/indian-express-bangla/media/media_files/2025/09/25/sameer-2025-09-25-16-21-02.jpg)
Sameer Wankhede: প্রাক্তন এনসিবি আধিকারিক সমীর ওয়াংখেড়ে।
‘দ্য ব্যাডস অফ বলিউড’ ওয়েব সিরিজে নিজের ভাবমূর্তি নষ্ট করা হয়েছে অভিযোগ তুলে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন এনসিবি-র প্রাক্তন কর্মকর্তা সমীর ওয়াংখেড়ে। শাহরুখ খান, তাঁর স্ত্রী গৌরী খানের সংস্থা রেড চিলিজ এন্টারটেইনমেন্ট প্রাইভেট লিমিটেড, নেটফ্লিক্সসহ একাধিক সংস্থার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করেছেন তিনি।
ওয়াংখেড়ে জানিয়েছেন, এই সিরিজে তাঁর অনুপ্রেরণায় নির্মিত চরিত্রকে নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। এর ফলে কেবল তাঁর ব্যক্তিগত সুনামই ক্ষুণ্ণ হয়নি, বরং আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলির ভাবমূর্তিও প্রশ্নের মুখে পড়েছে।
তিনি দাবি করেছেন, ২ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ তাঁকে দিতে হবে, যা তিনি টাটা মেমোরিয়াল ক্যান্সার হাসপাতালে ক্যান্সার রোগীদের চিকিৎসার জন্য দান করবেন।
সিরিজটির প্রথম পর্বে দেখা যায়, এক চরিত্র বলিউড পার্টির বাইরে মাদকসেবনকারীদের খুঁজছে। দর্শকদের একাংশের মতে, সেই চরিত্রের সঙ্গে সমীর ওয়াংখেড়ের বাস্তব জীবনের ঘটনার মিল রয়েছে। সিরিজ সম্প্রচারের পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ওয়াংখেড়ে ও সিরিজের চরিত্রের মধ্যে তুলনা টানা হচ্ছে।
আরও পড়ুন- Rihanna: বাবাকে হারিয়েছেন কিছুদিন আগেই, নতুন সদস্যের আবির্ভাব গায়িকার জীবনে
বিবৃতিতে ওয়াংখেড়ে অভিযোগ করেছেন, "এই সিরিজ ইচ্ছাকৃতভাবে এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতে আমার ভাবমূর্তি নষ্ট হয় এবং আমাকে জনসমক্ষে পক্ষপাতদুষ্টভাবে উপস্থাপন করা হয়।" তিনি আরও বলেন, "একটি দৃশ্যে 'সত্যমেব জয়তে' স্লোগানের পর চরিত্রটিকে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করতে দেখা যায়, যা জাতীয় সম্মানের অবমাননা প্রতিরোধ আইনের গুরুতর লঙ্ঘন।" তাঁর দাবি, সিরিজের কিছু অংশ তথ্য প্রযুক্তি আইন এবং ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (BNS)-এর একাধিক ধারাও ভঙ্গ করেছে।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের অক্টোবরে মাদক মামলায় শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খানকে গ্রেপ্তার করেছিল এনসিবি। তেহলকা ফেলে দেওয়া সেই অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন সমীর ওয়াংখেড়ে। ২৫ দিন জেলে থাকার পর জামিন পান আরিয়ান। তবে ২০২২ সালের মে মাসে তাঁর বিরুদ্ধে সমস্ত অভিযোগ প্রত্যাহার করা হয়। পরে ব্ল্যাকমেইলের অভিযোগ ওঠায় মামলা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় ওয়াংখেড়েকে।