Vindu Dara Singh-Mukul Dev: ২৩ মে শুক্রবার, দিল্লিতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন জনপ্রিয় অভিনেতা মুকুল দেব। তাঁর আকস্মিক মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ টিনসেল টাউন। অভিনয় জগতে যথেষ্ট খ্যাতি অর্জন করেছিলেন মুকুল। ছোট পর্দা থেকে বড় পর্দা সর্বত্রই তাঁর অভিনয় প্রশংসিত হয়েছে। মুকুল দেবের মৃত্যুর খবরে স্তম্ভিত বিনোদুনিয়া। হিন্দি থেকে বাংলা, পঞ্জাবি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি গভীর শোকপ্রকাশ করেছে। মাত্র ৫৪ বছরে মুকুলের এই মৃত্যু যেন কেউ মেনে নিতে পারছে না। মিডিয়া রিপোর্ট মোতাবেক, বিগত বেশ কয়েকদিন অসুস্থ ছিলেন অভিনেতা। শুক্রবার রাতে শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। সন অফ সর্দার-এ মুকুলের সহ অভিনেতা বিন্দু ETimes-কে জানিয়েছেন, তিনি একাকীত্বে ভুগছিলেন। শরীরে কোনও রোগ ছিল না। মানসিক অবসাদ এতটাই গ্রাস করেছিল যে গুটখা পর্যন্ত খেতেন মুকুল।
অভিনেতা বিন্দুর বক্তব্য অনুযায়ী, 'আমারল তো মনে হয় না ওঁর শরীরে কোনও রোগ ছিল। তবে নিয়মিত মদ্যপানের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েছিলেন। গুটখাও খেতেন। শরীরের ওজন অতিরিক্ত বেড়ে গিয়েছিল। একাকীত্বের সঙ্গে লড়াই করে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন। ওঁর মেয়েও বাবার সঙ্গে থাকতেন না। সন অফ সর্দার ২ দিয়ে বলিউডে কামব্যাক করেছিলেন। শুটিও শেষ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু, দেখে যেতে পারলেন না, সেটাই দুঃখের। ওঁর মৃত্যুর খবর অত্যন্ত বেদনাদায়ক।' তিনি জানান, মুকুল দেব আট থেকে দশ দিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। শারীরিক অবস্থার ক্রমশ অবনতি ঘটে। অবশেষে শুক্রবার রাতে না ফেরার দেশে চলে যান। বিন্দুর পরিবারের সঙ্গে খুবই ঘনিষ্ঠ ছিলেন মুকুল।
আরও পড়ুন 'বাংলা বলতে অসুবিধা হত তবে...', মুকুলের অকাল মৃত্যুতে স্মৃতিচারণায় বাঙালি পরিচালক রাজা চন্দ
আরও যোগ করেন, 'সন অফ সর্দার ২-এ খুব সুন্দর কাজ করেছেন। আমি ওঁর টিটো আর ও আমার টনি। সিনেমা রিলিজের পর ওঁর অভিনয় নিঃসন্দেহে দর্শকের মুখে হাসি ফোটাবে। কিন্তু, দুঃখের বিষয় নিজের সাফল্যটা দেখে যেতে পারলেন না।' প্রসঙ্গত, বিন্দু যখন সংবাদমাধ্যমকে জানাচ্ছেন মুকুলের মেয়ে তাঁর সঙ্গে থাকতেন না তখন প্রয়াত অভিনেতার দাদা রাহুল দেব সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টে লিখছেন সিয়া দেব তাঁর বাবার সঙ্গেই থাকতেন। বলাবাহুল্য, মুকুলের আকস্মিক মৃত্যুতে বেশ কিছু প্রশ্ন উঠে আসছে।
আরও পড়ুন কী কারণে মুকুলের মৃত্যু? প্রশ্ন উঠতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় আবেগপ্রবণ পোস্ট অভিনেতার দাদা রাহুলের! শেষকৃত্য কখন?