Zubeen Garg Death: জুবিনের মৃত্যুতদন্তে নয়া মোড়, দুই দেহরক্ষীর অ্যাকাউন্টে কোটি টাকার লেনদেন!

Zubeen Garg Death Case: প্রতিনিয়ত জুবিনের মৃত্যুকাণ্ডে আসছে নয়া মোড়। অসম পুলিশ সূত্রে খবর, প্রয়াত গায়ক জুবিন গর্গের দুই ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে এক কোটি টাকার হদিশ পাওয়া গিয়েছে।

Zubeen Garg Death Case: প্রতিনিয়ত জুবিনের মৃত্যুকাণ্ডে আসছে নয়া মোড়। অসম পুলিশ সূত্রে খবর, প্রয়াত গায়ক জুবিন গর্গের দুই ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে এক কোটি টাকার হদিশ পাওয়া গিয়েছে।

author-image
IE Bangla Entertainment Desk
New Update
zubeen

চাঞ্চল্যকর মোড়

Zubeen Garg Death Case Update: 'ইয়া আলি' খ্যাত বিশিষ্ট গায়ক জুবিন গর্গের মৃত্যু ঘিরে দানা বাঁধছে রহস্য। সামনে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। সত্যিই স্কুবা ডাইভিংয়ের সময় ডুবে মৃত্যু নাকি খুন? জুবিন গর্গের মৃত্যু ঘিরে রহস্য ক্রমশ ঘণীভূত হচ্ছে। ঘটনায় নাম জড়িয়েছে জুবিনের আপ্তসহায়ক থেকে সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠানের আয়োজক। ব্যান্ডের সহকর্মীর বিস্ফোরক অভিযোগ, জুবিন একজন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সাঁতারু বিষক্রিয়ার ফলে মৃত্যু হয়েছে। সিঙ্গাপুরের সাক্ষীদের ডাকার নির্দেশও দিয়েছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। এছাড়াও সামনে এসেছে আরও অনেক সন্দেহজনক তথ্য। প্রতিনিয়ত জুবিনের মৃত্যুকাণ্ডে আসছে নয়া মোড়। অসম পুলিশ সূত্রে খবর, প্রয়াত গায়ক জুবিন গর্গের দুই ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে এক কোটি টাকার হদিশ পাওয়া গিয়েছে।

Advertisment

উল্লেখ্য, ১৯ সেপ্টেম্বর সিঙ্গাপুরে সাঁতার কাটার সময়ই মারা যান জুবিন গর্গ। সেখানে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত জুবিনের কণ্ঠের জাদু থেকে বঞ্চিত রয়ে গিয়েছে তাঁর অগণিত ভক্ত। গর্গের মৃত্যুর তদন্তে বর্তমানে নয় সদস্যের একটি বিশেষ তদন্ত দল (এসআইটি) কাজ করছে। সূত্রের খবর, এসআইটি খুব শীঘ্রই আরও এক সাক্ষীর বয়ান রেকর্ড করবে। যিনি সেই ইয়টে উপস্থিত ছিলেন। এই মামলায় ইতিমধ্যে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছেন আয়োজক শ্যামকানু মহান্ত ও আপ্তসহায়ক সিদ্ধার্থ শর্মা।

আরও পড়ুন বিষক্রিয়ায় মৃত্যু জুবিনের! ম্যানেজার-অনুষ্ঠানের আয়োজকের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ ব্যান্ডের সহকর্মীর

Advertisment

জুবিন গর্গের স্ত্রী স্বামীর ময়নাতদন্তের রিপোর্টটি পুলিশকে ফেরত দিয়েছেন। তাঁর দাবি এটি ব্যক্তিগত নথি নয় এবং তদন্তকারীরাই সিদ্ধান্ত নেবেন রিপোর্টটি জনসমক্ষে আনা উচিত কি না। রিমান্ড নোটে উল্লেখ করা হয়েছে, 'গর্গ যখন শ্বাস নেওয়ার জন্য লড়াই করছিলেন তখন প্রায় ডুবে যাচ্ছিলেন। সেই সময় সিদ্ধার্থ শর্মাকে বলতে শোনা যায় ‘ওকে যেতে দাও’। সাক্ষী জোর দিয়ে বলেছেন, গর্গ একজন দক্ষ সাঁতারু ছিলেন। যিনি তাঁকে ও অভিযুক্তদেরও প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন। তাই তিনি ডুবে মারা যেতে পারেন না।'

নোটে আরও বলা হয়েছে, 'তিনি (শেখর জ্যোতি গোস্বামী) অভিযোগ করেছেন সিদ্ধার্থ শর্মা ও শ্যামকানু মহান্ত জুবিন গর্গকে বিষপ্রয়োগ করেছিলেন এবং ষড়যন্ত্র গোপন রাখার জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে বিদেশের স্থান নির্বাচন করেছিলেন। সিদ্ধার্থ শর্মা তাঁকে নির্দেশ দিয়েছিলেন যেন ইয়টের কোনও ভিডিও কাউকে দেখানো না হয়।'

এসআইটির সদস্য ও সিনিয়র এসপি রোজি কলিতা স্বাক্ষরিত নোটে উল্লেখ রয়েছে, 'বিএনএসএস-এর ১৭৫ ধারায় রেকর্ড করা সাক্ষীর বয়ানে বলা হয়েছে গর্গের মৃত্যুর আগে থেকেই এটিকে দুর্ঘটনা হিসেবে দেখানোর ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। সাক্ষী জানিয়েছেন, সিদ্ধার্থ শর্মা যিনি সিঙ্গাপুরের প্যান প্যাসিফিক হোটেলের রুম নং ৩০১০-এ তাঁর সঙ্গে ছিলেন সন্দেহজনক আচরণ করেছিলেন।' শেখর জ্যোতি গোস্বামীর দাবি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে গর্গের স্ত্রী গরিমার পালটা প্রশ্ন, 'যদি শেখর এসব জানত তাহলে এতদিন চুপ ছিল কেন? যাই হোক, তদন্ত চলছে। কেউ দোষী হলে তাঁকে কঠোরতম শাস্তি পেতে হবে।'

আরও পড়ুন 'ম্যানেজার তো জানত ওঁর...', আয়োজককেও কাঠগোড়ায় তুলে তদন্তের দাবি, জুবিনের মৃত্যুতে বিস্ফোরক স্ত্রী

Zubeen Garg