কথায় বলে প্রত্যেকটা মানুষের একটা করে সিগনেচার স্টাইল থাকে, সেরকমই পরিচালকদের মধ্যেও সেই দৃশ্য দেখতে পাওয়া যায়। পরিচালক তার স্টাইল মেইন্টেন করেই ছবি বানান। অভিনেতাদের, সেই স্টাইলে নিজেকে মানানসই করে তুলতে হয়। বাংলা ছবির ক্ষেত্রে, যেমন সত্যজিৎ রায় কিংবা মৃণাল সেনের প্রসঙ্গ আসে, তারা নাকি অত্যন্ত ভেবেচিন্তে নির্দিষ্ট স্টাইলে ছবি বানাতেন, সেরকমই আরেকজন পরিচালকের নাম না উঠলে বোধহয় অন্যায় হবে। তিনি তপন সিংহ। তার ছবি বানানোর ধরন ছিল একেবারেই অন্যরকম।
শুধু সিনেমার চিত্রায়ন না, বরং সুরের উপর তার দারুন দখল ছিল। বেশিরভাগ সময় নিজের ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর নিজে দাঁড়িয়ে থেকেই বানাতেন।ছবি বানাতেন গোটা বিশ্বের কথা চিন্তা করেই। কিন্তু, তাঁর কাছ থেকে একজন মানুষ খুব উপকৃত হয়েছিলেন বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে। তিনি আর কেউ নন বরং সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের অন্তর্ধান ছবিটি পরিচালনা করেন তপন সিংহ। সেই সময়ের বাংলা ছবি ঠিক কতটা এগিয়ে ছিল, এই ধরণের ছবি দেখলেই বোঝা যায়। সুদক্ষ পরিচালনায় অন্তর্ধান হয়ে উঠেছিল, বাংলা ছবির একটি মাইলস্টোন।
Bollywood: 'ধর্ষ*ণ কী সেটা', ছেলের মুখে একথা শুনেই রেগে আগুন তাঁর ম…
সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় একবার তপন সিংহ কে নিয়ে বলেছিলেন, “আমার ক্যারিয়ারের একদম শুরুর দিকেই তপনবাবুর কাছ থেকে আমি অনেক কিছু শিখেছি। বরং আমার বলা উচিত, ক্যামেরার সামনে কি করে হাটতে হয় এটাই উনি আমার শিখিয়েছিলেন। উনি প্রচণ্ড রিহার্সালে বিশ্বাস করতেন। ততক্ষণ পর্যন্ত থামতেন না, যতক্ষন না সঠিকভাবে বিষয়টা উপস্থাপিত হত।”
সত্যজিৎ রায় এবং তপন সিংহর মধ্যে মিল ছিল?
সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, তপন বাবুর সঙ্গে রিহার্সালের ক্ষেত্রে সত্যজিৎ রায় অনেকটাই মিল ছিল। তিনি বলেছিলেন, সত্যজিৎ রায় কোনদিনই কোন অভিনেতাকে কি করে অভিনয় করতে হয় সেটা শিখিয়ে দিতেন না। কিন্তু দুজনের মধ্যে একটা মিল ছিল, দুজনেই খুব সুন্দর করে স্ক্রিপটা সকলকে বুঝিয়ে দিতেন কিংবা পড়তেন। যারা ভীষণ ইন্টেলেকচুয়াল অ্যাক্টর, কিন্তু অভিজ্ঞ অভিনেতা, অথবা যারা খুব কম দিন এসেছেন এই ইন্ডাস্ট্রিতে, সকলেই সেই ন্যারেশন থেকে কিছু না কিছু কিউ খুঁজে পেত। তাতে সকলের কাজ করতে সুবিধা হতো।
Vijay Sethupathi: বিজয় সেতুপতির বিরুদ্ধে ড্রাগস-যৌন হেনস্থার অভিযোগ! 'নোংরা' দাবি অস্বীকার করলেন দক্ষিণের সুপারস্টার?
অভিনেতাদের দৃশ্য বুঝিয়ে দিতেন তিনি। তাই তো, অশোক কুমার বলেছিলেন, উনি যেমন আর্টিস্টিক ছবি বানাতেন, তেমনি উনি সাধারণ জনগণের জন্যও ছবি বানাতেন।