Satabdi Roy Batsorik: প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় থেকে তাপস পাল সহ বাংলা ছবির খ্যাতনামা স্টারদের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করেছেন। কিন্তু, বর্তমানে রাজনীতির ময়দানের চরম ব্যস্ততার মাঝেই দিন কাটে। তিনি নান আদার দ্যান বীরভূমের তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়। দীর্ঘ বিরতি কাটিয়ে বড় পর্দায় গ্র্যান্ড কামব্যাক। পরিচালক মৈনাক ভৌমিকের হাত ধরেই লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশনের দুনিয়ায় ফিরে আসা। সফর সঙ্গী ঋতাভরী চক্রবর্তী। সৌজন্যে হরর ড্রামা 'বাৎসরিক'। সিনেমার স্টারকাস্টের কথা আগেই ঘোষণা করেছিলেন পরিচালক। শতাব্দী রায়ের নাম শুনেই সকলে চমকে গিয়েছিল। একইসঙ্গে আবার খুশিও হয়েছিল বাংলা ছবির দর্শক। পয়লা বৈশাখের সকালে প্রকাশ্যে বাৎসরিকের পোস্টার। আগামী ৬ জুন মুক্তি পাবে মৈনাক ভৌমিকের 'বাৎসরিক'। তার আগে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার তরফে যোগাযোগ করা হয় শতাব্দী রায়ের সঙ্গে। ফ্লোরে ফিরে কতটা আনন্দিত সেই অভিজ্ঞতাই ভাগ করে নিলেন।
আরও পড়ুন: মাকে ছাড়া প্রথম নববর্ষ, তবে পুরাতনে মায়ের গন্ধুটুকু পাচ্ছি: ঋতুপর্ণা
/indian-express-bangla/media/post_attachments/b642fdc4-563.jpg)
দীর্ঘ বিরতি কাটিয়ে শুটিং ফ্লোরে কামব্যাক কতটা নস্ট্যালজিক?
রুপোলি পর্দায় কামব্যাকটা আমার কাছে খুবই নস্ট্যালজিক। অনেকদিন পর ভাললাগা-ভালবাসার জায়গায় ফিরলাম। যে জায়গাটা আমাকে পরিচিতি দিয়েছে আবার সেখানে ফিরলাম। আজও আমার কাছে শুটিং ফ্লোরটা প্রাণ খুলে শ্বাস নেওয়ার জায়গা। কাজের চাপে সিনেমা থেকে অনেকদিন দূরে ছিলাম। সেভাবে কাজ করা হয়নি। কিন্তু, মাঝেমধ্যে যদি ফ্লোরে ফেরা যায় তাহলে সত্যিই খুব ভাল লাগে।
রাজনীতি আর শুটিং একসঙ্গে সামলাতে কোনও বেগ পেতে হয়েছে?
মৈনাক যখন আমার কাছে ছবির প্রস্তাব নিয়ে এসেছিল তখনই খোলাখুলি কথা বলেছি। পার্লামেন্ট সেশন, বীরভূমের কাজ ম্যানেজ করেই আমার পক্ষে শুটিং করা সম্ভব সেটা আমি আগেই স্পষ্ট করেছিলাম। টিমের পক্ষ থেকে কোনও আপত্তি জানানো হয়নি, বরং আমার কাজের সঙ্গে মানিয়ে নিয়েই শুটিংয়ের ডেট দিয়েছিল। একটাও সেশনের ডেট নষ্ট হয়নি। দুটো সেশনের মাঝে যে গ্যাপটা তখন শুটিং করেছি। সকলের সহযোগীতা ছিল বলেই একসঙ্গে রজানীতি আর শুটিং সামলাতে কোনও বেগ পেতে হয়নি।
অনেকদিন পর ক্যামেরার সামনে কোনও সমস্যা হয়েছে? নতুন প্রজন্মের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন?
সময় পালটেছে। আমার সময় শুটিংয়ের ধরন আর এখনকার প্রযুক্তির অনেক পার্থক্য। আগে ডবল ক্যামেরা যেভাবে ব্যবহার হত এখন সেটা অন্যভাবে ব্যবহৃত হয়। ডিরেক্টরের ভাবনাতে যেন ছবির এডিটিং পূর্বনির্ধারিত। এখন তো অনেক কম সময়ের ব্যবধানে ছবি মুক্তি পায়। তাই পরিচালকদের মাথায় একটা বাড়তি চাপ থাকে। সেটা আমি ফ্লোরে থেকে বুঝেছি। নতুন প্রজন্ম অনেক উন্নত। অনেকবেশি আত্মবিশ্বাসী। বাৎসরিকে কাজ করে একটা ভাল অভিজ্ঞতা সঞ্চার করেছি।
বহুযুগ পর গ্র্যান্ড কামব্যাক, এবার বাংলা ছবিতে শতাব্দী রায়ের আনাগোনা লেগেই থাকবে?
হ্যাঁ, সিনেমা করার ইচ্ছে আছে। দু'দিক যদি সামলাতে পারি তাহলে খুব হয়। ভাল ছবি, পছন্দের চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ একজন অভিনেত্রীর কাছে তো নিঃসন্দেহে ভাললাগার জায়গা।
আরও পড়ুন: একটা দিন বাঙালি সংস্কৃতি মেনে বাঙালিয়ানাকে গুরুত্ব দেওয়া কঠিন কাজ নয়: অম্বরীশ