Shikara movie review: বিধু বিনোদ চোপড়ার ছবি নিয়ে উচ্চাশা পূরণ হল না
শিকারা ছবির প্রসঙ্গটি স্পষ্ট করতে অক্ষম। ‘ধারা ১৪৪-এর কারণে সমস্যা’, ‘নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ না হওয়া’, ‘ভারত চলে যাও’- এ ধরনের কিছু আলগা মন্তব্য দর্শক পাবেন।
শিকারা ছবির প্রসঙ্গটি স্পষ্ট করতে অক্ষম। ‘ধারা ১৪৪-এর কারণে সমস্যা’, ‘নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ না হওয়া’, ‘ভারত চলে যাও’- এ ধরনের কিছু আলগা মন্তব্য দর্শক পাবেন।
Shikara movie cast: আদিল হুসেন, সাদিয়া, ফাইজল সাইমন
Advertisment
Shikara movie director: বিধু বিনোদ চোপড়া
Shikara movie rating: ২.৫
কাশ্মীরি পণ্ডিতদের, তাদের বসবাসের জায়গা থেকে সরে আসার কাহিনি বলার সময়, বিধু বিনোদ চোপড়া আলাদাভাবে দুটি ব্যক্তির মধ্যে রোম্যান্স তৈরি করতে করেছেন। যা অত্যন্ত সুন্দর এবং বিশ্বাসযোগ্য। শিবকুমার ধর এবং তাঁর স্ত্রী শান্তির দিকে তাকিয়ে আপনি দীর্ঘশ্বাস ফেলবেন। তারপরেই আপনাই চোখ চলে যাবে স্ক্রিনে ভেসে ওঠা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দিকে, ধীরে ধীরে তা ধুলিস্যাৎ হবে ও আপনি নিজের মনেই বলবেন কেন।
Advertisment
কিন্তু কেন এটা ঘটছে? কেন নির্দিষ্ট একটি সম্প্রদায় এবং তাদের মানুষজনকে জোর করে কাশ্মীর থেকে বের করে দেওয়া হচ্ছে? শিকারা ছবির প্রসঙ্গটি স্পষ্ট করতে অক্ষম। ‘ধারা ১৪৪-এর কারণে সমস্যা’, ‘নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ না হওয়া’, ‘ভারত চলে যাও’- এ ধরনের কিছু আলগা মন্তব্য দর্শক পাবেন। জঙ্গিবাদকে সীমান্তের ওপার থেকে উৎসাহ এবং সমর্থন (দেখা যায় সাদাকালো টিভিতে বেনেজির ভুট্টো আজাদি-র স্লোগান দিচ্ছেন) দেওয়া হচ্ছে বটে, কিন্তু এর বেশি গভীরে কিছু দেখা যায় না।
কোনও ফিচার ফিল্মকে ছবির প্রতিটি জটিল বিষয়ের বৈশিষ্ট্য যাচাই করার ভার বহন করতে হবে তা নয়। সিনেমা চলাকালীন শিব (খান) এবং শান্তির (সাদিয়া) মিষ্টি দৃশ্য আপনাকে আগের যুগ স্মরণ করিয়ে দেয়, যখন হিন্দি সিনেমায় কাশ্মীরকে রোমান্টিক দৃশ্যে ব্যবহার করা হত। ডাল হ্রদে ভাসমান শিকারা, বছরের পর বছর বাড়ির নৌকাগুলি ব্যাকওয়াটারে আচ্ছাদিত, সামনে জনপ্রিয় তারকাদের সিনেমার পটভূমি।
কাশ্মীরের ‘সমস্যার’ একটি অংশ নিয়ে সমস্ত জটিলতার কথা বলার জন্য ব্যবহৃত হল পণ্ডিতদের ক্ষত, যাদের জম্মু মেক-শিফট শিবিরে আশ্রয় নিতে হয়েছিল এবং সর্বত্র ছড়িয়ে যাওয়া জীবনটাকে ফের গোটাতে হয়। কিন্তু ফিরে যাওয়ার আশা কখনই মনে থেকে চলে যায়নি এবং এটি ছবির মধ্যে যন্ত্রনার কান্নার মতো পরিলক্ষিত, পুরোটাই পরিচালকের ব্যক্তিগত। একথা আমরা বলছি কারণ, ছবির ক্রেডিট আমাদের বলে যে চোপড়ার মা (ওনারও নাম শান্তি) আশির দশকের শেষদিকে উপত্যকা ছেড়ে চলে এসেছিলেন এবং কখনও ফিরে যেতে পারেন নি।
শিব এবং শান্তি সেই সময় ফিরে গিয়েছে যখন হিন্দি সিনেমার প্রেমিক প্রেমিকারা আপনাকে হাসিখুশি করার ক্ষমতা রাখত, তাদের ঘনিষ্ঠতায় পৌঁছাতে সময় লাগত এখানে সেই টানটান সমীকরণটি উঠে এসেছে। ছবিটি আমাদের দেখিয়েছে বর্তমান সময়ের বলিউড কীভাবে রোম্যান্স করতে হয় তা ভুলে গেছে। তবে সিনেমা দেখতে দেখতে আপনি কখন ছবির আসল বিষয় থেকে সরে গেছেন বুঝতে পারবেন না। ইতিহাসের আরও ব্যাপ্ত ধারনা এই ছবিটিকে আরও বেশি সম্পূর্ণ করে তুলতে পারত।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন