Sabitri Chatterjee-Thakurpukur Accident: সাকসেস সেলিব্রেশন মানেই শ্যাম্পেনের বোতল খোলা বা বন্ধুদের সঙ্গে কোনও পানশালায় মদ্যপান হাল ফ্যাশনের লেটেস্ট ট্রেন্ড। ঠাকুরপুকুর দুর্ঘটনা তারই দৃষ্টান্ত। ভিডিও বৌমার সাফল্য সেলিব্রেট করতে পরিচালক, মেগার কলাকুশলী, চ্যানেলের কার্যনির্বাহী প্রযোজকরা মিলে প্রথমে দক্ষিণ কলকাতার একটি মলে পার্টি করেছেন। তারপর ধারাবাহিকের কেন্দ্রীয় চরিত্র আরিয়ান ভৌমিকের বাড়িতে রাতভর উল্লাসে মেতেছিলেন সকলে। এরপর মদ্যপ অবস্থায় সিরিয়ালের পরিচালক সিদ্ধান্ত দাস ওরফে ভিক্টো নিয়ন্ত্রতহীন গাড়ির গতির বলি হয় এক নিরীহ মানুষ। আহত হয়েছেন অনেকেই। রবিবাসরীয় সকালে খাস কলকাতায় ঘটে যাওয়া এই ঘটনায় তোলপাড় তিলোত্তমা।
উত্তমকুমার-সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়ের সময়টা ছিল বাংলা সিনেমার স্বর্ণযুগ। সেই সময় ছবির সাফল্য কী ভাবে সেলিব্রেট করা হত? তখনও কী এভাবেই হই হুল্লোড়, উদ্দাম পার্টিতে মাততেন স্বর্ণযুগের তারকারা? এই বিষয়ে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার সঙ্গে কথা বললেন স্বর্ণযুগের অভিনেত্রী সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, 'আমি কোনওদিনই কোনও সাকসেস পার্টি সেলিব্রেশনে যেতাম না। আমাদের সময় এইসব সেলিব্রেশনের এত বাড়বাড়ন্ত ছিল না। তখন পিকনিক হত। সেখানে আমরা সবাই যেতাম। মজা করতাম বা কারও জন্মদিন হলে চেনা পরিচিত কিছু মানুষকে ডেকে বিশেষ দিনটা উদযাপন হত। যা কিছু সেলিব্রেশন সব বাড়িতেই হত। কোনও কফি হাউজ বা হোটেলে নয়।'
সাবিত্রীর সংযোজন, 'যখন সিনেমার সাফল্য উদযাপন হত তখন সেটা পরিচালক-প্রযোজক আর বাকি কলাকুশলীরা মিলে বাইরে কোনও হোটেল বা অন্য কোথাও সেলিব্রেট করতেন। আমারও নিমন্ত্রণ থাকত কিন্তু, আমি যেতাম না। যদি ঘরোয়া কোনও অনুষ্ঠান হত তাহলেই একমাত্র যেতাম। তাছাড়া কোনওদিনও অন্য কোথাও পার্টি করতে যাইনি। উত্তমবাবুর সময় তো অনেক ছবির সাফল্যের পর গ্র্যান্ড হোটেলে পার্টি হয়েছে কিন্তু, সেখানেও আমি কখনও যাইনি। পরে যখন দেখা হত, তখন ওঁরা বলত আপনি কেন এলেন না? এলে খুব ভাল লাগত।'
বর্তমান প্রজন্ম প্রসঙ্গে সাবিত্রী বলেন, 'আজকের মতো এত পার্টি সেই সময় হত না। উত্তমবাবু আর আমার একটা সিনেমা তাসের ঘর ভীষণ হিট হয়েছিল। সেই সিনেমার সকল কলাকুশলীদের নিয়ে গ্র্যান্ড হোটেলে একটা বিরাট পার্টি হয়েছিল। কিন্তু, আমি যাইনি। রাত্রিবেলা উত্তমবাবু আর কয়েকজন এসেছিলেন। ওঁরা বলেছিলেন, কেন গেলেন না? যদি আসতেন তাহলে খুব আনন্দ হত। আসলে আজকের সব কিছুই অনেক বদলে গিয়েছে। জীবনযাপনে আমূল পরিবর্তন এসেছে। তবে নতুন প্রজন্মের সঙ্গে কাজ করতে আমার কোনও সমস্যা হয় না। তাঁরা আমাকে খুব সম্মান করেন। পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করে। কিন্তু, আমি তখন ওঁদের বলি, এভাবে প্রণাম করো না। আমরা সবাই বন্ধু। এখনও অনেক জায়গা থেকে সেলিব্রেশনের কার্ড পাই। কিন্তু, আজও আমি কোথাও যাই না।'
আরও পড়ুন: বৃষ্টিভেজা রাতে মাটির ভাড়ে চা-ধাবায় তড়কা রুটি খেয়েও আনন্দ উদযাপন করা যায়: শ্রীময়ী-কাঞ্চন