কসবা কাণ্ডে একের পর এক তথ্য উঠে আসছে। অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্র যা কাণ্ড ঘটিয়েছেন তারপর বারবার শাসকদলের দিকে আঙুল উঠছে। ল কলেজের ছাত্র পরিষদের এই নেতা কলেজ ক্যাম্পাসে এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করেই পুলিশি হেফাজতে। শুধু তাই নয়, তিনি এবং তাঁর সঙ্গে আরও যারা ছিলেন তাঁদের নিয়ে উঠে আসছে নানা অভিযোগ। শসাকদলের তরফে যে নিজেদের ছত্রছায়ায় থাকা নেতাদের শাস্তি দেন না এমন কথাও শোনা যাচ্ছে।
ঠিক একবছর আগে আগস্ট মাসে ঘটেছিল আরজিকর নৃশংস হত্যা। সেই হত্যাকাণ্ডে সরকারের তরফে আসল অভিযুক্তদের শাস্তি দেওয়া তো দূর, তারকারা এমনও দাবি করেছেন, অনেককে খুঁজেও পাওয়া যায়নি। এবং, ল কলেজে ধর্ষণের কাণ্ড ঘটার পর অনেকেই দাবি করছেন যে আগের বার যদি নজিরবিহিন শাস্তি হত, তাহলে আজ এই কাণ্ড হত না। তারকারা সরব হয়েছেন এই ঘটনায়। শ্রীলেখা থেকে চন্দন সেন- অনেকেই সরকারকে তুলোধনা করেছেন। তবে, সরব হয়েছেন এবার সোহম চক্রবর্তীও।
Federation vs Producer: বন্ধ হবে না কাজ, প্রযোজকদের বড় আশ্বাস ফেডারেশ…
সোহম বর্তমানে বহুরূপ ছবি নিয়ে ব্যস্ত। রাজনীতির ময়দানেও তাঁকে দেখা যায়। কিন্তু, ছবির ক্ষেত্রে অনেকই সাবধানতা অবলম্বন করছেন তিনি। সোহমকে শাসকদলের তরফে অনেকবার তিনি বিধানসভা নির্বাচনেও জিতেছেন। তাই তাঁকে যখন কসবার গণধর্ষণ নিয়ে প্রশ্ন করা হল এবং শাসকদলকে যে বারবার মানুষ নানা বিশেষণে বিদ্ধ করছেন এমনটা জানানো হল তখন তিনি কী বলছেন?
অভিনেতাকে বলতে শোনা গেল, "নিন্দা করার ভাষা আমাদের জানা নেই। আমরা যে পার্টি করি না কেন যাকেই সমর্থন করি না কেন, সবসময় আমরা সরকারকে দুষি। কোনও সরকারই বলে দেয় না, এই ধরণের ক্রাইম আপনারা করুন। কোনওভাবেই সরকার ক্রিমিনালদের পাশে থাকে না। আইন তো রয়েছেই, কিন্তু বেশ কিছু সমস্যাও রয়েছে। একারণেই এই অন্যায়গুলো বারবার হয়ে আসছে। আমার একটাই কথা, এই ধরণের ক্রিমিনালদের কোনও জায়গা তো নেইই, বরং এদের কঠিন থেকে কঠিনতম শাস্তি দেওয়া উচিৎ।"
Shankar Mahadevan: 'কীভাবে জীবন কাটবে জানি না..', চলে গেল প্রিয়জন, …
প্রসঙ্গে, একটা সময় সত্যজিৎ রায়ের হাত ধরে এই ইন্ডাস্ট্রিতে পা রেখেছিলেন তিনি। কিন্তু, নায়ক হিসেবে এক দুটি বই ছাড়া সেভাবে হিট দিতে পারেননি। মাস্টার বিট্টূর কেরিয়ার যেন হরলিক্সের মধ্যেই সীমাবদ্ধ হয়ে আছে। তবে, আসন্ন ছবিতে একদম অন্যরকম ভূমিকায় তাঁকে দেখা যেতে চলেছে।