/indian-express-bangla/media/media_files/BGkIzwIeBFyL13sndnY8.jpg)
paran banerjee: সেসময় কারা মদ্যপান করতেন? যা বললেন বর্ষীয়ান অভিনেতা...
Paran Bandopadhyay on Thakurpukur Accident: সিরিয়ালের TRP এবং সফলতা উদযাপন করতে গেলেই কেলেঙ্কারি ঘটালেন টলিপাড়ার কিছু মানুষ। মদ্যপ অবস্থায়, গাড়ির স্টিয়ারিংয়ে বসলেন টলিপাড়ার এক পরিচালক, সঙ্গী হলেন অনেকেই। তারপর, সেই গাড়ির ধাক্কায় পথচারীর মৃত্যু। সেই ঘটনা সাংঘাতিক রূপ নিয়েছে। কিন্তু, পানশালায় কীসের এত উৎসব এবং আনন্দ? এই ইন্ডাস্ট্রির উশৃঙ্খল জীবনের দিকে মানুষের ক্ষোভ ক্রমশ বাড়ছে। কিন্তু, এই ইন্ডাস্ট্রি তো আজকের না। বহুবছর ধরে বাংলার সিনে ইন্ডাস্ট্রি নানাভাবে মানুষকে মুগ্ধ করেছেন।
আরও পড়ুন - Anamika Saha: আমাদের সময় নায়িকারা নেশার মধ্যে একটা জিনিসই খেত! আমিও…
সেই সময় কি সফলতা আসতো না? সেই সময় কি ছবি হিট হলে সাকসেস পার্টি হত না? তাহলে আজকের দিনে এহেন উদযাপনের কারণ কী? তখন কীভাবে ইন্ডাস্ট্রিতে উদযাপন হত? সেই বিষয়ে জানতে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার তরফে ফোন করা হয়েছিল পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তাঁর এই ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে বহুদিনের সম্পর্ক। তাঁদের সময় কী হতো? শুটিং এ ব্যস্ত বর্ষীয়ান অভিনেতা। তাও, বক্তব্য রাখতে ভুল হল না...পরান বন্দোপাধ্যায় বলছেন...
"ইন্ডাস্ট্রিতে মদ্যপান আজকের নয়। কিন্তু এই যে ক্রুড বিষয়টা, বেলেল্লাপনা, নিষ্ঠুরতা, এতটা আমরা দেখিনি। ওটা সেবন করে নানা কান্ডকারখানা হয়। সারা দেশে এমন উদাহরন কম নেই। কিন্তু, আমাদের সময় এতটা চূড়ান্ত পরিস্থিতি খুব কম হত। এক্ষেত্রে যেমন একজন পথচারী তিনি মারা গিয়েছেন। আমাদের গায়কদের মধ্যে কালিকা চলে গিয়েছে, ও একদম নেশা করত না। ওর ড্রাইভার মদ্যপ অবস্থায় ছিল বলেই শুনেছিলাম। পীযূষ চলে গেল গাড়ি একসিডেন্টে। এই যে ঘটনাগুলো ঘটে, তারপরেও কেন শিক্ষা হয় না? বারবার করে তো বলে, যে স্টিয়ারিং ধরবেন না মদ্যপ অবস্থায়। উন্মত্ততা, এবং উপভোগের চূড়ান্ত পর্যায় এগুলো। নিজের শরীর তো আগে দেখবে, তাঁর বাইরে তো কিছু না!" আর এর সঙ্গে সঙ্গেই তিনি আরও বলেন...
"আমাদের সময় এত চূড়ান্ত ঘটনা ঘটত না। আমার মনে আছে, ছবি বিশ্বাস মদ্যপান করতেন। শ্যামল মিত্র তিনি মদ্যপানের চোটে ভয়ঙ্কর এক্সিডেন্ট ঘটালেন। তারপর সুস্থ হলেন যখন, তখন যা গান রচনা করলেন। বুক ভাঙ্গা আর্তনাদের মধ্যে যে এত ভাল সঙ্গীত রচনা হতে পারে, তাঁর মানে কি এটা, যে ভাল গান রচনা করতে গিয়ে উনি আহত হয়েছেন? সবকিছু মিলিয়ে এই ঘটনা মর্মান্তিক। টিআরপি বেড়েছে বলে দিশেহারা হয়ে যাব? হৃদয়ের অন্তক্ষরন হয়। এই প্রজন্মের সাধারণত বদ হজম হয় বলেই এসব করে।"
এখন সমাজ মাধ্যমের যুগ, সবকিছু সহজে সবাই পেয়ে যাচ্ছে, সেকারণেই উশৃঙ্খল জীবন যাত্রা আরও বাড়ছে। পরাণ বন্দোপাধ্যায় বলছেন, "আগে যারা তারকা থাকতেন, তাঁরা জানতেন যে পাঁচজনের কাছে ভালবাসা পেয়ে আমরা সেলিব্রিটি হয়েছি। সেটাকে সহজে নষ্ট হতে দেওয়া যাবে না। এই এখন, নিজেরাই নিজেদের সেলিব্রিটি বানায়। তারপর, তাঁদের মধ্যে ভাব থাকে, যে আমরা সেলিব্রিটি মানে যা খুশি তাই করতে পারি। উন্মত্ত অবস্থায় মানুষ মারতেও অসুবিধা নেই। সেলিব্রিটি শব্দটার একটা অভিধানিক অর্থ আছে। শ্রদ্ধা আছে, বিনয় আছে, সব আছে। নিজেকে সেলিব্রিটি ঘোষণা করে, যা খুশি তাই করলেই হল? এগুলো হয় না।"