Panga movie cast: কঙ্গনা রানাওয়াত, যজ্ঞ বাসিন, রিচা চড্ডা, নেহা গুপ্তা
Panga movie director: অশ্বিনী তিওয়ারি আইয়ার
Panga movie rating: ৩/৫
মহিলারা স্ত্রী এবং মা হয়ে ওঠার পরে কাজে ফিরে আসার চেষ্টা করছেন, তবে এই বিষয়টি যা বলিউড টানলেও তাতে বিন্দুমাত্র মাথা ব্যাথা ছিল না কারও। পাঙ্গার মুখ্যচরিত্র একজন প্রাক্তন কাবাডি খেলোয়াড় যার জীবনে প্রতিদিনের কাজ বাড়ির দেখভাল করা এবং চাকরি করতে যাওয়া। আর এই জয়া নিগমের চরিত্রকে নিখুঁত দৃঢ়তায় পর্দায় অবতরণ করেছেন কঙ্গনা রানাওয়াত। অতীত জীবনের স্বপ্ন দেখার সাহস দেখিয়েছেন, যখন তিনি স্পটলাইটে ছিলেন। বিষয়ভিত্তিকভাবে ছবিটা সোজাসুজি জেতার।
কিন্তু মেইনস্ট্রিম বলিউড ছবির ক্ষেত্রে জয়ার মতো চরিত্রে নজর দেওয়া কতটা কঠিন, স্বামীর কাছে সে যেভাবে নিজের কথা ব্যক্ত করছে তাতেই ধারনাটা স্পষ্ট: যখন তোমাকে নিয়ে ভাবি, আমি খুশি হই। যখন আমি আদি (ছেলে) নিয়ে চিন্তা করি, আমি খুই হই। কিন্তু যখন নিজেকে নিয়ে ভাবি, খুশি হই না। শব্দগুলো কানে এসে লাগে।
আরও পড়ুন, শহরে ফিরলেন বব বিশ্বাস, শুটিং শুরু
সেই মুহুর্ত থেকে আমরা জয়ার সমর্থনে পুরোপুরি থেকেছি, কারণ আমরা তাকে মধ্যবিত্তের টানাপোড়েনে দেখছি, কর্মরতা মায়েরা তাদের জীবনের প্রতিটি দিনই যা যা করেন: তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠা, টিফিন তৈরি করে প্যাক করা, শিশুকে স্কুলে পাঠানো, নিশ্চিত করা বাড়ির সহজে চলে এবং তাই নয়, অফিসে গিয়ে একজন নাকউঁচু বসের সঙ্গে কাজ করতে হবে। ভাল, আমাদের বলতেই হবে যে। কারণ জয়া হাসিখুশিভাবে এই সমস্তটা করেছেন, এখন সে নিজের কাজ করতে চাইলে করতেই পারে। আর আমরা এটা বলতে পারছি কারণ ছেলে (ভাসিন) এবং স্বামী (গিল) তাকে উদ্বুদ্ধ করছে।
আরও পড়ুন, Dwitiyo Purush Review: মগজে ঝিলমিল লেগে যাবে
হুমম। কিন্তু জয়ার বন্ধু এবং কাবাডির সঙ্গী মীনু (চড্ডা), যিনি এখনও খেলাধুলোতে এতটাই নিমজ্জিত, খেলা সঙ্গে এভাবেই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ যে তার কাছে যথাযথ ‘বিয়ে’ করার সময় নেই, যদি এই চরিত্রটা ‘নায়িকা’ হত? আর গৃহস্থালি সামলে-জয়া পার্শ্বচরিত্রে থাকত? কী ভয়ঙ্করই না হত, জয়া যদি তার পরিবারের থেকে যথেষ্ট পরিপূর্ণতা না পেয়ে এবং খুব আনন্দে তাদের সঙ্গে পথ না চলে আলাদা হয়ে যেত? নাহ, আমরা এখনও এই ধরণের সিনেমা থেকে অনেক দূরে আছি।
আরও পড়ুন, নির্ভয়া কাণ্ডে কঙ্গনার উক্তিতে বিরক্ত স্বস্তিকা
এতক্ষণ অবধি, আমরা যা যা কল্পনা করলাম সে সবকিছুকে পাশে সরিয়ে রেখে বলতেই হয় কঙ্গনার কথা। বলিউড কুইনের সাধারণ চেহারা, সমস্ত প্রতিকূলতার বিরপীতে দাঁড়ানোর সাহস আছে: ছবির মধ্য দিয়ে তার সঠিকটা বেরিয়ে এসেছে, বার বার দৃঢ়তার সঙ্গে তা স্পষ্ট করেছেন নায়িকা। অন্যদিকে চড্ডা, বাউন্সি পনি-টেলে তিনি যেমন মজাদার, তেমনই নীনা গুপ্ত বোকা, সরল একজন মা। দ্বিতীয়ার্ধে যে দু'জন কাবাডি খেলোয়াড়ের সঙ্গে কঙ্গনা সময় কাটিয়েছেন, দু'জনই ছাপ রেখে গেছেন।
এভাবে যদি কোনও ছবি তৈরি হয় যেখানে কোনও মহিলা তার ফেলে আসা স্বপ্ন পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করছেন তাহলে এটা আমি গ্রহণ করব। এমনকী পরিবারও সেখানে সমর্থন করবে। ছবিটি প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে যখন জয়ার মুষ্টিবদ্ধ হাত উপরদিকে ওঠে: দুরন্ত 'পাঙ্গা' নিলেন কঙ্কনা।