কেরলের বাসিন্দা কিন্তু চাকরিসূত্রে থাকেন দুবাইয়ে। নেটফ্লিক্সে 'সেক্রেড গেমস টু' দেখে বহু দর্শক ডায়াল করছেন তাঁরই নম্বর। সব মিলিয়ে তাই উটকো ঝামেলায় পড়েছেন প্রবাসী ভারতীয়, এমনটাই জানা গিয়েছে মিস মালিনী ডট কম-এর একটি প্রতিবেদন থেকে। সম্প্রতি ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে যে ওই সিরিজের একটি এপিসোডে একটি ফোন নম্বর নজরে পড়েছে দর্শকের। ঘটনাচক্রে সেই ফোন নম্বরটি ভুয়ো নয়, আসল।
দুবাইয়ে প্রবাসী ওই ভারতীয় নাগরিককে নাকি বিভিন্ন দর্শক ফোন করে জিজ্ঞাসা করছেন, ''আপনি কি সুলেমান ইসা?'' 'সেক্রেড গেমস ২'-এর প্রথম এপিসোডেই পর্দায় একটি নম্বর দেখতে পান দর্শক, যে নম্বরটি সুলেমান ইসার নম্বর বলে দেখানো হয়। অনেকেই হয়তো নম্বরটি দেখেছেন আবার ভুলেও গিয়েছেন। কিন্তু কিছু মানুষ অতি উৎসাহে ওই নম্বরে ফোন করতে শুরু করেন।
আরও পড়ুন: তাপসীকে ‘অপয়া’ বলতেন প্রযোজকরা, সামনে এল পুরনো তথ্য
ঘটনার ভুক্তভোগী, এমিরেটস-এর একটি তেল কোম্পানিতে কর্মরত সেই প্রবাসী ভারতীয় গালফ নিউজকে বলেন, ''তিন দিন ধরে আমার ফোনে ফোন এসেই চলেছে। ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, এমিরেটস এমনকী সারা পৃথিবী থেকে ফোন আসছে। কী হচ্ছে আমি বুঝতেই পারছি না। এখন ফোন বাজছে শুনলেই আমার ভয় হচ্ছে। আমি এই নম্বরটা ছেড়ে দিতে চাই। আর এই সমস্যা নেওয়া যাচ্ছে না।''
মজার বিষয় হল সারা পৃথিবীর দর্শক যাকে ফোন করে সুলেমান ইসা-র নম্বর জানতে চেয়েছেন, তিনি জানেনই না 'সেক্রেড গেমস' আসলে কী! গালফ নিউজকে তিনি বলেন, ''সেক্রেড গেমস কি কোনও ভিডিও গেমস? আমাকে সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা অবধি কাজ করতে হয়। আমার ওসবের সময় নেই। গত এক ঘণ্টায় আমি ৫টা কল পেয়েছি, সবাই জিজ্ঞেস করছে সুলেমান ইসার নম্বর কি না!''
আরও পড়ুন: একটি গানে ৩০টি পোশাক বদলাতে হয়েছিল করিশ্মাকে
নব্বইয়ে যখন অঞ্জন দত্ত বেলা বোস গানটি গেয়েছিলেন, তখন ২৪৪-১১৩৯ নম্বরটি ডায়াল করতেন অনেকেই। ফোনের ওপারে বেলা বোসকে পেয়ে যেতেই পারেন, এই ভেবে। প্রায় তিন দশক পেরিয়ে এসেও শ্রোতা-দর্শকের মজা করার ধরনটা পাল্টায়নি। তবে এই ঘটনাটি গালফ নিউজের মাধ্যমে জানতে পেরে হয়রানির জন্য ক্ষমা চেয়েছে নেটফ্লিক্স, এমনটাই জানা গিয়েছে ওই প্রতিবেদনে।