/indian-express-bangla/media/media_files/2025/07/09/sanjeev-2025-07-09-19-16-18.jpg)
যা বললেন তিনি...
Sanjeev Kumar: বলিউডের কিংবদন্তি অভিনেতা সঞ্জীব কুমার মাত্র কুড়ি বছর বয়সে, চলচ্চিত্র জগতে প্রবেশ করেছিলেন এবং খুব দ্রুতই হয়ে ওঠেন সময়ের অন্যতম শ্রদ্ধেয় অভিনেতা। 'অভিনেতাদের অভিনেতা' নামে পরিচিত এই শিল্পী তাঁর অসামান্য বহুমুখীতা এবং অভিনয়ের প্রতি নিখাদ নিবেদন দিয়ে আলাদা জায়গা করে নিয়েছিলেন। যেখানে সমসাময়িক অনেক তারকা গ্ল্যামার বা অ্যাকশনধর্মী চরিত্রে অভিনয় করতে আগ্রহী ছিলেন, সঞ্জীব বরাবরই আকৃষ্ট হতেন গঠনমূলক, চরিত্রনির্ভর ভূমিকায়।
এমনকি নিজের বয়সের অভিনেতাদের বাবার চরিত্রেও অভিনয় করেছিলেন। তিনি একবার বলেছিলেন, "গাছের চারপাশে দৌড়ানোর কোনো ইচ্ছেই আমার নেই।" অভিনয়ের বাইরে সঞ্জীব কুমারের আরেকটি বড় ভালোবাসা ছিল- খাবার। প্রায় প্রতিদিনই তিনি বন্ধুদের সঙ্গে খাওয়া-দাওয়া ও আড্ডায় মেতে উঠতেন। যদিও তিনি এক ট্র্যাডিশনাল নিরামিষভোজী গুজরাটি পরিবারে জন্মেছিলেন। তবু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মাংস, বিশেষত মুরগির প্রতি এক বিশেষ অনুরাগ তৈরি হয়। এমনকি শুধুমাত্র আমিষ খাবার উপভোগের জন্য তিনি মুম্বাইয়ের পালি হিলে একটি আলাদা বাড়িও কিনেছিলেন।
Mahiya Mahi: 'ডিভোর্স হয়নি, সম্পর্ক', বছর দুয়েক আগেই বিচ্ছেদ হয়? স্বামী প্রসঙ্গে বিস্ফোরক মাহি
তবে এই আনন্দে পরিপূর্ণ জীবনধারা একসময় তাঁর স্বাস্থ্যের ওপর গুরুতর প্রভাব ফেলে। অতিরিক্ত মদ্যপানের কারণে হৃদরোগে আক্রান্ত হন, এবং পরবর্তীতে তাঁকে অস্ত্রোপচার করতে হয়। চিকিৎসকরা তাঁকে অ্যালকোহল পুরোপুরি ত্যাগের পরামর্শ দেন, যা তিনি মেনে নেন। কিন্তু এই সিদ্ধান্ত তাঁর জীবনে এক নিঃসঙ্গ অধ্যায় নিয়ে আসে।
সম্প্রতি সাংবাদিক ভিকি লালওয়ানিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সঞ্জীব কুমারের ভাইজি জিগনা শাহ ও চলচ্চিত্র সাংবাদিক হানিফ জাভেরি জানান, মদ ছেড়ে দেওয়ার পর তাঁর বন্ধুদের অনেকেই তাঁকে এড়িয়ে যান। জিগনার ভাষায়, "যে বন্ধুরা প্রতিদিন সন্ধ্যায় তাঁর সঙ্গে সময় কাটাত, তারা হঠাৎ করেই তাঁরা হারিয়ে যায়। এটা তাঁকে ভীষণ কষ্ট দিয়েছিল।"
Zaira Wasim: ১৯ বছরেই বলিউডকে বিদায়, চুপিসারে বিয়ে, এই অভিনেত্রীর ত্যাগে ভরা জীবন চমকে দেবে
জাভেরি বলেন, "অনেকে সঞ্জীব কুমারকে কৃপণ বলত, কিন্তু সত্যি হলো তিনি ছিলেন অত্যন্ত উদার। বন্ধুদের তিনি গাড়ি থেকে শুরু করে বাড়ি পর্যন্ত উপহার দিয়েছিলেন।” জিগনা আরও জানান, “তিনি জীবদ্দশায় ইন্ডাস্ট্রির মানুষদের প্রায় এক কোটি টাকা ধার দিয়েছিলেন, যার মধ্যে একমাত্র বনি কাপুরই তাঁর মৃত্যুর পর ৩ লাখ টাকা ফিরিয়ে দেন।”
সত্যিকারের বন্ধুত্বের খোঁজে জীবন কাটালেও, শেষ পর্যন্ত সঞ্জীব কুমার বুঝেছিলেন—সবাই তাঁর মতো মন থেকে সম্পর্ককে গুরুত্ব দেয় না।