট্রি আজও ভোলেনি দর্শক। অভিনেতা রাজা গোস্বামী অভিনয় জগতের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন মধুবনী। এই ধারাবাহিকের সেটেই প্রেমের সূত্রপাত। বিয়ের বন্ধনে বাঁধা পড়েন তাঁরা। সুখের সংসারে রয়েছে তাঁদের একমাত্র পুত্র সন্তানও। স্যালোঁ আর সংসার দুটি একসঙ্গেই সামলান মধুবনী। ইউটিউব চ্যানেলে সুখী গৃহকোণের নানা মুহূর্ত শেয়ার করেন। এছাড়াও নিয়মিত নিত্য নতুন ভিডিও আপলোড করেন মধুবনী। অনুরাগীরা তাঁর নিয়মিত আপডেট পেয়ে খুশি। অনেকে আবার সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁকে ট্রোলও করে। যদিও তার মোক্ষম জবাবটাও দেন মধুবনী। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিনেত্রীর লেটেস্ট পোস্ট একটু অন্যরকমই বটে।
অনেকেই বিয়ে সুসম্পন্ন হতেই শাঁখা-পলা তুলে রাখে আলমারিতে কেউ আবার নিয়ম মেনে এক বছর পরে কেউ তো বিশেষ অনুষ্ঠান বিজয়া দশমী ছাড়া পরেই না। মধুবনীর পোস্ট সেই শাঁখা-পলা কেন্দ্রিক। মোটা শাঁখা-পলা লেটেস্ট ফ্যাশন। যে কোনও পোশাকের সঙ্গেই মধুবনী শাঁখা-পলা পরেন। সেটা কী শুধুই ভাল লাগা নাকি স্বামীর মঙ্গল কামনায়? পোস্টে তারই ব্যখা করেছেন অভিনেত্রী মধুবনী গোস্বামী। তাঁর কথায়, মোটা মোটা শাঁখা পলা পরার চল আমি নিয়ে এসেছি, বললেই চলে। ২০১৬ তে যখন বিয়ে হয়, তখন মোটা শাঁখা পরেই বিয়ে করেছিলাম। তারপর দেখেছিলাম, অনেকেই মোটা শাঁখা পরছে। দেখে খুব ভাল লেগেছিল। শাঁখা পলা পরাই যেখানে উঠে গিয়েছিল, সেখানে 'স্টাইল' করার জন্য হলেও, লোকে তো অন্তত পড়ছে। অনেক পরে, যখন মোটা শাঁখার সঙ্গে মোটা পলাও পরা শুরু করলাম। তখন লোকে সেটাও ফলো করলো।'
পশ্মিমী পোশাকের সঙ্গে সত্যিই শাঁখা-পলা মানানসই? অনেকের মনেই জাগে এই প্রশ্ন। সেই উত্তরও রয়েছে অভিনেত্রীর পোস্টে। মধুবনী লিখছেন, 'আমি সব রকম আউটফিটের সঙ্গেই শাঁখা পলা পরি। আমার এখনকার এই সোনালি চুলের সঙ্গেও পরছি! অনেকে আমায় জিজ্ঞেস করেন, আমি কেন শাঁখা পলা পরি? আমি পরি আমার স্বামীর মঙ্গল কামনায়, স্বামীর শারীরিক এবং মানসিক সুস্থতা কামনায়। এটা আমার বিশ্বাস। সেই বিশ্বাসের জায়গা থেকেই আমি পরি। আর একটা কথা, আমি মনে করি শাঁখা, পলা, সিঁদুর এগুলো এমন আভূষণ, যা ইচ্ছে হলেই পরা যায় না। এর জন্য, অবশ্যই প্রাথমিকভাবে বিয়ে হওয়াটা জরুরি এবং স্বামীরউপস্থিতিটাওও অত্যাবশ্যক।'
আরও পড়ুন অনুপ কুমার ছিলেন হাসির রাজা, যখনই সেটে আসতেন জমিয়ে রাখতেন: সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়
লাস্ট বাট নট ইন লিস্ট, 'যারা কর্মসূত্রে পরতে পারেন না তাঁদেরটা অবশ্যই গ্রহণযোগ্য। কিন্তু এমনি পরি না বা দেখতে গাঁইয়া লাগে ভেবে যাঁরা পরেন না তাদের অন্তত এটুকু মাথায় রাখা উচিত যে এমন অনেকে আছেন যাঁরা এগুলো পরার সুযোগই পান না।' পোস্টের শেষে পুনশ্চ সহযোগে লিখেছেন, আমি কাউকে আমার কথা মেনে চলতে বলছিনা। সেটা আমি আশাও করি না। আমি শুধু আমার ভাবনাটা সকলের সঙ্গে শেয়ার করলাম।
আরও পড়ুন মোটা দাদাকে হারিয়ে হাঁপুস নয়নে কান্না, গানে গানে প্রিয়জনকে শ্রদ্ধা নিবেদন মধুবনীর