Raid 2: সৌরভ শুক্লা, যাঁর নাম শুনলেই আজও চোখের সামনে ভেসে ওঠে 'সত্য' সিনেমার সেই আইকনিক চরিত্র 'কাল্লু মামা'। ১৯৮৮ সালে মুক্তি পেয়েছিল রাম গোপাল বর্মা পরিচালিত সুপারহিট মুভি 'সত্য'। সেখানেই 'কাল্লু মামা' চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন বলিউডের বর্ষীয়ান অভিনেতা সৌরভ শুক্লা। এরপর অসংখ্য ছবিতে অভিনয় করেছেন। 'জলি এলএলবি'-তে সহ অভিনেতার জন্য ঝুলিতে এসেছে জাতীয় পুরস্কারও। কিন্তু, ভক্তদের জন্য তিনি আজও 'কাল্লু মামা'। ১ মে মুক্তি পেয়েছে 'রেইড ২'।
আরও পড়ুন: বিনা পারিশ্রমিকে কাজ করেছি, যে টোকেন মানি পেতাম সেটা আমি ওয়াকার্সদের মধ্যে বিলিয়ে দিতাম: রাখি গুলজার
নতুন ছবি নিয়ে খুবই আশাবাদী তিনি। সৌরভ শুক্লার স্থায়ী ঠিকানা মুম্বই হলেও কলকাতার সঙ্গে রয়েছে নিবিড় সম্পর্ক। তারকা পরিবারে রয়েছে খাঁটি বাঙালিয়ানার ছোঁয়া। 'রাজাজি'-র মা ও স্ত্রী দুজনেই বাঙালি। তাই বাঙালি সংস্কৃতির সঙ্গে বিশেষভাবে পরিচিত অভিনেতা সৌরভ শুক্লা। সাম্প্রতিক অতীতে খাস কলকাতায় বিশিষ্ট পরিচালক কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে 'মনোহর পাণ্ডে' ছবিতে কাজ করেছেন। 'রেইড ২' মুক্তির পর ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার সঙ্গে বাংলার সংস্কৃতি, তিলোত্তমার সৌন্দর্য নিয়ে মন কি বাত শেয়ার করলেন পর্দার 'রাজাজি'।
/indian-express-bangla/media/post_attachments/858647bf-9b0.jpg)
কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে কলকাতায় কাজ করেছেন। বলিউডে হাইস্কেল বাজেটে কাজের পর বাংলা ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে কাজ করতে স্বচ্ছন্দ্যবোধ করেছিলেন?
আমি সবসময় ভাল কাজ করতে চাই। কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় ভীষণ ভাল মানুষ। দুর্দান্ত পরিচালক। সর্বোপরি প্রতিভাবান একজন আর্টিস্ট। আর একজন ভাল ফিল্ম মেকারের সঙ্গে কাজ করে যে তৃপ্তি পাওয়া যায় আমি সেটাই পেয়েছিলাম। সেক্ষেত্রে বাজেট কোনও অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়নি। কলকাতা থেকে যদি আগামীতেও ভাল ছবি, ভাল স্টার কাস্টের সঙ্গে বংলা বা সেমি বাংলা ছবিতে কাজের সুযোগ পাই তখনও খুব ভাল অভিজ্ঞতা সঞ্চার করব বলেই আমি আশাবাদী।
বাংলায় আপনার পছন্দের এমন কোনও অভিনেতা-অভিনেত্রী আছেন যাঁর সঙ্গে কাজ করতে চান?
হ্যাং, অনেকেই আছেন। অনেক পরিচালক-আর্টিস্ট আছেন যাঁদের সঙ্গে আমি কাজ করতে চাই। চলচ্চিত্র জগৎটা তো ছোট। তাই আগামীতে কোনও না কোনও সময় আবার কলকাতার শিল্পীদের সঙ্গে নিশ্চয়ই কাজের সুযোগ হবে।
কলকাতা আপনার ভাল লাগে? আর যদি লাগে তাহলে কোন জিনিসটা আপনাকে আকৃষ্ট করে?
কলকাতা আমার ভীষণ পছন্দের একটি জায়গা। যখন শুটিং করছিলাম তখন তো গঙ্গার ঘাটেও গিয়েছি। কলকাতার মানুষ আমার ভীষণ ভাল লাগে। ওঁদের চলনবলন, কথাবার্তার স্টাইল খুব পছন্দ। বিশেষ করে ওখানকার খাওয়ার তো দুর্দান্ত।
কলকাতার কোন কোন খাবার আপনার পছন্দ?
কোনটা পছন্দ না বলুন তো? সুক্তো থেকে মাছ ভাজা, মাছের কালিয়া, ছোলার ডাল, রাধাবল্লভী, মাছের চচ্চড়ি, কষা মাংস, লুচি সব ভাল লাগে। কলকাতার খাবার এতটাই ভাল যে না খেয়ে থাকাই যায় না। সব খাবারের নাম বললে তো তালিকা শেষই হবে না। (ফোনের ওপারে প্রাণখোলা হাসি) এছাড়া মিষ্টি তো আছেই।
আপনার কাছের দুজন মানুষই বাঙালি। বাংলা ভাষার উপর আপনার দক্ষতা কেমন?
না, আমি গড়গড়িয়ে বাংলা বলতে পারি না। কারণ আমার অভ্যাস নেই। তবে বাংলা পুরোটাই বুঝতে পারি। মা-স্ত্রী দুজন বাঙালি। সেইদিক থেকে বিচার করলে আমিও বাঙালি। অনেক বাঙালি বন্ধুবান্ধব আছে। তাঁদের সবকথাই বুঝতে পারি। অভ্যাস থাকলে আমিও শিখে যেতাম।