সোমবার সীমান্ত উত্তেজনার আবহে চিনের বিরুদ্ধে বড়সড় পদক্ষেপের পথে হেঁটেছে ভারত সরকার। টিকটক-সহ মোট ৫৯টি চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করা হয়েছে তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রকের তরফে। তারপরেই সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে একাধিক পোস্ট নজরে আসে। বাদ যাননি শ্রীলেখা মিত্রও। তাঁর পোস্টে নাম না করে তিনি কটাক্ষ করেছেন নুসরত জাহান ও মিমি চক্রবর্তীকে।
কিছুদিন আগেই স্বজনপোষণ নিয়ে বাংলা ছবির ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁর সতীর্থদের নাম করে প্রকাশ্যে তোপ দেগেছিলেন শ্রীলেখা। বলেছিলেন, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত ও প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের প্রেমের সম্পর্কের কারণেই কোনও নায়িকার চরিত্র পাননি তিনি। এই মন্তব্যের জেরে হইচই পড়ে যায় টলিপাড়ায়। বাঁকা-সোজা অনেক কথা উঠে আসে। এবারে শ্রীলেখার নিশানায় দুই তারকা সাংসদ নুসরত জাহান (বসিরহাট) ও মিমি চক্রবর্তী (যাদবপুর)।
আরও পড়ুন, টিকটক প্রসঙ্গে বিস্ফোরক নুসরত, অ্যাপ ব্যান নিয়ে দুষলেন মোদী সরকারকেই
এদিন ফেসবুকে তিনি লেখেন, "টিকটক বন্ধ,তাহলে যাদবপুর বা বসিরহাটের মানুষ তাঁদের সাংসদদের কোথায় দেখতে পাবেন?" বোঝাই যাচ্ছে, নাম না করে তিনি বিঁধেছেন মিমি-নুসরতকে। যদিও পোস্টটি তাঁর নয়, সেখানে মূল পোস্টদাতাকে সৌজন্য দিতে ভোলেননি শ্রীলেখা।
শ্রীলেখার পোস্টের স্ক্রিনশট
আরও পড়ুন, প্রেম-হতাশা-বিতর্ক! সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু তদন্ত
সাংসদ হওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কারণে সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলের মুখে পড়তে হয়েছে মিমি ও নুসরতকে। কখনও পোশাক তো কখনও টিকটক ভিডিও। কিন্তু পরোয়া করেননি দুই তারকা-সাংসদ। কিছুদিন আগেও আমফান বিধ্বস্ত বসিরহাটে না গিয়ে কেন টিকটক ভিডিও করছেন নুসরত জাহান, তা নিয়েই সরব হয়েছিলেন নেটিজেনরা। জবাবে নুসরত লিখেছিলেন, "শিল্পীরা সব সময়েই বিনোদন করে যায়। হ্যাপি ট্রোলিং, ট্রোলারস।"
আসলে জনপ্রিতিনিধি হওয়ার পর থেকে প্রতিটি পদক্ষেপে কঠিন পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে তাঁদের। আগেও টিকটকের কারণে ট্রোলড হয়েছেন দুজনেই, তবে ইন্ডাস্ট্রির অন্দর থেকে বোধহয় এই প্রথমবার।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন