Anup Kumar: নাট্য মঞ্চ থেকে সিলভার স্ক্রিন, প্রায় ৬ দশকের অভিনয়-জীবন। সেই অর্থে কোনও কেতাদুরস্ত নায়ক অবশ্য ছিলেন না কিন্তু, আপামোর সিনেমাপ্রেমী বাঙালির স্মৃতিতে জীবন্ত তাঁর স্মৃতি। শুধু সিনেপ্রেমী মানুষই নয়, যাঁরা নাট্যপ্রেমী তাঁদের হৃদয় জুড়েও ছিলেন অনুপ কুমার। তাই বলা যেতেই পারে নাট্যমঞ্চ থেকে সিনেমার পর্দা, অনুপ কুমারের অভিনয়ে বুঁদ হয়ে থাকত দর্শক। সাদা-কালো জমানায় তাঁর 'রঙিন' অভিনয় আজও ভোলেনি বাঙালি। তিনি আর কেউ নন, বিশিষ্ট অভিনেতা অনুপ কুমার। শিশুশিল্পী হিসেবে অভিনয়ে হাতেখড়ি। প্রতিভায় ভর করে হয়ে উঠেছিলেন বাংলা সিনেমার একজন পুরোদস্তুর অভিনেতা। সেই অনুপ কুমারের আজ জন্মদিন। ১৯৩০ সালের ১৭ জুন তাঁর জন্ম। দীর্ঘ ফিল্মি কেরিয়ারে ঝুলিতে রয়েছে একাধিক ছবি। বেশ কিছু ছবিতে একসঙ্গে কাজ করেছেন সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায় ও অনুপ কুমার।
বাঙালি দর্শকের দরবারে তিনি কৌতুকশিল্পী হিসেবেই খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। শুটিং সেটে সহ অভিনেতা-অভিনেত্রীদের সঙ্গে হাসিঠাট্টা করতেন। সোনালি দিনের স্মৃতিচারণা করলেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলায় অতীতের কিছু মুহূর্ত শেয়ার করলেন। সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায় প্রথমেই বললেন, 'আসলে আমারও তো বয়স হয়েছে। পুঙ্খানুপুঙ্খ সব মনে রাখতে পারি না। তবে অনুপ কুমারের কিছু কথা তো অবশ্যই মনে আছে। কারণ অনুপ কুমার তো হাসির রাজা ছিলেন। ভীষণ ভাল অভিনয় করতেন। যখনই সেটে আসতেন একেবারে জমিয়ে রাখতেন। আমরা তো একসঙ্গে অনেক সিনেমা করেছি। সবসময়ই মজার কথা বলতেন। অনেক মজার গল্প শোনাতেন, ঘটনা বলতেন। সবমিলিয়ে শুটিং সেটে মজা হত। উনি ভীষণ মিশুকে ছিলেন। সকলের সঙ্গেই হাসিঠাট্টা করতেন। আমরা প্রত্যেকে সেটা উপভোগ করতাম।'
আরও পড়ুন তাঁরা কেউ বেঁচে নেই যে জন্মদিনে আমাকে পায়েস করে খাওয়াবে : সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়
বর্তমানে বড় পর্দায় সেভাবে আর সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়কে দেখা যায় না। তবে বার্ধক্যজনিত কারণে অভিনয় থেকে পুরোপুরি নিজেকে গুটিয়ে নিতেও নারাজ। সাম্প্রতিক অতীতে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস অনলাইনকে তিনি বলেছিলেন, শুটিং ফ্লোরে গেলে মন ভাল থাকে। সকলের সঙ্গে কথা বলা যায়। তাছাড়া কাজের মধ্যে নিজেকে ব্যস্ত রাখলে মন-মেজাজও ভাল থাকে। যতদিন সম্ভব কাজ চালিয়ে যাবেন। এই মুহূর্তে বাংলা ধারাবাহিক 'চিরসখা'-য় অভিনয় করছেন বাংলা সিনেমার স্বর্ণযুগের বর্ষীয়ান অভিনেত্রী সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন বাংলা সিনেমার স্বর্ণযুগে কী ভাবে সাফল্য সেলিব্রেট হত? উত্তম জমানার গল্প বললেন সাবিত্রী