বনি সেনগুপ্ত। বাংলা সিনে-ইন্ডাস্ট্রির এই নাম এখন নিত্যদিন খবরের শিরোনামে। শিক্ষা নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত কুন্তল ঘোষের সঙ্গে অভিনেতার আর্থিক লেনদেনের হদিশ পেয়েই ইডির কড়া ব়্যাডারে তিনি। যার জেরে রাজ্য-রাজনীতি থেকে বিনোদুনিয়া উত্তাল! এই প্রথম বাংলার শিক্ষাদুর্নীতিতে ডাক পড়েছে টলিপাড়ার কোনও প্রথমসারির অভিনেতার। অতঃপর সেই বিষয়ে যে চর্চা হবেই, তা বলাই বাহুল্য। সেই অভিনেতার গালেই এক ঘণ্টায় ৭ থেকে ৮টা কষিয়ে চড় পড়ল একবার।
স্বাভাবিকভাবেই মাথায় উঁকি দিতে পারে এমন প্রশ্ন যে কবে, কখন, কোথায় ঘটল এই ঘটনা? তাহলে বলে দেওয়া যাক। ২০১৯ সালের ঘটনা। বনি সেনগুপ্ত তখন 'জানবাজ' সিনেমার শুটিং করছিলেন। যে ছবির পরিচালক অভিনেতার বাবা অনুপ সেনগুপ্ত। সেই সিনেমার সেটেই একবার এক ঘণ্টায় ৭-৮টা কষিয়ে চড় খেতে হয়েছিল বনিকে। কেন?
<আরও পড়ুন: এনা সাহার ‘কুন্তল-কানেকশন’! ‘ED এখনও ডাকেনি?’ ভয়ঙ্কর অভিযোগে নায়িকা বললেন..>
আসলে সিনেমায় এরকমই একটি দৃশ্য ছিল, যেখানে বনির গালে সপাটে চড় কষাতে হবে সহ-অভিনেত্রী কাঞ্চনা মৈত্রকে। চিত্রনাট্য অনুযায়ী কাঞ্চনাকে একাধিকবার বনিকে থাপ্পড় মারতে হত। তবে তিনি চাননি। তাই অভিনেতার বাবা, মানে পরিচালক অনুপ সেনগুপ্তকে কাঞ্চনা অনুরোধ করেন যে, এই দৃশ্যটা যদি একটু চিট করে করা যায়। তবে পরিচালক তো নারাজ! স্ক্রিপ্টে যা আছে, দৃশ্য যেরকম ডিমান্ড করছে, সেটাই করতে হবে। ব্যস! তারপর..
<আরও পড়ুন: ‘মা-ছেলে দুটোই ঠগবাজ’, ভয়ঙ্কর অভিযোগ! বনির মা পিয়ার বিরুদ্ধে আদালতে টলিউডের একাংশ>
পরপর কাঞ্চনা মৈত্রর কাছ থেকে সাত-আটখানা চড় খেতে হল বনিকে। তবে অভিনেতা কোনওরকম টুঁ শব্দটি করেননি। জানবাজ সিনেমার অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে গিয়ে একবার এই ঘটনার কথা শেয়ার করেছিলেন অভিনেত্রী। অতঃপর বনি সেনগুপ্তর এই চড় খাওয়ার ঘটনা আসলে এক সিনেমার শুটিংয়ে। এর সঙ্গে নিয়োগ দুর্নীতির কোনওসম্পর্ক নেই।
প্রসঙ্গত, ইডি তলবের পর থেকে বনি সেনগুপ্তকে নিয়ে যে পরিমাণ শোরগোল শুরু হয়েছে, সেই প্রেক্ষিতে আবারও পুরনো কিছু ঘটনা উত্থাপন করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল মিম। এদিকে গত লক্ষ্মীবারে সিজিও কমপ্লেক্সে ঘণ্টাখানেক তাঁকে জেরা করেও সন্তুষ্ট হননি ইডি আধিকারিকরা। আজ, মঙ্গলবার ফের বনি সেনগুপ্তকে তলব করা হয়েছে। এসবের মাঝেই নিন্দুক-সমালোচকরা অভিনেতার পুরনো সিনেমা কিংবা ছবির নাম-দৃশ্য নিয়ে মিম বানাতে ছাড়ছেন না।