Nilanjanaa Social Media Post: যিশু সেনগুপ্ত ও নীলাঞ্জনা ইন্ডাস্ট্রির পাওয়ার কাপল হিসেবেই সকলের কাছে পরিচিত ছিলেন। তাঁদের সম্পর্কে কখনও চিড় ধরতে পারে বা বিচ্ছেদের পথে হাঁটবেন এটা কেউ ভাবতে পারেননি। তাই যিশু-নীলাঞ্জনার বিচ্ছেদের খবর সকলকে চমকে দিয়েছে। সম্পর্কের ভাঙা কাচ জোড়া লাগানোর অনেক চেষ্টা করেছেন শুভাকাঙ্খীরা।
কিন্তু, কোনও সুরাহা হয়নি। দুই সন্তানের বাবা যিশুর সঙ্গে নাম জড়িয়েছে তাঁর আপ্তসহায়কের। যদিও এই প্রসঙ্গে মুখে কুলুপ অভিনেতার। সোশ্যাল মিডিয়ায় নীলাঞ্জনা সেনগুপ্ত পদবিও সরিয়ে দিয়েছেন। প্রকাশ্যে কেউই কাদা ছোড়াছুঁড়ি করেননি যিশু বা নীলাঞ্জনা। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় যিশুকে খোঁচা মেরে প্রায়ই পোস্ট শেয়ার করেন নীলাঞ্জনা। খাদান ঝড় তখন যিশুকে প্রতারক বলে বিঁধলেন নীলাঞ্জনা।
ইনস্টা স্টোরিতে বেশ রয়েকরটি পোস্ট করেছেন নীলাঞ্জনা। যার অর্থ, 'একটি সম্পর্কে থাকাকালীন অন্য সম্পর্কে লিপ্ত হওয়া বিপরীতে থাকা মানুষটির কাছে অত্যন্ত অপমানজনক। প্রসঙ্গত, চিটিং ক্যাপশনে শেয়ার করা নীলাঞ্জনার পোস্টে লেখা, একজনের সঙ্গে সম্পর্কে থাকাকালীন তৃতীয় ব্যক্তির সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোকে প্রতারণা করা বলে। এটা খুবই অসম্মানজনক। অপরদিকের মানুষ সেটা কখনও মেনে নিতে পারে না। যদি তুমি সম্পর্কে খুশি না হও তাহলে সেটাকে আগে শেষ কর। তারপর নতুন সম্পর্কে জড়াও।' খাদানের সাফল্যে যখন মাতোয়ারা যিশু, সেলিব্রেশন মুডে রয়েছেন তখনই খোঁচা মেরে পোস্ট নীলাঞ্জনার।
/indian-express-bangla/media/post_attachments/16426c01-906.jpg)
ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে এই ধরনের ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্টই করলেন নীলাঞ্জনা। দুই মেয়েকে কোলে নেওয়া একটি ছবি পোস্ট করেছেন নীলাঞ্জনা। সেখানে নিজেকে 'নিনি-চিনিস মাম্মা' বলে পরিচয় দিয়েছেন। দুই মেয়ের ছোটবেলার ছবি পোস্ট করে অভিমানী সুরে লিখেছেন, 'একটা বাচ্চা সবসময় মনে রাখে কে তার সঙ্গে ছিল। বাচ্চাদের শুধু দামি জিনিস, ঐশ্বর্য, প্রাচুর্যে ভরিয়ে দিলেই হয় না। তাদের সঙ্গে সময় কাটানোটাই বাচ্চাদের প্রাথমিক চাহিদা। ছোটরা ভালবাসা বোঝে। টাকার মূল্য বোঝে না।'
আরও পড়ুন: 'টাকা দিয়ে সব হয় না...', দুই সন্তানকে কোলে নিয়ে যিশুকে 'টার্গেট' নীলাঞ্জনার?
ঘরে-বাইরে একাই সামলাচ্ছেন সেই ইঙ্গিত তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টেই বারবার স্পষ্ট হয়ে ওঠে। নীলঞ্জনার চলার পথে তাঁর সারথী দুই মেয়ে সারা ও জারা। বেশ কয়েকদিন আগে নীলাঞ্জনা আরও একটি পোস্ট শেয়ার করেছিলেন। যার বাংলা তর্জমা করেল হয়, 'কেউ ২১ বছরে স্নাতক হয় কিন্তু, ভাল চাকরির জন্য ১০ বছর অপেক্ষা করতে হয়। কারও আবার পেটে বিদ্যা নেই কিন্তু ২৫ বছরেই হয়ে যায় কোটিপতি। অনেকে আবার ২৫ বছরে বিয়ে করে পাঁচ বছর পরই ডিভোর্স দেয়। কিন্তু, ৪০ বছরে বিয়ে করে বাকি জীবন আদরে-সোহাগে কাটানো মানুষও আছে। একটা জিনিস মনে রাখতে হবে তোমার দেরি হয়নি বা সময়ের আগেও কিছু হয়নি। শুধু বুঝতে হবে তুমি যেখানে আছ সেখানেই থাকার কথা ছিল'।