১৯৬৮ সালে ‘ব্রহ্মচারী’ ছবির শুটিং চলাকালীন, বর্ষীয়ান অভিনেত্রী মুমতাজ এবং কিংবদন্তি অভিনেতা শাম্মী কাপুরের মধ্যে প্রেমের গুঞ্জন শুরু হয়। যা বছরের পর বছর ধরে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল। যদিও সম্পর্কটি দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। দুজনেই পরবর্তীতে অকপটে স্বীকার করেছিলেন, তাদের রোম্যান্স অল্প দিনের হলেও ছিল গভীর এবং আবেগপ্রবণ।
একটি পুরনো সাক্ষাৎকারে লেহরেন রেট্রোকে শাম্মী কাপুর বলেন, “তখন আমি বিপত্নীক, গীতা (বালি) আমার জীবন থেকে চিরতরে চলে গিয়েছেন। সেই সময় মুমতাজ এক অপূর্ব সুন্দরী। কিছু সময়ের জন্য আমরা স্বপ্নে ভেসে ছিলাম। কিন্তু খুব দ্রুতই তা এক দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়। তবে তাতেই সব শেষ হয়নি, আমি আজ যে অবস্থায় আছি, তাতে খুব খুশি।”
Sanjay Dutt: বাংলাদেশে ভয়ঙ্কর কাণ্ড ঘটান সঞ্জয়, আওয়াজ শুনেই পিছনে ফির…
শাম্মী কাপুরের প্রথম স্ত্রী গীতা বালি ১৯৬৫ সালে গুটিবসন্তে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হন। তার পর অভিনেতার জীবনের অধ্যায়ে মুমতাজ এসে পড়েন। মুমতাজ নিজেও স্বীকার করেছিলেন এই সম্পর্কের গভীরতা। রেডিফ-এ এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, মাত্র ১৭ বছর বয়সে শাম্মী কাপুর তাঁকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। কিন্তু সেই প্রস্তাব তিনি ফিরিয়ে দেন। কারণ শাম্মী চেয়েছিলেন, মুমতাজ যেন অভিনয় জীবন ছেড়ে দেন। সেই সময় কাপুর পরিবারের রীতি অনুযায়ী, পরিবারের নারীরা সিনেমায় কাজ করতে পারতেন না।
মুমতাজ বলেন, "তিনি যে পরিমাণ ভালোবাসা আমাকে দিয়েছিলেন, তা আজও কেউ দিতে পারেনি। আমি তাকে কোনওদিন ভুলতে পারিনি। এখনও তার নাম শুনলে চোখে জল চলে আসে। আমাদের সম্পর্ক শুধুই প্রেম ছিল না, তার চেয়েও বেশি কিছু ছিল। আমরা একে অপরকে সত্যিকারের ভালোবাসতাম।"
Saiyaara: শাহরুখের ছবিকে টেক্কা 'সাইয়ারা'র, আহান কি তবে বলিউডের নতু…
তিনি আরও জানান, "আমি তখন অনেক টাকা উপার্জন করছিলাম, আমার নেপথ্যে একটা পরিবারের সংগ্রাম ছিল। আমাকে দায়িত্ব নিতে হতো। সেই সময় আমি ছিলাম সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত অভিনেত্রীদের একজন। প্রতি সিনেমায় প্রায় ৮ লক্ষ টাকা পেতাম। অভিনয় ছেড়ে দেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব ছিল না। আমারও স্বপ্ন ছিল। ছোটবেলায় মা জিজ্ঞাসা করলে বলতাম, আমি ইরানের শাহেনশাহের ছেলেকে বিয়ে করব।"
শেষ পর্যন্ত, এই প্রেমের অধ্যায় শেষ হলেও দুজনই নিজের নিজের জীবনে এগিয়ে যান। শাম্মী কাপুর পরে নীলা দেবীকে বিয়ে করেন, এবং মুমতাজ বিয়ে করেন ব্যবসায়ী ময়ূর মাধবানিকে।