২৭ জুন আচমকা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হন শেফালি জারিওয়ালা। কাঁটা লাগা গার্লের আকস্মিক মৃত্যুর খবরে তোলপাড় হয়ে যায় টিনসেল টাউন। চোখের জল আটকাতে পারেনি অনুরাগীরা। ২৮ জুন রাতে চোখের জলে শেফালিকে বিদায় জানিয়েছেন প্রিয়জনেরা। গাড়িচালকের আসনের পাশে স্ত্রীর ছবিতে মালা পরিয়ে রেখেছিলেন পরাগ। মাথায় হাত বুলিয়ে কপালে আলতো চুমু এঁকে দিয়েছিলেন অভিনেতা স্বমী।
শেফালির অস্থি বুকে আগলে কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন পরাগ। স্ত্রীর মৃত্যুর বেশ কয়েকদিন পর অল্প সময়ের ব্যবধানেব সোশ্যাল মিডিয়ায় স্মৃতিমেদুর পোস্ট শেয়ার করেছেন। পরাগ ত্যাগী ও শেফালি জারিওয়ালা ইন্ডাস্ট্রির পাওয়ার কাপল হিসেবেই পরিচিত ছিলেন। কাঁটা লাগা গর্লের মৃত্যুর পর সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল একটি ভিডিও। যেখানে, একসঙ্গে তাঁরা বিয়ের মজার গল্প শুনিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন 'চিরদিন শুধু তোমাকেই ভালবাসব', শেফালির সঙ্গে রঙিন মুহূর্তের কোলাজে স্মৃতিমেদুর পোস্ট পরাগের
কী ভাবে বিয়ে হয়েছিল পরাগ ত্যাগী ও শেফালি জারিওয়ালার? ডেস্টিনেশন ওয়েডিংয়ের পরিকল্পনা করেও তা ভেস্তে যায়। তবে তাঁদের বিয়ে কিন্তু, রূপকথার গল্পের থেকে কোনও অংশে কম নয়। এক সাক্ষাৎকারে তারকা দম্পতি বলেছিলেন, '২০১২ -এ গোয়াতে ডেস্টিনেশন ওয়েডিংয়ের পরিকল্পনা ছিল। আমরা একসঙ্গে গোয়া গিয়ে সব দেখেও এসেছিলাম। কিন্তু, ওখানে পৌঁছতেই খবর আসে পরাগের বাবা হঠাৎ খুব অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। আমরা তড়িঘড়ি সেখান থেকে চলে আসি। এরপর আমরা বিয়েটা আগামী এক বছরের জন্য স্থগিত করা হয়। এরপর যখনই বিয়ের সিদ্ধান্ত নিচ্ছিলাম তখন আমি বা পরাগ কেউ নিজেদের কাছে ব্যস্ত হয়ে পড়ছিলাম। আবার কখনও মনে হত, বিয়ের জন্য এটা আদর্শ সময় নয়।'
আরও পড়ুন শেফালিকে ছাড়া প্রতিটি রাত...! স্ত্রীর অনুপস্থিতিতে ফাঁকা ঘরে হাহাকার তারকা স্বামী পরাগের
শেফালির সংযোজন, 'এভাবে চলতে চলতে একটা সময় আমি ভীষণ হতশ হয়ে যাই। ১২ অগাস্ট আমাদের প্রথম দেখা হয়েছিল। এর চেয়ে ভাল দিন তো আর কিছু হতে পারে না। সকালে পরাগের ফোন এল। আমাকে জিজ্ঞাসা করল বিকেল পাাঁচটার সময় কী করছ? আমি বললাম সেইরকম বিশেষ কিছু নয়। আমাকে স্নান করে চলে আসতে বলল। আমিও ওঁর কথা মতো সেটাই করলাম। পৌঁছে দেখি ওখানে বিয়ের রেজিস্টার, পরাগ বসে আছে। আমাকে বলল, বিয়ে করবে? আমি বলললাম কখন? ও বলল এখুনি। আমিও রাজি হয়ে গেলাম। যেদিন আমার বিয়ে হল সেদিন সকাল পর্যন্ত আমি নিজের বিয়ের খবর জানি না। আমার বাব-মা সেই সময় দক্ষিণ আফ্রিকায়, পরাগের পরিবার দিল্লিতে। সকলের বিয়ে নিয়ে কত পরিকল্পনা থাকে, সাত পাক ঘোরে। কিন্তু, আমাদের বিয়েটা বাচ্চাদের গল্পের মতো।'