মুম্বইয়ের দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যেই অন্যতম চেম্বুরের আর কে স্টুডিও। বলিউডের কিংবদন্তি অভিনেতা রাজ কাপুর ১৯৪৮ সালে এই স্টুডিওটি বানিয়েছিলেন। সিলভার স্ক্রিনে ঝড় তোলা ‘আওয়ারা’ (১৯৫১), ‘শ্রী ৪২০’ ( ১৯৫৫), ‘মেরা নাম জোকার’ (১৯৭০) ও ‘ববি’র মতো সব ছবির শুটিং হয়েছে এই স্টুডিওতেই। বিক্রি হয়ে গেল সেই ঐতিহ্যবাহী স্টুডিও।
শুক্রবার গোদরেজ প্রপার্টিজ লিমিডেট (জিপিএল) অধিগ্রহণ করল এই জনপ্রিয় স্টুডিও। স্টুডিও ভেঙে সেখানে তৈরি হবে অত্যাধুনিক মল ও আবাসন। ২৯১৬ য় ‘সুপার ডান্সার টু’ নামের রিয়্যালিটি শোয়ের শুটিং চলাকালীন এই স্টুডিওর একটা বাড়িতে আগুন ধরে যায়। এর ফলে আর কে ফিল্মসের স্মরণিকা সব আগুনে ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছিল। কাপুর পরিবারের তরফে জানানো হয়েছিল, নতুন করে সাজানো হবে রাজ কাপুরের স্বপ্ন। কিন্তু তাতেও লাভের মুখ দেখা যাচ্ছিল না। অবশেষে জল্পনা শেষ করে বিক্রির সিন্ধান্তই অবিচল রইল।
আরও পড়ুন, বলিউডে ডেবিউ করবেন আমির খানের বোন
স্টুডিওতে নার্গিস থেকে শুরু করে বৈজন্তীমালা,ঐশ্বর্য রাইয়ের অভিনীত ছবির কস্টিউম জুয়েলারি ছিল। ‘মেরা নাম জোকার’ ছবিতে ব্যাবহৃত মুখোশ ও ‘জিস দেশ মে গঙ্গা বেহতি হ্যায়’র বন্দুকটাও ছিল। এমনকি ছিল আওয়ারা, ‘সঙ্গম’ ও ‘ববি’র সেই বিখ্যাত বিশাল পিয়ানোটিও। কিন্তু সব শেষ হয়ে গিয়েছিল আগুনে।
৭০ বছরের পুরনো এই স্টুডিও কিন্তু নিছকই আরবসাগরের তীরবর্তী আর পাঁচটা স্টুডিওর মতো নয়, ভারতীয় চলচিত্রের ঐতিহাসিক দলিলও বটে। কিন্তু আজ এই স্টুডিওর রক্ষণাবেক্ষণ করাই রীতিমতো দায় হয়ে গিয়েছিল। এই ‘বিশাল সাদা হাতি’ পুষতে গিয়ে রীতিমতো ক্ষতির মুখোমুখি হচ্ছিল কাপুর পরিবার।
আরও পড়ুন, আগামী বছরেই শুরু হবে ‘স্ত্রী’ পার্ট টু
তাই বাবার এই নির্মাণ আপাতত বিক্রি করে দিয়েই বাঁচলেন ঋষি কাপুর। রণধীর কাপুর ও রাজীব কাপুরের সঙ্গে এই স্টুডিওর সহমালিক তিনি। ‘মুম্বই মিরর’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আর কে স্টুডিও বিক্রি করে দেওয়ার কথাই জানিয়েছিলেন ঋষি। নির্দিষ্টভাবে কত টাকায় বিক্রি করা হয়েছে জানা না গেলেও, বিভিন্ন সূত্রের খবর প্রায় ২০০০ কোটি টাকার বদলে গোদরেজের কাছে চলে গেল আর কে স্টুডিও।