/indian-express-bangla/media/media_files/2025/10/15/pankaj-2025-10-15-15-56-29.jpg)
যেভাবে কর্ণ হয়ে উঠলেন তিনি...
Pankaj Dheer-Mahabharat: পঙ্কজ ধীর- নামটা শুনলেই মনে পড়ে যায়, বি. আর. চোপড়ার ধারাবাহিক মহাভারত-এর কর্ণ চরিত্রের কথা। কিন্তু খুব কম মানুষই জানেন যে, প্রথমে তাঁকে কর্ণ নয়, বরং অর্জুনের চরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। ভাগ্যের অদ্ভুত খেলায় সেই সুযোগ হাতছাড়া হলেও, শেষ পর্যন্ত কর্ণ হয়ে ওঠেন তিনি। এই চরিত্রই হয়ে ওঠে তাঁর জীবনের আসল পরিচয়।
লেহরেন রেট্রো-র এক পুরনো সাক্ষাৎকারে পঙ্কজ ধীর সেই ঘটনাটি স্মরণ করেছিলেন। তিনি জানান, তাঁর অডিশনের সময় উপস্থিত ছিলেন সংলাপ লেখক, রাহি মাসুম রাজা, ভৃঙ্গ তুপকারি সাহেব ও পণ্ডিত নরেন্দ্র শর্মা। সবাই একবাক্যে মত দেন যে পঙ্কজ, অর্জুনের ভূমিকায় একদম মানানসই। প্রস্তাবটি তিনি গ্রহণ করেন এবং চুক্তিও স্বাক্ষর করেন।
Pankaj Dheer: ফিল্মি জগতে নক্ষত্রপতন, প্রয়াত পর্দার 'মহাভারতের' কর্ণ
কিন্তু সমস্যার সূত্রপাত হয়, যখন বি. আর. চোপড়া তাঁকে বলেন, যে অর্জুনের নপুংসক রূপ, বৃহান্নালার চরিত্রে অভিনয়ের জন্য গোঁফ শেভ করতে হবে। পঙ্কজ তাতে রাজি হননি। তাঁর মতে, গোঁফ ছাড়া মুখের ভারসাম্য নষ্ট হবে এবং তাঁকে একেবারেই দেখতে ভাল লাগবে না। চোপড়া এই উত্তর শুনে রাগে ফেটে পড়েন- বলেন, “তুমি অভিনেতা না গোঁফওয়ালা মানুষ?” একথা বলেই, তাঁকে অফিস থেকে বের করে দেন।
পঙ্কজ বলেন, “ওটা আমার বড় বোকামি ছিল। আমি এরপর ছয় মাস ছোটখাটো কাজ করতাম, ডাবিং করতাম, কিন্তু ভিতরে ভিতরে হতাশ ছিলাম খুব।” তবুও ভাগ্যের নিয়মে গল্পের মোড় ঘুরে যায়। কয়েক মাস পর চোপড়া তাঁকে আবার ডেকে পাঠান। এবার কর্ণের চরিত্রের জন্য অভিনয়ের প্রস্তাব পান তিনি। পঙ্কজ মজা করে বলেন, “আমি প্রথমেই জিজ্ঞেস করেছিলাম- স্যার, এবার কি গোঁফ কাটাতে হবে না?” চোপড়া হেসে বলেন, “না।”
আর সেই মুহূর্তেই ইতিহাস সৃষ্টি হয়। কর্ণ চরিত্রে তাঁর তেজ, সংযম ও আবেগ দর্শকের মনে এমন ছাপ ফেলে যে আজও তাঁকে সেই রূপেই স্মরণ করা হয়। পঙ্কজ ধীর নিজেই বলেছিলেন, “ইতিহাসের বইয়েও কর্ণের ছবিতে আমার মুখ থাকে- এটাই আমার আসল অর্জন।”