রেনবো জেলি। এ সিনেমার গল্প একটি শিশুকে নিয়ে। বাবা-মা হারানো এই ছেলেটি থাকে তার মামার কাছে। সৌকর্য ঘোষাল নির্মিত ছবিটির ট্রেলার মুক্তি পেল। ছবির মুক্তি ২৫ মে।
বাংলা ভাষায় ছোটদের ছবির সংখ্যা হাতে গুনে বলা যায়। আর যাও বা ছবি রয়েছে তার প্রায়ই সবই কোনও না কোনও নামী সাহিত্যিকের কাহিনি নির্ভর। আনকোরা গল্পের উপর ভিত্তি করে খুদেদের জন্য সিনেমা করেছেন খুব কম পরিচালক। এবার সেই রাস্তাতেই হাঁটলেন পরিচালক সৌকর্য ঘোষাল। নিজের লেখা চিত্রনাট্যে ছোটদের ছবি বানিয়েছেন এই পরিচালক। মুক্তি পেল তাঁর আসন্ন সিনেমার ট্রেলার। ছবির নাম রেনবো জেলি।
Advertisment
তাঁর প্রথম ছবি পেন্ডুলামে দর্শকদের স্পেস টাইমের ইলিউশনে নিয়ে গিয়েছিলেন এই পরিচালক। তারপরের ছবি লোডশেডিংও ছোটদের নিয়ে। দু বছর পরে তিনি কাজে ফিরলেন ফুড ফ্যান্টাসির গল্প নিয়ে। এ সিনেমার গল্প একটি শিশুকে নিয়ে। বাবা-মা হারানো এই ছেলেটি থাকে তার মামার কাছে। ট্রেলার দেখেই মালুম দিচ্ছে, মামার চরিত্র অনেকটা আধুনিক হিংসুটে দৈত্যের মতো। মামার ফাই ফরমাস খেটেই সে ছেলের দিন কাটে। তবুও অত্যাচারের মাত্রা বাড়ে বই কমে না। এমন সময়ে আসেন পরীপিসি। তারপর আর কী? দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালন!
রেনবো মানে রামধনু। তাতে সাতটা রং। বেনিআসহকলা। সব রঙেরই স্বাদ আছে। এ সিনেমায় স্বাদগুলি সব রঙিন। রংগুলি সব স্বাদময়। পরিচালক নিজে বলেছেন, এ ছবি বানানোর সময়ে যে যে আইডিয়াগুলি তাঁর মধ্যে কাজ করেছে, তার মধ্যে একটি আয়ুর্বেদ থেকে পাওয়া। ওষুধকে খাবার না বানিয়ে, খাবারকে ওষুধ বানানোর আয়ুর্বেদিক আইডিয়াকে ছবিতে কাজে লাগিয়েছেন বলে দাবি করেছেন সৌকর্য।
এ ছবি উৎসর্গ করা হয়েছে লীলা মজুমদারকে। সৌকর্য বলেছেন, ‘‘লীলা মজুমদার ও সত্যজিৎ রায়ই আমার এই চিত্রনাট্য লেখার শক্তি। ছোটবেলায় পড়া সন্দেশে ওঁদের লেখা আত্মার অন্দরে ঢুকে গেছে। শহুরে রূপকথার মধ্যে দিয়ে যে ভাবে ওঁরা আমাদের মধ্যে মূল্যবোধ চারিয়ে দিয়েছেন, তেমনভাবেই আমিও চেষ্টা করলাম।’’
ছবিতে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছে মহাব্রত। এটিই তার প্রথম ছবি। এ ছাড়াও রেনবো জেলি ছবিতে দেখা যাবে কৌশিক সেন, শান্তিলাল মুখোপাধ্যায়, শ্রীলেখা মিত্রকে। ছবিতে একটি গান গেয়েছেন মৌসুমী ভৌমিক। আগামী ২৫ মে মুক্তি পেতে চলেছে রেনবো জেলি।