Shefali Jariwala Friend's Statement: সত্যনারায়ণ পূজোর পরদিনই চিরঘুমে কাঁটা লাগা গার্ল শেফালি জারিওয়ালা। ২৭ জুন রাতে বাড়িতে আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েন অভিনেত্রী। তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি। মৃত্যুর আগের মুহূর্তে ঠিক কী ঘটেছিল? শেফালিকে ছাড়া কেটে গিয়েছে চারদিন। শুক্রবার রাতে শেফালির বাড়ির পরিস্থিতি কেমন ছিল, পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ করলেন প্রয়াত অভিনেত্রীর কাছের বান্ধবী পূজা ঘাই।
বিবেক ললওয়ানির সঙ্গে কথপকথোনের সময় পূজা বলেন, ' ময়নাতদন্তের পরই আমরা বুঝতে পেরেছি ঘটনাটা ঠিক কী ঘটেছিল। ওঁর পরিবার ও পরাগের থেকে সবকিছু শুনে আমার মনে হয়েছে আগের দিন বাড়িতে সত্য নারায়ণ পুজো ছিল। ওঁর শেষকৃত্যের সময়ও বাড়িটা সাজানো ছিল। শরীর নিয়ে খুব সচেতন ছিল। নির্দিষ্ট সময়ে নৈশভোজ করত। তারপর পরাগকে বলত পোষ্যকে ঘুরিয়ে আনতে। যে মুহূর্তে ও নীচে নেমেছে পরিচারিকা ডেকে বলেছেন, দিদির শরীর ভাল নেই। তখন পরাগ পোষ্যকে ঘোরানোর জন্য পরিচারিকাকে নীচে ডেকে উপরে চলে যায়।'
আরও পড়ুন 'কার আয়ু কতদিন...', ক্যানসার মুক্ত হতে Robotic Surgery দীপিকার, শেফালির মত্যুতে উদ্বিগ্ন
এরপর যা ঘটেছিল সেটা মনে করলে এখনও শেফালির কাছের মানুষরা শিউরে উঠছেন। পূজা জানাচ্ছেন, 'লিফটের সামনে পরাগ অপেক্ষা করছিল। পরিচারিকা নীচে আসেন। পোষ্যকে ওঁর হাতে দিয়ে লিফটে চেপে উপরে চলে যায়। তখনও পরাগ দেখেছে শেফালি হার্টবিট চলছে। কিন্তু, চোখ দুটো বন্ধ। শরীরের ওজন যেন বেড়ে গিয়েছিল। তখনই বুঝতে পারে কিছু একটা নিশ্চয়ই ঘটেছে। সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু, বেলভিউতে নিয়ে যাওয়ার আগেই সব শেষ।'
সেইদিনের ঘটনার কথা বলতে গিয়ে আরও জানান, হাসপাতাল থেকে ফেরার পর শেফালির মা অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁরও হৃদযন্ত্রে ব্যথা অনুভব হয়। দেরি না করে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে ওষুধ দেন পূজা। ঘুমানোর পর পূজা সেখান থেকে আসেন। শেফালির অ্যান্টি এজিং ট্রিটমেন্ট নিয়ে কী বললেন বান্ধবী? কাঁটা লাগা গার্ল শেফালি যৌবন ধরে রাখতে নিয়মিত ভিটামিন সি আইভি ড্রিপ নিতেন, সেই কথা স্বীকার করেছেন পূজা। শুক্রবার রাতেও নিয়েছিলেন। একইসঙ্গে পূজা ঘাই আরও একটি বিষয় নিশ্চিত করেছেন, এটি কোনওভাবেই ক্ষতিকারক নয়। দুবাইয়ে প্রায় প্রত্যকেই এটি নিয়ে থাকে।
আরও পড়ুন কার সঙ্গে দেখা করার আগেই অকাল মৃত্যু 'কাঁটা লাগা' গার্লের? প্রকাশ্যে শেফালির শেষ চ্যাট