শুধু শারীরিকভাবে নয়, এই অতিমারী (Pandemic) প্রভাব ফেলেছে মানসিকভাবেও। স্বাভাবিকভাবেই মানুষ এখন গৃহবন্দী। উদ্বেগ, মানসিক চাপের পাশাপাশি হতাশা, অবসাদ ঘিরে ধরেছে মানুষকে। দূরত্বের জন্য নষ্ট হচ্ছে সম্পর্ক। আবার কেউ বা প্রিয়জন হারানোর শোকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন। কখন, কোন বিপদ আবার দুয়ারে কড়া নাড়ে, সেই আশঙ্কাতেও বিপর্যস্ত মানুষ। মাথা ঠান্ডা রেখে এই কঠিন পরিস্থিতির মোকাবিলা করলেও একটা সময়ের পর মানুষ ভীষণ একাকীত্বে ভুগছেন। শারীরিক তো বটেই অতিমারীর এই চরম পরিস্থিতিতে কিন্তু রোজ লক্ষ লক্ষ মানুষকে যুঝতে হচ্ছে মানসিক স্বাস্থ্যের (Mental Health) সঙ্গেও। দিন কয়েক আগেই সাংসদ-অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী (Mimi Chakraborty) মানসিকভাবে বিধ্বস্ত মানুষদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছিলেন। এবার আরও একধাপ এগিয়ে অভিজ্ঞ মনোবিদদের নিয়ে হেল্পলাইন নম্বর চালু করলেন আরেক টলি-অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তী (Ritabhari Chakraborty)।
এই মন খারাপের দিনে আপনি একলা নন, পাশে রয়েছেন ঋতাভরী। শুরু করলেন ‘হিল উইথ মি’ (Heal With Me) প্রজেক্ট। এমন এক হেল্পলাইন নম্বর যেখানে বিনামূল্যে অভিজ্ঞ মনোবিদ এবং কাউন্সিলরদের কাছ থেকে পরামর্শ নেওয়া যাবে। ব্যক্তিগত সমস্যা নিয়ে নাজেহাল? কাউকে শেয়ার করতে পারছেন না? তাহলে অনায়াসে ফোন করে নিতে পারেন ১৮০০২০৩৯৮৬৫ নম্বরে। তবে সকাল ১১টা থেকে রাত ৮টার মধ্যে যেকোনও সময় ফোন করুন। আপনার সমস্ত কথা শুনবেন অভিজ্ঞ মনোবিদ এবং কাউন্সিলাররা। প্রয়োজনে পরামর্শও দেবেন। আর তার জন্য কোনও অর্থ দিতে হবে না। একেবারে বিনামূল্যেই এই পরিষেবা পাওয়া যাবে বলে জানান ঋতাভরী।
<আরও পড়ুন: পরিবেশ রক্ষায় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে দিল্লি হাইকোর্টে মামলা জুহি চাওলার>
অভিনেত্রীর মন্তব্য, "বিগত এক বছর ধরে আমাদের সবারই উপর দিয়েই একটা দুঃসময় বয়ে চলেছে। কোভিড প্যান্ডেমিক, তার জন্য লকডাউন, কাজ বন্ধ, স্কুল-কলেজের পরীক্ষা বন্ধ, বন্ধ আমাদের সামাজিক মেলামেশা। একেবারে স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে স্বাভাবিক জনজীবন। যেন একটা অন্ধকার টানেলের মধ্যে ঢুকে পড়েছি আমরা। যার ফলে কম-বেশি সকলেই মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। যারা প্রিয়জন হারিয়েছে, নিজেরা ভুক্তভোগী বা এই পরিস্থিতিতে দমবন্ধ অবস্থা বোধ করছে, সবার দিকেই আমি হাত বাড়িয়ে দিয়েছি। তোমাদের সব রকম মনোকষ্টে, হতাশায়, মনের জোর হারানো একাকীত্বের সুরাহা করতে চাই। কথা বলো মনোবিদ ও বিশেষজ্ঞদের সাথে। কোন খরচ দিতে হবে না। তার জন্য আমি আছি, আমার বন্ধু রাহুল দাশগুপ্ত আর "সহায়তা" আছে। এই অন্ধকার টানেলটা থেকে বেরিয়ে আসার একটা যৌথ প্রচেষ্টা। মন ভালো থাকলে পৃথিবীটাই সুন্দর হবে।"
<আরও পড়ুন: ‘চার্মিং’ মদন! হাসপাতাল থেকে বেরিয়েই ‘কৃষ্ণকলি’ তিয়াশাকে নিয়ে মন্দিরে পুজো, ভোগ বিলি>
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন