Sharmila Tagore-Mansoor Ali: 'বাবা বাড়ি থাকবে আর মা চাকরি করবে...', শৈশবের সাতকাহন নিয়ে খোলামেলা শর্মিলা কন্যা সোহা

Mansoor Ali Khan Pataudi: সোহা আলি খান এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, মা চাকরি করবেন আর বাবা বাড়িতে থাকবেন এটা তাঁর কাছে খুব একটা অস্বাভাবিক কিছু নয়।

Mansoor Ali Khan Pataudi: সোহা আলি খান এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, মা চাকরি করবেন আর বাবা বাড়িতে থাকবেন এটা তাঁর কাছে খুব একটা অস্বাভাবিক কিছু নয়।

author-image
IE Bangla Entertainment Desk
New Update
cats

সোহার শৈশব

Sharmila Tagore: বলিউডে বেশ কিছু ছবিতে কাজ করলেও এখন অভিনয় থেকে নিজেকে একপ্রকার দূরে রেখেছেন। তিনি পতৌদি নন্দিনী সোহা আলি খান। Hauterrfly-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শৈশবের কাহিনি শেয়ার করলেন অভিনেত্রী। মা-বাবার জীবনযাপন নিয়ে খোলামেলা কথা বললেন সোহা। মা কাজ করবেন আর বাবা বাড়িতে থাকবেন এই সমীকরণটা আজও সমাজের চোখে বড়ই অদ্ভুত। কিন্তু, সোহার কাছে এটা ছিল খুবই স্বাভাবিক। তাঁর কথায়, মাকে অনেক মিস করতেন, কিন্তু বাবার সঙ্গে সময় কাটাতে খুশি থাকতেন। 

Advertisment

শর্মিলা কন্যা সোহার স্পষ্ট স্বীকারোক্তি, 'আমাদের কাছে এটা খুবই স্বাভাবিক ছিল। অন্য কারও শৈশবের সঙ্গে আমারটা তুলনা করা যায় না। অবশ্যই আমার বাবা ছিলেন পেশাদার খেলোয়ার। তিনি বহু বছর খেলেছেন। প্রায় ১০ বছর ভারতের অধিনায়ক ছিলেন, তারপর অবসর নিয়েছেন। আমি জন্ম বাবার অবসরগ্রহণের পর। আমার কাছে তিনি সবসময়ই ছিলেন একজন 'স্টে-অ্যাট-হোম' বাবা। তিনি স্পোটর্সম্যান ম্যাগাজিনের সম্পাদকও ছিলেন। রাজপরিবারের সন্তান হওয়ার দরুণ কোনও চাকরি বা মাসিক আয় ছিল না।'

Advertisment

সোহা আরও বলেন, 'অনেকে বাবাকে জিজ্ঞেস করতেন, আপনি কী করেন? আর বাবা বলতেন, আমি প্রিন্স। ওরা আবার জিজ্ঞেস করত, কিন্তু করেন কী? আর উনি একই উত্তর দিতেন, আমি প্রিন্স। তাই তিনি বাড়িতেই থাকতেন। আম্মা বাইরে কাজে যেতেন। ছোটবেলায় একবার মা তিন মাসের জন্য Mississippi Masala ছবির শুটিংয়ে আমেরিকায় গিয়েছিলেন। সেটি মীরা নায়ার পরিচালনা করেছিলেন, আর ছবিতে ডেনজেল ওয়াশিংটনও ছিলেন। আমি তখন মাকে ভীষণ মিস করতাম।'

আরও পড়ুন সুখী দাম্পত্যের জন্য মেয়েকে কী মন্ত্র দিয়েছিলেন তারকা মম শর্মিলা? ফাঁস করলেন সোহা

তিনি জানান, তখন মাকে চিঠি লিখতেন। কিন্তু আমেরিকায় চিঠি পাঠানো ব্যয়বহুল হওয়ায় তাঁকে সপ্তাহে মাত্র একটি চিঠি লিখতে দেওয়া হতো। স্মৃতিচারণ করে বলেন, ' আমার মনে আছে, আব্বা আমাকে বলতেন, সপ্তাহে একটাই চিঠি পাঠানো হবে। আমি প্রতিদিন আমেরিকায় চিঠি পাঠাব না। আমি হয়তো প্রিন্স, কিন্তু এটা খুবই ব্যায়বহুল।' বাবার বাড়ি থাকা নিয়ে সোহা কখনও হীনমন্যতায় ভুগেছেন? 

উত্তরে অভিনেত্রী বলেন, 'না, কারণ তিনি ছিলেন টাইগার পতৌদি। সবাই তাঁকে চিনতেন আর ভালবাসতেন। আজও আমি অনেক মানুষের সঙ্গে দেখা করি যাঁরা বলেন যে তাঁরা আমার বাবাকে খেলতে দেখেছেন। এটা সকলের কাছে বোধগম্য ছিল যে তিনি ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত এক কিংবদন্তি, যিনি দেশের জন্য অনেক কিছু করেছেন। আমি তাঁর মেয়ে হয়ে ভীষণ গর্বিত।'

আরও পড়ুন ইসলাম ধর্মে বিয়ে করে কেরিয়ার নষ্ট করে ফেলেছিলেন শর্মিলা ঠাকুর'? সত্যি ফাঁস করলেন সোহা

Sharmila Tagore soha ali khan