Actor cheated With Wife and left her while she was pregnant: পদ্মশ্রী ও জাতীয় পুরস্কার জয়ী বলিউডের বিশিষ্ট অভিনেতা ওম পুরী। প্রয়াত অভিনেতা ওমের দাপুটে অভিনয় আজও ভোলেনি দর্শক। ভারতীয় সিনেমায় তাঁর উল্লেখযোগ্য অবদানের কথা অনস্বীকার্য। কিন্তু, ব্যক্তিগত জীবনে তাঁর রূঢ় ব্যবহার নিয়ে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে মুখ খুলেছেন প্রথম স্ত্রী সীমা কাপুর। অন্তঃসত্ত্বাকালীন অবস্থায় কী ভাবে অন্য মহিলার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন, তাঁর সঙ্গে দ্বিচারিতা করেছিলেন অতীতের তিক্ত বৈবাহিক সম্পর্ক নিয়ে সিদ্ধার্থ কাননের পডকাস্টে মুখ খুললেন সীমা কাপুর। প্রয়াত অভিনেতা ওম পুরী সন্তানের জন্মগ্রহণের সময় আপ্তসহায়ক মারফৎ মাত্র ২৫ হাজার টাকা পাঠিয়েছিলেন। যদিও সেই অনুদান গ্রহণ করেননি ওম পুরীর প্রথম স্ত্রী সীমা কাপুর। প্রেগন্যান্সির সময় একটি শুটিং করতে গিয়ে নন্দিতা নামক এক সাংবাদিকের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান। পরে তাঁর সঙ্গে বৈবাহিক বন্ধনে আবদ্ধ হন।
সিদ্ধার্থ কাননকে তিনি বলেন, 'আমাদের সুখী দাম্পত্যে চিড় ধরেছিল যখন হলিউডে কাজ করেত গিয়েছিলেন। আমার খুব ভাল বন্ধু রেণু সলুজা যিনি বিধু বিনোদ চোপড়ার প্রথম স্ত্রী বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক সম্বন্ধে অবগত ছিলেন। রেণু, সুধীর মিশ্রা সহ আরও অনেকে বিষয়টা স্বাভাবিক করার চেষ্টা করেছিলেন। ওঁরা ভেবেছিলেন শুটিং থেকে ফিরলেই আবার সব আগের মতো হয়ে যাবে। আমি বিষয়টা অনেক পরে জেনেছি। যখন আমি দিল্লিতে ছিলাম তখন আমাকে ফোন করে বলেছিলেন আমি অন্য একজনের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পরেছি। আমার বন্ধুরা ওটাকে মজা ভেবেছিল।' কিন্তু, সীমা বুঝেছিলেন ওম পুরীর ওই কথাটার মধ্যে কোনও মজা ছিল না।
সীমার সংযোজন, 'আমি মুম্বই ফিরে আসি। তখন সবটাই মোটামুটি স্বাভাবিক ছিল। আমি ডিভোর্স দেওয়ার বিপক্ষে ছিলাম। যখন শুটিংয়ের জন্য আবার বাইরে যাচ্ছিল তখন কর্মচারীরা জিনিসপত্র গোছাচ্ছিলেন। তখন আমার নজর পড়ে প্রেমপত্রে। ওগুলো দেখে আমি নিজেকে সামলাতে পারিনি। বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের কথা জেনেও বিচ্ছেদ চাইনি। কারণ আমি তখন প্রেগন্যান্ট। কিন্তু, নন্দিতা নিরাপত্তহানীতায় ভুগতেন। আমার সামনেই ওকে ডেকে নিয়ে যেতেন। পরিস্থিতি ধীরে ধীরে অসহনীয় হয়ে ওঠে। পুরী সাব অতিরিক্ত মদ্যপানে আসক্ত হয়ে পড়েন। নন্দিতাও ঝামেলা করতেন। একদিন রাতে বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে এলাম। তখন আমি তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা।'
আরও পড়ুন: 'শরীর দেখালেই দর্শক বেশি হবে', বলিউডের 'নোংরা' ভাবনায় বিরক্ত স্মিতা পাটিল, ভাইরাল ভিডিও দেখলে তাজ্জব বনে যাবেন
এই ঘটনায় প্রচণ্ড রেগে গিয়েছিলেন সীমা কাপুরের ভাই অনু কাপুর। ওম পুরীকে উপযুক্ত শান্তি দিতে চেয়েছিলেন। খোরপোশ বাবদ ছলাখ টাকা পেয়েছিলেন সীমা। কিন্তু, সহযোগীকে দিয়ে যে ২৫ হাজার টাকা ওম পুরী অনুদান পাঠিয়েছিলেন সেটা ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। সেই সময় প্রয়াত অভিনেতার সহযোগী বলেছিলেন, 'আপনার এই অহংকারই পতনের কারণ হবে। কিন্তু, আমার কাছে সেদিন ওটা অহংকার ছিল না। ছিল আত্মমর্যাদা।' ঘটনাচক্রে মৃত্যুর আগে ওম পুরী তাঁর প্রথম স্ত্রীর কাছে ফিরে এসেছিলেন। সমস্ত কৃতকর্মের জন্য ক্ষমাও চেয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: 'পুরো শরীর কাঁপছিল-বমি করে ফেলেছিলাম', ধর্ষণ দৃশ্যে অভিনয়ের পর মারাত্মক পরিণতি দিয়ার