একই ইন্ডাস্ট্রিতে এত নায়িকাদের সঙ্গে কাজ করার পরেও কারও প্রেমে পড়লেন না? এরকম সুপুরুষ একজন অভিনেতা, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের পর যাকে বাঙালি ফেলুদা হিসেবে ভীষণ ভালোবেসেছিল, যাকে স্ক্রিনে দেখলে আজও মানুষ অনেক কিছু ভাবেন, সব্যসাচী চক্রবর্তীর রোমান্টিক সিনেমা বলতেই লোকের মাথায় প্রথমেই আসে শ্বেত পাথরের থালা। এই ছবিতে অপর্ণা সেনের সঙ্গে জুটি বেঁধেছিলেন অভিনেতা। সম্প্রতি রাহুল বন্দ্যোপাধ্যায়এর সহজ কথায় তাকে দেখা গিয়েছে।
সব্যসাচী বাবু মিঠু চক্রবর্তীর সঙ্গে সংসার বাঁধার পর, তিনি অনেক নায়িকার সঙ্গেই কাজ করেছেন। নায়কদের নায়িকাদের প্রেমে পড়া খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। সেখানে এমন একজন সুপুরুষ হওয়ার পরও সব্যসাচী বাবু কি করে সেই বিষয় থেকে বাদ গেলেন? নাকি প্রেমে পড়েছেন তিনি কাউকে জানতে দেননি? এই প্রশ্ন করার সাহস সহজে কেউ করবেন না। কিন্তু এমন একজন আছেন যিনি নির্ধিধায় সেই মানুষটিকে প্রশ্ন করতে পারে। রাহুলের শোয়ে সেই প্রশ্ন উঠল। এবং অভিনেতা জানিয়ে দিলেন, এ প্রশ্ন তার নয়। বরং তাঁর বড় ছেলের বউ ঋধিমার। শশুরকে এমন এক সাংঘাতিক প্রশ্ন করে বসেছেন তিনি।
Kartik Aaryan: কার্তিক আরিয়ানকে FWICE-র কড়া নির্দেশ, পাকিস্তানি সংস্থা…
রাহুল বললেন, এটা তোমার বড় বৌমার ফিচকে প্রশ্ন। ও জানতে চেয়েছে তুমি অভিনয় করার সময় কারুর প্রেমে পড়েছ কিনা। উত্তরে ভীষণ গম্ভীর মানুষটি যা বললেন.. যদিও সব্যসাচী চক্রবর্তী একটুও রেগে যান নি। বরং গোটা গোটা বাংলা অক্ষরে বললেন...
কোনও বন্ধুত্ব কাঁদিয়েছে, কোনটা আবার হিন্দি সিনেমাকে দিয়েছে নজিরবিহীন …
"কে আমি? না আমি কারো প্রেমে পড়ি নি। আমার কাছে এই জায়গাটা একেবারেই কাজের জায়গা। এবং যার যার সঙ্গে কাজ করেছি সকলেই আমার ভীষণ ভালো বন্ধু। সবচেয়ে ভালো বন্ধু আমার দেবশ্রী। ঋতু আমায় দাদা বলে ডাকে। এবং, আমার একটা এই এই বিষয়ে আছে যে কাজের জায়গায় আর যাই করো ইমোশনালি জরিও না। সে এসেছে কাজ করতে আমিও গেছি কাজ করতে, প্রেম নিবেদন করতে তো সেখানে যায়নি। প্রেম নিবেদন কাজে না থাকলে করা যায়। একটা স্টেজের পর যখন বিয়ে হয়ে গেল, তখন প্রেম-টেম সব উড়ে গেছিল। তাঁর আগে পর্যন্ত, অনেক সময় মহিলা দেখলে মনে হতো যে এই মহিলার সঙ্গে কি প্রেম করা যায়? বিয়ের পরে মহিলা ছিল, যদি বন্ধুত্ব পাতানো যায় তবে, ভাল। আমি ওসব দিকে যাওয়ার চেষ্টা করিনি।"