/indian-express-bangla/media/media_files/2025/09/26/cats-2025-09-26-17-36-30.jpg)
ঐশ্বর্যর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর কী করতেন সলমন?
Salman-Aishwarya Love story: সালটা ছিল ২০০২। সেই বছর সলমন খান ও ঐশ্বর্য রাই বচ্চনের সম্পর্ক ভাঙার খবর ছিল পেজ ৩-র হট কেক। ব্রেক আপের কিছুদিন পর ব্লক বাস্টার মুভি তেরে নাম-এ কাজের প্রস্তাব পান। কাকতালীয়ভাবে সেই ছবিতেও ব্যর্থ ও আবেগপ্রবণ প্রেমিকের চরিত্রে ধরা দেন ভাইজান। খ্যাতনামা গীতিকার সমীর অঞ্জন জানিয়েছেন, ব্যক্তিগতজীবনের ধাক্কা সলমনের মনে গভীর প্রভাব ফেলেছিল। বিচ্ছেদের যন্ত্রণা তখন একদম তাজা। সলমন প্রায়ই তেরে নাম ছবির টাইটেল ট্র্যাক শুনে কান্নায় ভেঙে পড়তেন আর ভাবতেন গানের মাধ্যমে তাঁর কষ্টের কথা রাই সুন্দরী পর্যন্ত পৌঁছাবে।
শুভঙ্কর মিশ্রর ইউটিউব চ্যানেলের এক সাক্ষাৎকারে সমীর অঞ্জন বলেন, 'আমরা তেরে নাম-এর টাইটেল ট্র্যাক সালমান খানকে মাথায় রেখে লিখিনি। কিন্তু ঐশ্বর্য রাইয়ের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর গানটি তাঁর ব্যক্তিগত ব্যথার প্রতীক হয়ে উঠেছিল। ওই দৃশ্যের শুটিংয়ের আগে সালমান প্রায়ই হিমেশ রেশমিয়াকে ফোন করে গানটি গাইতে বলতেন এবং তারপর কান্নায় ভেঙে পড়তেন।'
সমীর আরও জানান, 'সলমন খুব কষ্টে ছিলেন। ক্ষত তখনও শুকোয়নি। সেটে প্রতিবার শট দেওয়ার আগে হিমেশ গান গাইতেন আর সলমন কেঁদে ফেলতেন। বিশেষ করে ‘Kyun kisiko wafa ke badle wafa nahi milti’এই গানটি ঐশ্বর্য শুনে তাঁর যন্ত্রণাটুকু যেন অনুভব করে সেটাই চাইতেন।' সমীর অঞ্জন আরও একটি হাইপ্রোফাইল বলিউড বিচ্ছেদের কথা শেয়ার করেন যা সরাসরি প্রভাব ফেলেছিল একটি ছবি তৈরির ক্ষেত্র। সেটা হল শাহিদ কাপুর ও করিনা কাপুরের 'মিলেঙ্গে মিলেঙ্গে'।
আরও পড়ুন 'TRP-র জন্য আমার নাম...', জুবিনের অকাল প্রয়াণে SIT-এর তদন্তের মাঝে বিস্ফোরক অনুষ্ঠানের আয়োজক
২০১০ সালে শুটিংয়ের সময়ে সম্পর্ক ভাঙন। ছবির শুটিং শেষ হওয়ার আগেই তাঁদের সম্পর্ক ভেঙে যায় যা প্রযোজক বনি কাপুরকে প্রচণ্ড দুশ্চিন্তায় ফেলে দিয়েছিল। স্মৃতিচারণ করে বলেন, 'শাহিদ আর করিনা যখন আলাদা হয়ে গেল তখনও একটি গানের শুট বাকি ছিল। বনি কাপুর খুব চিন্তিত ছিলেন। ভেবেছিলেন হয়তো ছবিটি আর শেষই হবে না। তিনি আমার কাছে এসে বললেন এমন একটি গান লিখতে পারি কি না যা দু’জনের আবেগের সঙ্গে মিলে যায়, যেটা তাঁদের নিজের জীবনের গল্পের আদলে হবে।'
আরও পড়ুন 'কোনওদিন এই যন্ত্রণা থেকে...', কোন ভুলের জন্য যন্ত্রণায় ছটফট করছেন শ্রীলেখা?
ফলাফল ছিল 'কুছ তো বাকি হ্যায়'। সমীর বলেন, 'বনি যখন গানটির কথা শুনলেন, তিনি নিশ্চিত হলেন এবং শেষ পর্যন্ত শুটিং সম্পন্ন হলো।' তবে মিলেঙ্গে মিলেঙ্গে নানা কারণে দেরিতে মুক্তি পায়। শাহিদ-করিনা আলাদা হয়ে যাওয়ার পর তাঁরা একসঙ্গে ছবিটির ডাবিং করতেও আপত্তি করেন। ২০০৪ সালে শুরু হওয়া এই ছবিটি মুক্তি পায় প্রায় ছয় বছর পর। শাহিদ-করিনার বিচ্ছেদ হয় ২০০৭ -এ। যখন তাঁরা ইমতিয়াজ আলির জব উই মেট ছবির শুটিং করছিলেন।