Sharmila Tagore-Soha Ali Khan: শর্মিলা ঠাকুর, তাঁর প্রজন্মের অন্যতম সেরা অভিনেত্রীদের মধ্যে ছিলেন অন্যতম। রিল টু রিয়েল, তাঁর জীবন অনুপ্রাণিত করে ভক্তদের। পর্দায় যেমন দাপুটে অভিনয় তেমনই আবার ব্যক্তিগতজীবনে সাহসী পদক্ষেপও গ্রহণ করেছিলেন। সেই জমানায় পতৌদি নবাব মনসুর আলি খানের সঙ্গে বৈবাহিকবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন। আজও পছন্দের চরিত্র পেলে অভিনয়ের সুযোগ হাতছাড়া করেন না। লম্বা বিরতি কাটিয়ে চলতি বছরে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের প্রযোজনায় 'পুরাতন'-এ অভিনয় করেছেন। অথচ এই শর্মিলা ঠাকুরকেই একটা সময় শুনতে হয়েছিল কেরিয়ারের মধ্যগগনে বিয়ে, সন্তান নেওয়ার সিদ্ধান্ত মোটেই সঠিক নয়। তবে কর্মজীবন আর ব্যক্তিগতজীবন দাড়িপাল্লায় ব্যালেন্স করে চলতেন শর্মিলা। যে মন্ত্রে সংসারকে সুন্দর করে গুছিয়েছিলেন সেই মন্ত্রই মেয়ে সোহা আলি খানকে বিয়ের সময় দিয়েছিলেন তারকা মম শর্মিলা ঠাকুর।
হলিউড রিপোর্টার ইন্ডিয়াকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সোহা বলেন, 'একজন মহিলাকে সবসময় পুরুষের মন বুঝে চলা উচিত। আর ঠিক সেভাবেই একজন পুরুষেরও মহিলার আবেগকে প্রাধান্য দেওয়া দরকার। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে এইটুকু বোঝাপড়া থাকলেই সম্পর্ক সফল হয়। একইসঙ্গে দাম্পত্য হয় দীর্ঘস্থায়ী। আজকের দিনে অনেকেই মনে করে পুরুষ মানুষেরও আবেগ থাকে আর মহিলাদেরও ইগো থাকে। তবে আমার জীবনে মায়ের পরামর্শ কার্যকরী হয়েছে। আমার মনে হয় সম্পর্ক দীর্ঘদিন টিকিয়ে রাখা একটা বিরাট চ্যালেঞ্জ। আরল সেই জন্য জীবনে বন্ধুর প্রয়োজন। সবকিছু স্বামীর সঙ্গে আলোচনা করলে বা দায়িত্ব চাপিয়ে দিলে তাঁরও চাপবৃদ্ধি হয়।'
আরও পড়ুন 'আমি আর সিমিই শুধু বেঁচে আছি', কানে 'অরণ্যের দিনরাত্রি'-র প্রিমিয়ারে সোনালি স্মৃতি উসকে নস্ট্যালজিক শর্মিলা
সোহা সেই সাক্ষাৎকারে আরও বলেছিলেন, ছোটবেলায় সইফকে সেভাবে সময় দিতে পারতেন না। সেই জন্য ছোট্ট সইফের রাগও হত। সেই প্রসঙ্গে বলেছেন, 'অমেক সময়ই মা আমার ভাইয়ের থেকে একটানা অনেক সপ্তাহ দূরে থাকতেন। কিন্তু, বাড়ি ফেরার পর যখন রাতে একসঙ্গে গুমাতে চাইতেন তখন ও বলত তোমাকে প্রয়োজন নেই। আসলে ওঁর রাগ হত। সইফ ওঁর ন্যানির সঙ্গে ভালই থাকত। তখন আবার মায়ের মনে হত, কেন আমি তাড়াহুড়ো করে বাড়ি এলাম। সন্তানের রাগ ভাঙানোর সমাধান খুঁজতে মা-ও মরিয়া। ছোটবেলার এইদিনগুলোর কথা মনে আছে।'
আরও পড়ুন ইসলাম ধর্মে বিয়ে করে কেরিয়ার নষ্ট করে ফেলেছিলেন শর্মিলা ঠাকুর'? সত্যি ফাঁস করলেন সোহা