Riddhima Ghosh: 'এরকম মার আমি জীবনে খাই নি..' আজও সেসব দিনের নাম শুনলেই গাল ঢাকতে মরিয়া হয়ে যান অভিনেত্রী। ছোটবেলায় তো বেশিরভাগ মানুষই মায়ের কাছে ঘা কতক খেয়ে বড় হয়। এবং ভবিষ্যতে সেগুলি আলোচনার বিষয় হয়ে ওঠে। কিন্তু, তাই বলে নিজের কাজের জায়গায় ওরকম মার খাবেন...
অভিনেত্রীর সেই কাণ্ড খোলসা হল একটি চ্যাট শোয়ে এসে। আরেক কিংবদন্তি অভিনেত্রী তাঁকে যে এভাবে মারবেন, শুনেই ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন তিনি। আজও সেই ঘটনা শুনলে যেন কেমন একটা হয়। গুনে গুনে ১২টা চড় খাওয়ার পর আর থাকতে পারেননি। চিৎকার করে উঠেছিলেন। প্রসঙ্গে ঋদ্ধিমা ঘোষ। অভিনেত্রী নিজেই জানিয়েছেন, সেদিনের সেই ঘটনা। সহজ কথায় এসেই রাহুল যখন রাজকাহিনী ছবির সেই ঘটনার কথা তুললেন...
আরও পড়ুন - Bengali Movie Release in April: নববর্ষে নতুন বাংলা ছবি, সিনেমাহলে ঢ…
ঋদ্ধিমা বললেন, "আমি ওরকম মার কোনোদিন খাই নি। আর খেতেও চাই না।" রাহুল তাঁর প্রত্যুত্তরে বলেন, আমার মনে আছে ওর গাল ফুলে ঢোল, লাল হয়ে গিয়েছিল। আমরা একসঙ্গে সিনেমা দেখতে যাচ্ছিলাম। এরপরই অভিনেত্রী আসল কথা জানান। কী হয়েছিল সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের শুটিং ফ্লোরে? ছবিতে একটি দৃশ্য আছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে ঋতুপর্ণা লাগাতার তাঁর চড় মেরে যাচ্ছেন। সেই প্রসঙ্গেই অভিনেত্রীর বলেন.. 'অন্তত ৪৮টা চড় খেয়েছিলাম, আমি শুনেছিলাম সেদিন।' এরপর তিনি আরও যোগ করলেন...
"আসলে সৃজিত দা, ঋতুদিকে বলেছিলেন, যে প্রতিটা চড় যেন ওর লাগে। আমি তখন ভাবছি, একি! আসলেই মার খেতে হবে এতবার? তারপর টেক শুরু হল, ভিন্ন এঙ্গেল থেকে শট নেওয়া হচ্ছে, আর আমি মার খেয়ে যাচ্ছি। লাস্টে যখন ঐ জায়গা আসে যে আমি চিৎকার করে উঠব, ঋতু দি মেরেই যাচ্ছে। আমায় সৃজিতদা বলেছিলেন, ১৪টা চড় না খাওয়া অবধি চেঁচাবি না। কিন্তু, আমি ১২টা খাওয়ার পর আর ধরে রাখতে পারিনি। চেঁচিয়ে উঠেছি। আর পারছিলাম না।"
আরও পড়ুন - Rii Kolkata Actress: 'যদি সন্তানের দরকার হয়..', কী এমন উপদেশ পেয়েছেন ঋ? যে কারণে...
উল্লেখ্য, অভিনেত্রীদের সৃজিত এতটাই কাজের প্রতি প্যাশনেট করে তোলেন যেটি সাংঘাতিক। এমনকি, তিনি নাকি কিলবিল সোসাইটির সময়ও কৌশানির লিপবাম পর্যন্ত তুলে দিয়েছিলেন। কিন্তু ঋদ্ধিমার এই গল্প শুনলে সত্যিই চমকে যেতে হয়।