Sonali Bendre cancer: গত বছর হাই গ্রেড ক্য়ানসার ধরা পড়েছিল। কিন্তু তিনি ভেঙে পড়েননি। বরং যেভাবে সোনালি বেন্দ্রে এই মারণ রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন, তা বহু মানুষকে অনুপ্রেরণা দিয়েছে। কাজটা যে কঠিন ছিল, সেটা আর নতুন করে বলার কিছু নেই। কিন্তু সোনালি কীভাবে পেরেছিলেন, তা জানতে উন্মুখ তাঁর শুভাকাঙক্ষী, ভক্ত-অনুগামীরা। সম্প্রতি নেহা ধুপিয়ার চ্য়াট শো 'বিএফএফ উইথ ভোগ'-এ অভিনেত্রী ফিরে তাকালেন। উঠে এল কেমোথেরাপির কথা, একরাশ ঘন চুল হারানোর স্মৃতি।
ওই চ্য়াট শো-তে নেহা জানান যে সোনালির কেরিয়ারের প্রথম দিকে, ঘন লম্বা চুল ছিল অভিনেত্রীর ইউএসপি। লম্বা চুলের জন্য়েই প্রথমদিকে বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য় চরিত্র পেয়েছিলেন তিনি। সোনালি নিজেও সেই কথা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, ''এখন পিছন ফিরে তাকালে মনে হয়, যেন লম্বা চুলই আমার সবকিছু ছিল প্রথম থেকেই। ওই সময় বোধহয় এমন কোনও হেয়ার প্রোডাক্ট ছিল না যার বিজ্ঞাপন করিনি আমি। আবার আমার বিজ্ঞাপন থেকেই ছবির কাজের অফার এসেছিল। নিঃসন্দেহে আমার ব্যক্তিত্বের একটা অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছিল আমার চুল...।''
আরও পড়ুন: ‘বিয়ে নেই তবু পবিত্র বন্ধন’! হৃতিককে নিয়ে আর কী বললেন সুজান?
তাই যখন সোনালি উপলব্ধি করলেন যে কেমো সেশনের জেরে তাঁর প্রিয় ঘন লম্বা চুল আর থাকবে না, একটু একটু করে বিষয়টার সঙ্গে মানিয়ে নিতে থাকলেন তিনি। প্রথমে ছোট চুলের হেয়ারকাট করলেন, তার পরেও আস্তে আস্তে সব চুল উঠে গেল। কিন্তু এই পরিবর্তনের জন্য় হা-হুতাশ না করে, নিজেকে সেইমতো মানসিকভাবে প্রস্তুত করেছিলেন সোনালি।
কেউ বলেছিল কেটে ফেলা চুলের অংশবিশেষ রেখে দিতে, উইগ প্রস্তুত করার জন্য়। কিন্তু সোনালি রাখতে চাননি। সোনালির বক্তব্য, যা থাকার নয়, তাকে জোর করে আটকে রেখে লাভ নেই। তিনি যে আঁকড়ে থাকেননি, সেটাই ভাল হয়েছে তাঁর পক্ষে। ''বরং এখন যে আবার নতুন করে চুল গজাচ্ছে মাথায় সেটাই বড় কথা'', বলতে বলতে চোখের জলে ভাসলেন সোনালি।
আরও পড়ুন: ‘শেষের কবিতা’র পরে কী! একই বিষয়ে দু’টি ছবি, অবাক পরিচালকেরা
ক্য়ানসারের বিরুদ্ধে তাঁর যুদ্ধে দু'টি হ্য়াশট্য়াগ তৈরি করেছেন সোনালি যা তাঁকে তো শক্তি জুগিয়েছেই, পাশাপাশি বহু মানুষকেই অনুপ্রেরণা দিয়েছে। 'ওয়ান ডে অ্য়াট আ টাইম' ও 'সুইচ অন দ্য় সানশাইন'-- এই দুটি হ্য়াশট্য়াগ কীভাবে এল, জানালেন অভিনেত্রী, ''যখন প্রথম জানতে পেরেছিলাম, ট্রেনের ধাক্কার মতোই তীব্র ছিল আঘাতটা। কী করব বুঝতে পারছিলাম না। ওই সময় গোল্ডি আমাকে বলেছিল, শুধু আজকের দিনটা নিয়ে ভাবো। আজকের দিনটা কাটাও। সেই থেকেই ওয়ান ডে অ্য়াট আ টাইম হ্যাশট্যাগের জন্ম। এটা এখন অনেকটা মন্ত্রের মতো হয়ে গিয়েছে। আর সুইচ অন দ্য সানশাইন কারণ আমার মনে হতো আমার উপর একটা কালো মেঘ চেপে বসেছে। আমি সেটা চাই না... আমি রোদ্দুরে বাঁচতে চাই... তাই আমি আলো জ্বালার কথা বলি।''