New Update
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/04/14/xP84y0LsOWnBVnsMJsOD.jpg)
কতটা চ্যালেঞ্জের সঙ্গে রিনা ব্রাউন হয়ে উঠেছেন?
কতটা চ্যালেঞ্জের সঙ্গে রিনা ব্রাউন হয়ে উঠেছেন?
Payel Sarkar-Suchitra Sen Saptapadi: মূল ধারার বাণিজ্যিক বাংলা ছবির অত্যন্ত পরিচিত মুখ পায়েল সরকার। এখন অবশ্য ছকভাঙা চরিত্রেও অভিনয় করে দর্শকের নজর কেড়েছেন। ঋত্বিক ঘটকের স্ত্রীর চরিত্রে পায়েলের অভিনয় দাগ কেটেছে দর্শকের মনে। মুক্তির অপেক্ষায় আরও এক বাংলা ছবি 'প্রশ্ন'। আর.জি কর কান্ডের প্রেক্ষাপটেই গল্প বুনেছেন পরিচালক। সেখানে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করছেন পায়েল সরকার। ফিল্মি কেরিয়ারে 'লাক ট্রাই' করার সঙ্গে সঙ্গে অভিনয় প্রতিভার আরও একটি দিক উন্মোচিত হল।
রবিবার সন্ধ্যায় প্রথমবার রঙ্গমঞ্চে পায়েল সরকার। মহানায়িকা সুচিত্রা সেনের জুতোয় পা গলালেন। সৌজন্যে 'সপ্তপদী' নাটক। রবিবাসরীয় সন্ধ্যায় উত্তম কুমার ও সুচিত্রা সেন অভিনীত বাংলা সিনেমার স্বর্ণযুগের কালজয়ী ছবিতে রিনা ব্রাউনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন পায়েল। উত্তম কুমার অর্থাৎ কৃষ্ণেন্দুর চরিত্রে দীপ আর ছবি বিশ্বাসের জুতোয় পা গলিয়েছেন দুলাল লাহিড়ি। রিনার মায়ের ভূমিকায় মঞ্চে ছিলেন দোলন রায়। নাটকটি মঞ্চস্থ হওয়ার পর কেমন প্রতিক্রিয়া দর্শকের?
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার তরফে পায়েলকে প্রশ্ন করতেই বললেন, 'ব্যক্তিগতভাবে আমি খুব আপ্লুত। কাজটা করে খুশি হয়েছি। যাঁরা দর্শকাসনে ছিলেন তাঁদের ভাল লেগেছে প্রথম কাজ হিসেবে এটাই আমার প্রাপ্তি। রীনা ব্রাউনের চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পেয়েছি এটাই তো সেরা পাওনা। এর আগেও সুযোগ পেয়েছি। কিন্তু, আতঙ্কের জেরে সেই সুযোগ ছেড়ে দিয়েছি। কিন্তু, এবারে চরিত্রের লোভটা ছাড়তে পারিনি। ময়দানে ঝাপ দিয়ে দিয়েছি। আমার পরিচিত যাঁরা আমার সঙ্গে নাটক দেখতে গিয়েছিলেন তাঁরা প্রত্যেকেই শুরু থেকেই এক্সাইটেড ছিলেন। দেখার পরও তাঁরা আমার প্রশংসা করেছেন।'
নাটক মঞ্চস্থ করার সময় কোন বিষয়টা খেয়াল রেখেছিলেন? পায়েলের সংযোজন, 'ওই মুহূর্তটায় আমি আর কিচ্ছু ভাবিনি। একটাই কথা মাথায় ছিল, আমাকে নিজের সেরাটুকু দিতে হবে।' রঙ্গমঞ্চে পায়েল থেকে সুচিত্রা সেন হয়ে ওঠা কতটা চ্যালেঞ্জিং ছিল? অভিনেত্রী বলেন, 'যখন নাটকের মহড়া চলেছে বা মঞ্চে ছিলাম তখন আমি কিন্তু, সুচিত্রা সেন নই। আমি রিনা ব্রাউন। চরিত্রটাকে নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তোলাই আমার একমাত্র লক্ষ্য ছিল। সুচিত্রা সেনের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেই বলছি, আমি কখনও ভাবিনি সুচিত্রা সেন হয়ে উঠব। কারণ আমি জানি সেটা অসম্ভব। আমি শুধু জানতাম, চরিত্রটা ওঁর মতো করে করতে হবে।' সিনেমা না থিয়েটার কোনটা বেশি চ্যালেঞ্জিং মনে হল?
পায়েল জানান, ' সিনেমা আর থিয়েটার দুটো সম্পূর্ণ আলাদা মাধ্যম। তাই এই দুটো মাধ্যমের কোনও তুলনাই হয় না। এই দুই মাধ্যমে কোনও প্রতিযোগীতা থাকতেই পারে না। সিনেমার অভিনয়ের সঙ্গে থিয়েটারের অভিনয়ের কোনও সাদৃশ্য নেই। তবে থিয়েটার সত্যিই চ্যালেঞ্জিং। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একটা চরিত্রের মাধ্যমেই দর্শকের সামনে নিজেকে উপস্থাপন করতে হয়। সিনেমায় একটা শটের পর যে পরিবর্তনগুলো আসে সেটা নাটকে থাকে না।' আগামীতে ফের রঙ্গমঞ্চে দেখা যাবে পায়েল সরকারকে? অভিনেত্রীর বলেন, 'কখনও যদি সুযোগ আসে তখন নিশ্চয়ই ভেবে দেখব।'
আরও পড়ুন: চিতাতেই বিলীন হাসি! নববর্ষের আগেই সকলকে কাঁদিয়ে চলে গেলেন জনপ্রিয় কৌতুক অভিনেতা, শোকস্তব্ধ সিনেমহল