/indian-express-bangla/media/media_files/2025/10/10/cats-2025-10-10-14-00-47.jpg)
সইফের স্ট্রাগল
Saif Ali Khan-Tiger Pataudi: বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা ও পতৌদি পরিবারের ছোটে নবাব সইফ আলি খান বরাবরই যে কোনও বিষয়ে খোলামেলা কথা বলেন। সম্প্রতি চ্যাট শো 'টু মাচ উইথ অক্ষয় কুমার' -এ শৈশব নিয়ে অকপট সইফ। তিনি যে স্পষ্টবাদী আরও একবার সেই প্রমাণ দিলেন পতৌদি নবাব। অকপটে জানিয়েছেন, পতৌদি ম্যানসনে ভারতের শেষ স্বীকৃত নবাব এবং কিংবদন্তি ক্রিকেটার মনসুর আলি খান পতৌদির ছেলে হিসেবে বড় হওয়াটা তার জন্য কতটা সংগ্রামের ছিল। একইসঙ্গে স্বীকার করেছেন কী ভাবে তিনি বাবার পকেট থেকে টাকা চুরি করতেন। সেটা অবশ্য প্রবীণ অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুরের চোখ এড়াতে পারেনি।
চ্যাট শো 'টু মাচ উইথ অক্ষয় কুমার'-এ হাজির হতেই সইফকে তাঁর শৈশব নিয়ে প্রশ্ন করেন টুইঙ্কেল খান্না ও কাজল। কাজল মজার ছলে বলেন, 'যখন অক্ষয় ব্যাংককে টিপস পাওয়ার জন্য পরিশ্রম করছিল তখন সইফ বাবার ওয়ালেট থেকে টাকা চুরি করেছিল।' উত্তরে সইফও পালটা বলেন, 'উনি (বাবা) খেয়াল করতেন না কিন্তু মা সবসময়ই জানতেন।' অক্ষয় জিজ্ঞেস করেন, কেন তিনি 'টাইগার' পতৌদির পকেট থেকে টাকা চুরি করতেন। সাইফ হেসে বলেন, 'আমি খুব ভাল ছেলে ছিলাম না খুব দুষ্টুমি করতাম।'
কাজল জানতে চান খাবারের জন্য টাকা চুরি করতেন? সেই প্রশ্নের সইফ তাঁর শৈশবের সংগ্রামের কথা উল্লেখ করেন। ছোটে নবাব মজার ছলে বলেন, 'আমাকে খাওয়াতো না'। জবাব শেষ হতেই একেবারে হাসির রোল। টুইঙ্কল বলেন, 'তুমি তো প্রাসাদে বড় হয়েছ।' সঙ্গে সঙ্গে সইফের জবাব, 'সেই প্রাসাদগুলো রং করা ছিল না। অনেক সংগ্রাম ছিল, কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে। তখন এসি-ও ছিল না।'
আরও পড়ুন ৮০০ কোটির পতৌদি প্যালেসে ১৫০ টি ঘর, কে বানিয়েছেন ঐতিহাসিক রাজপ্রাসাদ? রইল অন্দরমহলের ছবি
সইফের পর এবার আলোচনার বিষয়, অক্ষয়ের ছেলেবেলা। টুইঙ্কল স্মৃতি রোমন্থন করে বলেন, 'অক্ষয় আমাকে একবার দিল্লির চাঁদনি চক-এ ওঁর ঠাকুমার বাড়ি দেখাতে নিয়ে গিয়েছিল। ঘরটা বেশ ছোট। মাত্র ১০ ফুট বাই ১০ ফুট। উনি বলেছিলেন, সেখানে ১৩-১৪ জন একসঙ্গে থাকতেন।' অক্ষয় হেসে সংশোধন করে বলেন, 'না না, সঠিক সংখ্যা ২৪।'
সাম্প্রতিক অতীতে এএনআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অক্ষয় তার শৈশবের লড়াইয়ের কাহিনি শেয়ার করেছিলেন। বলিউডের খিলাড়ি বলেছিলেন, 'আমরা ২৪ জন একই ঘরে থাকতাম। সকালে উঠে ব্যায়াম করতাম। একে অপরের উপর দিয়ে লাফিয়ে ঘর থেকে বেরতাম'। পরে অক্ষয়ের পরিবার মুম্বইয়ে চলে আসে।
আরও পড়ুন ১৭ বছর পর জমজমাট অ্যাকশনে পর্দা কাঁপাতে তৈরি খিলাড়ি-আনাড়ি! কোন ছবিতে জুটি বাঁধছেন সইফ-অক্ষয়?
স্মৃতিচারণ করে অক্ষয় বলেন, 'আমি শপথ করে বলছি এমন একটা দিনও ছিল না যখন আমরা হাসিনি বা মজা করিনি। এখন টাকাপয়সা আছে কিন্তু কখনও কখনও মন খারাপ হয়। তখন কিন্তু কোনও দুঃখ ছিল না। ডাল-ভাত, জিরে আলু, আলু গোবি, ভেন্ডি — এসব খেতাম আর খুব সুখে ছিলাম।'