Love Aaj Kal Movie Cast: কার্তিক আরিয়ান, সারা আলি খান, রণদীপ হুদা, আরুশি শর্মা
Love Aaj Kal Movie Director: ইমতিয়াজ আলি
Love Aaj Kal Movie Rating: ১.৫ তারা
একই পরিচালকের একটি পুরনো ছবির নাম নিয়ে একটি টাটকা ছবি মুক্তি পাচ্ছে, এটা ভেবেই যদি আপনার আগ্রহে কিঞ্চিৎ ভাটা পড়ে, তবে সেটা একদম ঠিক। কিন্তু কল্পনাপ্রবণতার অভাব থাকা সত্ত্বেও যদি ভাবেন যে লাভ আজ কাল-এর ২.০ ভার্সনটি দিব্যি সপ্তম স্বর্গে চড়ে বসবে, সেটা একেবারেই ভুল। সেকাল ও একালের প্রেম নিয়ে ইমতিয়াজ আলি-র এই নতুন ছবিটি অত্যন্ত অস্পষ্ট এবং অগোছালো।
আরও পড়ুন: এভারেস্টের চূড়ায় পৌঁছতে চান চান্দ্রেয়ী ঘোষ, চলছে প্রস্তুতি
২০২০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত লাভ আজ কাল ছবিতে ছিলেন সইফ আলি খান ও দীপিকা পাডুকোন। সেখানে আমরা দেখেছিলাম দুটো টাইম পিরিয়ডের দুই জোড়া প্রেমিক-প্রেমিকাকে যারা সব সময়েই সংশয়ে রয়েছে সম্পর্ক নিয়ে। এই নতুন ছবিতেও তাই। শুধু এখানে সাম্প্রতিক আলগা প্রেম ও ডেটিংয়ের বিষয়টি যোগ করা হয়েছে। একদিকে রয়েছে একালের জুটি বীর (কার্তিক) এবং জো (সারা)। আর অন্যদিকে রয়েছে সেকালের অর্থাৎ নব্বই দশকের রঘু (রণদীপ) এবং লীনা (আরুশি)। দুই জোড়া প্রেমিক-প্রেমিকাই ক্রমাগত টানাপোড়েনে ভুগে চলেছে।
প্রেমের গল্প দেখতে কার না ভাল লাগে। একদিক থেকে দেখতে গেলে সব প্রেমের গল্পই কিছু কিছু একই রকম আবার প্রত্যেক প্রেমের গল্পেই এমন একটা কিছু থাকে যা সম্পূর্ণ আলাদা অন্য প্রেমের গল্পের থেকে। কিন্তু খাপছাড়াভাবে তৈরি করা সম্পর্কের সমস্যা, সংশয়যদি সারাক্ষণ চলতেই থাকে তবে কাঁহাতক ভাল লাগে। বিশেষ করে বীর আর জো যেভাবে বিছানায় ও বিছানার বাইরে কেরিয়ার বড় না প্রেম বড় এই তুলমূল্য করতে থাকে-- শুধুই কথার কচকচি মনে হয়, হৃদয়ে কোনও দোলা টোলা লাগে না।
ইমতিয়াজ আলির ছবি বরাবরই সংলাপ-কেন্দ্রিক। দেখতে দেখতে মনে হয় কোনও নিরালায় থাকা, ফিল্মি কেতার কবি-দার্শনিকের টেবিল থেকে উঠে আসছে কথাগুলি। কিন্তু সান্ধ্যভ্রমণে বেরিয়ে কতবারই বা গাড়ির ঝাঁকুনি খেতে ভাল লাগে। কথোপকথনের মধ্যে কোনও প্রাণ নেই, শুধুই চর্বিতচর্বণ।
আরও পড়ুন, লাভ আজ কাল পরশু: প্রেমের রহস্য ‘রোমাঞ্চ’ ধরে রাখতে ব্যর্থ
ইমতিয়াজ আলির বিগত বেশ কয়েকটি ছবির এটাই বৈশিষ্ট্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু অন্তত সেই ছবিগুলোততে কিছু জ্বলে ওঠা মুহূর্ত ছিল। এই ছবিতে সেটাও নেই। সেকালের ও একালের প্রেমিক হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করতে কার্তিক আরিয়ান অনেক কসরত করেন ঠিকই কিন্তু শেষ পর্যন্ত খুব একটা ভাল দাঁড়ায় না বিষয়টা। বরং সারা আলি খান বেশ ঝলমলে। কিন্তু চিত্রনাট্যের মধ্যে থাকে আটকা পড়া ছাড়া তাঁর উপায় নেই।
আরুশি শর্মার এটা প্রথম ছবি। সেদিক দিয়ে ভালই আর রণদীপ হুদা হল একমাত্র কারণ যার জন্য ছবিটা শেষ পর্যন্ত দেখা যায়। বরং পরিণত বয়সের রঘু আর লীনার ট্র্যাকটিই সবচেয়ে আকর্ষণীয় এই ছবিতে, যেটির আরও বেশি গুরুত্ব পাওয়া উচিত ছিল।
ছবির শেষে ক্রেডিট রোলে সব চরিত্রের মিলিজুলি মেডলে, কী চমৎকার ঝলমল করে ওঠে! আহা, গোটা ছবিটাই যদি এত প্রাণবন্ত হতো, তবে কী ভালই না লাগত!
Read this review in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন