/indian-express-bangla/media/media_files/2025/10/15/pro-2025-10-15-13-07-21.jpg)
কী কী করেছিলেন তিনি?
Prosenjit Chatterjee in Moner Manush: কথায় বলে, শতাব্দীতে একজন করে কিংবদন্তি হয়। আর বাংলা ছবির ক্ষেত্রে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় সেই মানুষটাই। দীর্ঘ এতবছর ধরে তিনি নানা ধরণের চরিত্র উপহার দিয়ে এসেছেন। তাঁর সঙ্গে সঙ্গে নিজেকে ভেঙেছেন-গড়েছেন। কিন্তু, কোনওদিন সিরিয়াস কোনও চরিত্র পেয়ে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় হেলায় নষ্ট করেছেন এমনটা হয়নি। কিন্তু, তাঁর জীবনে অন্যতম চরিত্র বোধহয় মনের মানুষের লালন।
তিনি যে লালনের ভূমিকায় অভিনয় করতে পারেন, যেন এটা ভাবতেই পারেননি। তাই তো গৌতম ঘোষকে শুরুতেই না শুনিয়েছিলেন তিনি। পরিচালকের আস্থা থাকলেও তিনি একেবারেই রাজি ছিলেন না। লালন-কে বোঝা যে একেবারেই সহজ কাজ ছিল না তাঁর কাছে। তাঁর সম্পর্ক ঠিক করে কিছুই জানতেন না, সেই ভয়েই তিনি যা যা বলেছিলেন পরিচালককে।
প্রসেনজিতের কথায়, "আমি গৌতম দা-কে বলেছিলাম, আমি ভাবতেও পারছি না, তুমি আমায় লালনের ( Lalan Fakir ) চরিত্র অফার করছ। না আমাকে ওর মতো দেখতে, না আমি তাঁকে নিয়ে কিছু জানি সেভাবে। শেষ ৩০ বছর ধরে একদম অন্য একটা জীবন যাপন করে এসেছি। এই শহরটায় বেঁচেছি। আমায় যদি লালনের চরিত্র করতে হয় জানি না। কিন্তু গৌতম দার বিশ্বাস ছিল আমার ওপর।"
কীভাবে নিজেকে তৈরি করেছিলেন তিনি?
এধরণের চরিত্র তিনি আগে করেননি। আর তাঁর জন্য প্রচুর খাটনির সঙ্গে সঙ্গে দরকার ছিল অধ্যাবসায়। ফকিরের জীবনের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার জন্যই নিজেকে একেবারেই আটকে ফেলেছিলেন তিনি। বললেন যেদিন আমি লালন ফাইনাল করলাম, সেদিনের পর থেকে আমায় আর ধরা ছোঁয়া যায়নি। আমি একদম নিজেকে আটকে দিলাম। লালনের বিষয়ে আমি ১% জানতাম না। সেখান থেকে ১০০ হয়ে আমায় লালন করতে হয়েছে। বাড়ির সবাইকে কী বলেছিলেন তিনি?
বললেন, "আমি সব ছেড়ে দিয়েছিলাম। আমার পরিবারকে ধন্যবাদ। বলেছিলাম, নয় মাস কারওর সঙ্গে যোগাযোগ নেই। নো চেক, নো বিজনেস, নো অফিস। আমার বাড়ির ওপরে ৪ তলার ছাদে একটা আখড়া বানিয়ে নিয়েছিলাম। চুল বাড়ানো তো মেকাপ। কিন্তু বাউলদের সঙ্গে থাক্মা। কারওর সঙ্গে দেখাও করতাম না। আমি সেখান থেকে লালন করেছিলাম।"