Sameera Reddy: বলিউডের প্রায় সব নায়িকাদের মধ্যেই ফিগার নিয়ে মাত্রাতিরিক্ত স্পর্শকাতরতা রয়েছে। বিশেষ করে যে অভিনেত্রীরা কেরিয়ারের শুরু থেকেই বম্বশেল বা সেক্স আইকন হিসেবে একটা ইমেজ তৈরি করেছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা সবচেয়ে বেশি। তাঁদের সুঠাম চেহারা কোনওভাবে আর সুঠাম না থাকলে, অথবা ওজন প্রচুর বেড়ে গেলে সেই নিয়ে কথা ওঠে। আর সেই কথা-র ভয়েই একটা সময়ে বাড়ি থেকে বেরতে ভয় পেতেন সমীরা রেড্ডি। এতটাই ডিপ্রেশনে চলে গিয়েছিলেন তিনি। সম্প্রতি সেকথা জানিয়েছেন সংবাদমাধ্যমকে।
আইএএনএস সংবাদসংস্থার খবর অনুযায়ী, সমীরা জানিয়েছেন যে প্রথমবার মা হওয়ার পরে তাঁর ওজন ক্রমশই বাড়তে থাকে। একটা সময় ওজন গিয়ে দাঁড়ায় ১০২ কেজি। সমীরা জানান যে অতিরিক্ত ৩২ কেজি ওজন নিয়ে তিনি অত্যন্ত বিব্রত থাকতেন। সেই সময় বাড়ি থেকে বেরতে পারতেন না তিনি। তাঁর কেবলই মনে হতো যে তাঁর মোটা চেহারা দেখে যদি কেউ বলে, ''ইনিই সমীরা রেড্ডি? সেকী! কী করে এমন অবস্থা হল!''
আরও পড়ুন: ‘চোখ মেরে’ বিখ্যাত প্রিয়ার ঝুলিতে এখন দু’টি বলিউড ছবি
এই ভাবনা তাঁকে এতটাই গ্রাস করেছিল যে গভীর ডিপ্রেশনে চলে গিয়েছিলেন তিনি। দীর্ঘ কাউন্সেলিংয়ের পরে তবেই তিনি বেরতে পেরেছেন সেই উদ্বেগ থেকে এবং দ্বিতীয় বার মা হতে চলেছেন। বড়পর্দায় সমীরাকে শেষ দেখা গিয়েছিল ২০১২-তে, 'তেজ' ছবিতে। তার দু'বছর পরে ব্য়বসায়ী অক্ষয় ভর্দে-র সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর এবং ২০১৫-তেই প্রথম সন্তান আসে। সমীরা সম্প্রতি জানিয়েছেন যে এমনটা নয় যে তিনি মা হতে চাননি। বরং উল্টোটাই। সমীরা চেয়েছিলেন বিয়ের পরে মাতৃত্বের প্রাথমিক দায়িত্ব পালন করে, যতটা সম্ভব তাড়াতাড়ি আবার কাজে ফিরবেন তিনি।
কিন্তু শেষমেশ সেটা আর হয়ে ওঠেনি ওজন বৃদ্ধির জন্য। তবে চেহারা নিয়ে ডিপ্রেশন থাকলেও সন্তানের প্রতি দায়িত্ব পালনে কোনও খামতি ছিল না, সমীরা এমনটাই জানিয়েছেন সংবাদমাধ্য়মকে। তিনি বলেন, ''সবাই জানত যে মা হিসেবে আমি ভাল। তবে শুধু ওজন বাড়া নয়, তার পাশাপাশি আমার অ্যালোপেশিয়াও হয়। আমার ছেলে হওয়ার ছমাসের মধ্যে আমার প্রচুর চুল উঠে যায়।''
আরও পড়ুন: এই সপ্তাহের টিআরপি সেরা দশে কারা, রইল তালিকা
সব মিলিয়েই তাই সংবাদমাধ্যম বা পাদপ্রদীপের আলো থেকে বেশ অনেকটা সময়ে দূরে থাকতে চেয়েছেন সমীরা। তবে এখন আর নিজের চেহারা নিয়ে সেই উদ্বেগ তাঁর নেই। দ্বিতীয়বার মা হতে চলেছেন এবং সোশ্য়াল মিডিয়ায় নিয়মিত পোস্ট করছেন তাঁর বেবি বাম্প-এর ছবি।
Read the full article in English