পুজো মণ্ডপের নো এন্ট্রি জোনে ঢুকে মহাষ্টমীর সকালে অঞ্জলি দেওয়ায় আদালত অবমাননার কোপে তৃণমূল সাংসদ তথা অভিনেত্রী নুসরত জাহান (Nusrat Jahan) ও নিখিল জৈন এবং সৃজিত মুখোপাধ্যায় (Srijit Mukherjee) ও তাঁর স্ত্রী মিথিলা। যার জেরে আইনি নোটিস নুসরত-সৃজিতদের। অন্যদিকে আরেক সাংসদ মহূয়া মৈত্রকেও মণ্ডপে ঢুকে অঞ্জলি দেওয়ার কারণে আইনি দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।
চলতি করোনা আবহে অতিরিক্ত সতর্কতার জন্য রাজ্যের প্রতিটি পুজোর মণ্ডপে 'নো এন্ট্রি জোন' করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট। তবে উচ্চ আদালতের নিষেদ্ধাজ্ঞাকে উপেক্ষা করেই অষ্টমীর দিন সুরুচি সংঘে অঞ্জলি দিতে যান টলিউড পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়, স্ত্রী রফিয়াৎ রশিদ মিথিলা এবং তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহান ও তাঁর স্বামী নিখিল জৈন। যার জেরেই এবার আইনি বিপাকে নুসরত-সৃজিতরা। সূত্রের খবর, নোটিস গিয়েছে রাজ্য পুলিশের ডিজির কাছেও।
মামলাকারীর আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় সাফ জানিয়ে দিয়েছেন যে, শুধু টলিউড তারকারাই নন, যে বা যাঁরা হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে মহাষ্টমীর সকালে মণ্ডপে ঢুকে অঞ্জলি দিয়েছেন, তাঁদের সকলের বিরুদ্ধেই আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। স্বাভাবিকভাবেই, এমন অতিমারী পরিস্থিতিতে জনপ্রতিনিধিদের দায়িত্বটা আরও বেশি বেড়ে যাওয়ার কথা। তবে কেন নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পুজো প্যান্ডেলে অঞ্জলি দিতে গিয়েছিলেন নুসরত-সৃজিতরা? উঠছে সেই প্রশ্নও।'
আরও পড়ুন: দীপিকার ম্যানেজারের বাড়ি থেকে উদ্ধার মাদক, দরজায় আইনি নোটিস ঝোলাল NCB
প্রসঙ্গত, কলকাতা হাইকোর্ট সাফ নির্দেশ দিয়েছিল যে, মণ্ডপ বা নো এন্ট্রি জোনে পুজো উদ্যোক্তা, পুরোহিত ও ঢাকিরা ছাড়া কেউ প্রবেশ করতে পারবেন না। উপরন্তু পুজো উদ্যোক্তাদের প্রবেশের ক্ষেত্রেও বেঁধে দেওয়া হয়েছিল সংখ্যা। বড় পুজোর ক্ষেত্রে একসঙ্গে ৪৫ জন এবং ছোট পুজোর ক্ষেত্রে ১৫ জন প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। এক্ষেত্রে উল্লেখ্য, নুসরত জাহান এবং সৃজিত মুখোপাধ্যায়, দু'জনেই কিন্তু মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের পুজো সুরুচি সংঘের সদস্য। কাজেই এক্ষেত্রে এই আইনি নোটিসে আদৌ কতটা বিপাকে পড়বেন টলিউডের দুই তারকা, সেই প্রশ্নও কিন্তু থেকেই যায়।
অন্যদিকে আদালত অবমাননা প্রসঙ্গে কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়ার (Mohua Moitra) মন্তব্য, নদিয়ার করিমপুরে তাঁর বাড়ি। সেই বাড়িরই একেবারে লাগোয়া একটি মণ্ডপ রয়েছে, সেখানেই সপ্তমীর দিন অঞ্জলি দিয়েছেন। তাও তখন সেখানে পুরোহিত ছাড়া আর কেউই বিশেষ ছিলেন না। বাকি কোথাও তিনি অঞ্জলি দেননি। কয়েকটি মণ্ডপে গিয়েছিলেন ঠিকই। তবে সেগুলি সবই বাড়ির পুজো, বারোয়ারি নয়। প্যান্ডেলের বাইরেই ছিলেন। অর্থাৎ , বহিরাগত দর্শক হিসেবে তিনি কোথাও যাননি। তবে আইনি নোটিস নিয়ে কোনও কথা তিনি বলেননি।