Saaho indulging Me Too criticize netizens: বক্স অফিসে বহু ছবির রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে প্রভাস-এর 'সাহো'। যদিও সমালোচকরা খুব একটা ভালো কথা বলছেন না ছবি নিয়ে। এরই মধ্যে ছবিতে নারীর পণ্যায়ন নিয়ে বিতর্ক জোরদার হয়েছে নেটিজেনদের মধ্যে। সোশাল মিডিয়ায় বহু দর্শক এমন অভিযোগ করেছেন যে 'মিটু'-কে প্রশ্রয় দেওয়া হয়েছে সুজিত পরিচালিত এই ছবিতে।
'সাহো'-তে প্রভাস ও শ্রদ্ধা কাপুরের পর্দার কেমিস্ট্রি যেমন প্রশংসিত হয়েছে, তেমনই অভিযোগ উঠেছে প্রভাস অভিনীত অশোক চক্রবর্তী চরিত্রটির মেয়েদের প্রতি অবমাননাকর আচরণের। এর আগে 'কবীর সিং' ও 'অর্জুন রেড্ডি' ছবিতে নারীর পণ্যায়ন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন দর্শক। এক্ষেত্রে নেটিজেনদের অভিযোগ আরও গুরুতর। এই ছবি দেখে কাজের জায়গায় 'মিটু'-জাতীয় ঘটনা আরও বাড়তে পারে, এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন অনেকে।
আরও পড়ুন: নকল করে বেশি দূর যাওয়া যাবে না: রানু প্রসঙ্গে লতা
Prabhas starrer Saaho promoting Me Too
টুইটারে নচিকেতা গুহ লেখেন, ''কাজের জায়গায় মেয়েদের যৌন হেনস্থার মতো ঘটনার অন্যতম প্রধান কারণ হল শ্রদ্ধা কাপুরের মতো অভিনেত্রীর 'সাহো'-র মতো ছবিতে অভিনয়।'' 'মিটু' হ্যাশট্যাগ দিয়েই এই টুইটটি করেন নচিকেতা। আবার এমজিউকবক্স নামের এক ইউজার লিখেছেন, ''সাহো হল কর্মক্ষেত্রে যৌন হেনস্থার একটি গাইড।''
এমন হাজারো মন্তব্য ছড়িয়ে পড়ছে সোশাল মিডিয়ায় এবং এই নিয়ে সরব হতে শুরু করেছেন নারীবাদীরা। ছবির দু'একটি সিকোয়েন্স নিয়ে প্রবল আপত্তি উঠেছে। ইন্ডিয়াগ্লিৎজ-এর একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, এক সোশাল মিডিয়া ইউজার লেখেন, ''নায়ক অশোক সিনেমার প্রথম ভাগে নায়িকা অমৃতার সৌন্দর্য নিয়ে কথা বলতে বলতে মাত্রা ছাড়িয়ে যায় এবং সেই নিয়ে নায়িকা ও তার অন্য পুরুষ সহকর্মীরা কোনও প্রতিবাদ করে না। মিটু-র যুগে কী করে এই ধরনের ব্যাপার ঘটতে পারে কাজের জায়গায়?'' চিত্রনাট্যের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন ওই ইউজার, এমনটাই লেখা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে।
আরও পড়ুন: ‘অ্যাভেঞ্জার্স’-কে হারালেও ‘বাহুবলী’-কে হারাতে পারলো না ‘সাহো’
সিনেমার প্রথম দৃশ্যে প্রভাস অভিনীত চরিত্রটি দেওয়াল বেয়ে ওঠার সময়ে দু'বার শ্রদ্ধা কাপুর অভিনীত চরিত্রকে অশালীন ভাবে স্পর্শ করে বলেও অভিযোগ উঠছে। এখনও পর্যন্ত অবশ্য এই অভিযোগগুলি নিয়ে কোনও বিবৃতি দেননি পরিচালক অথবা প্রযোজনা সংস্থা। তবে 'বাহুবলী'-র প্রথম ছবির ক্ষেত্রেও একই রকম নারীর পণ্যায়নের অভিযোগ উঠেছিল। বলা যায়, এই নিয়ে দ্বিতীয়বার প্রভাসের ব্লকবাস্টার ছবি নিয়ে প্রশ্ন তুললেন নারীবাদীরা। প্রভাস নিজে অবশ্য এই নিয়ে এখনও কোনও মন্তব্য করেননি।