সুশান্ত সিং রাজপুতের (Sushant Singh Rajput) মৃত্যুর পর থেকেই তিন তিনটি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার জেরায় জেরবার রিয়া চক্রবর্তী (Rhea Chakraborty) ও তাঁর পরিবার। এক মাস জেলে কাটানোর পর সদ্য জামিন পেয়েছেন। তবে সুশান্তের দিদিদের তোলা অভিযোগের ভিত্তিতে চুপ করে বসে থাকতে নারাজ তিনি। তাই এবার ফের বম্বে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন বলিউড অভিনেত্রী। উচ্চ আদালতের কাছে তাঁর আরজি, সুশান্ত সিং রাজপুতের দিদিদের বিরুদ্ধে যে এফআইআর দায়ের করেছিল মুম্বই পুলিশ, তা যেন কিছুতেই বাতিল না করা হয়।
কোন প্রেক্ষিতে বম্বে হাইকোর্টে এই আবেদন জানালেন অভিনেত্রী? সেপ্টেম্বরের ৭ তারিখ সুশান্তের দুই দিদি প্রিয়াঙ্কা ও মীতু সিংয়ের বিরুদ্ধে ভুয়ো প্রেসক্রিপশনের ভিত্তিতে সুশান্তকে ওষুধ খাওয়ানোর অভিযোগ তুলে এফআইআর দায়ের করেছিলেন প্রেমিকা রিয়া চক্রবর্তী। তাঁদের পাশাপাশি অভিযোগ দায়ের হয়েছিল রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতালের চিকিৎসক তরুণ কুমারের বিরুদ্ধেও।
ওই অভিযোগনামায় অভিনেত্রী এও দাবী করেছিলেন যে, ভুয়ো প্রেসক্রিপশন দেওয়ার ৫ দিনের মধ্যেই সুশান্তের মৃত্যু হয়েছে। ওই বেআইনি প্রেসক্রিপশনের ফলেই ডিপ্রেশনের ওষুধ হাতে পান অভিনেতা। কেন ওই বেআইনিভাবে সুশান্তকে ডিপ্রেশনের ওষুধ দেন তাঁর দুই দিদি? প্রশ্ন তুলে নার্কোটিক ড্রাগস অ্যান্ড টেলিমিডিসিন প্র্যাকটিসের নির্দেশিকার আওতায় বান্দ্রা পুলিশের কাছে মামলা রুজু করেছিলেন রিয়া চক্রবর্তী। যার পালটা সুশান্তের দুই দিদি বম্বে উচ্চ আদালতে রিয়ার দায়ের করা মামলা খারিজ করার আবেদন জানিয়েছিলেন।
আজ, ২৭ অক্টোবর বম্বে হাইকোর্টে বিচারক এসএস শিন্ডে ও এমএস কার্নিকের ডিভিশন বেঞ্চে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সেই মামলারই শুনানি চলছিল। সেখানেই ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রিয়া আবেজন জানান যে, বম্বে হাইকোর্ট যেন সুশান্তের দুই দিদি প্রিয়াঙ্কা ও মীতু এবং চিকিৎসক তরুণ কুমারের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা কোনওভাবেই খারিজ না করে।