প্রায় তিন মাস হতে চলল, শ্রীদেবীর মৃত্যু নিয়ে এখনও প্রশ্ন রয়েছে বহু মানুষের মনে। তাঁদেরই একজন হলেন দিল্লি পুলিশের প্রাক্তন কর্তা বেদ ভূষণ।
বাথটাবে জলে ডুবে শ্রীদেবীর মৃত্যুর তত্ত্ব খারিজ করেছেন তিনি। ছক কষেই শ্রীদেবীকে খুন করা হয়েছে বলে দাবি করলেন দিল্লি পুলিশের প্রাক্তন এসিপি বেদ ভূষণ। আইবি টাইমস ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বেদভূষণ জানান যে, কোনওভাবেই জলে ডুবে শ্রীদেবীর মৃত্যু হয়নি। পরিকল্পিত ভাবেই শ্রীদেবীকে হত্যা করা হয়েছে বলে তাঁর অভিযোগ। তিনি বলেন, ‘‘বাথটাবের জলে খুব সহজেই একজনকে জোর করে চুবিয়ে রাখা যায়, যতক্ষণ না সে শ্বাস নেওয়া বন্ধ করে। আর এ ঘটনাকে খুব সহজেই দুর্ঘটনায় মৃত্যু বলে প্রমাণ করা যায়। কিন্তু আদপে এটা একটা পরিকল্পিত খুন।’’
ফেব্রুয়ারি মাসের ২৪ তারিখ দুবাইয়ের হোটেল থেকে বলিউড ডিভা শ্রীদেবীর দেহ উদ্ধার করা হয়। ওই মাসের ২৬ তারিখ দুবাই পুলিশের তরফে করা ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বলা হয় যে, জলে ডুবেই মৃত্যু হয়েছে নায়িকার। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বলা হয় যে, বাথটাবে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হয় অভিনেত্রীকে। শ্রীদেবীর শরীরে অ্যালকোহলের হদিশ মিলেছে বলেও ময়নাতদন্তের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়। যদিও দুবাই পুলিশের এই রিপোর্ট কার্যত উড়িয়ে দিয়েছেন বেদ ভূষণ। তবে শ্রীদেবীর মৃত্যুর আসল কারণ কী, সেটাই তাঁরা জানতে চান বলে জানিয়েছেন দিল্লি পুলিশের ওই প্রাক্তন এসিপি। এ ব্যাপারে তিনি জানান যে, তাঁরাও দুবাই গিয়েছিলেন সমস্ত তথ্য সংগ্রহ করতে।
আরও পড়ুন, শ্রীদেবীর মৃত্যু নিয়ে নিরপেক্ষ তদন্তের আর্জি খারিজ শীর্ষ আদালতেও
সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে বেদ ভূষণ জানিয়েছেন, দুবাইয়ের যে হোটেল থেকে শ্রীদেবীর দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল, সেই হোটেলে গিয়েছিলেন তিনি নিজেই। কিন্তু বেদ ভূষণকে ওই হোটেলে শ্রীদেবীর ঘরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলে খবর। অন্য একটি ঘরে বেদ ভূষণ গোটা ঘটনার পুনর্নির্মাণ করেন বলে জানা গেছে। শ্রীদেবীর মৃত্যুরহস্যের পুনর্নির্মাণের পরই বেদ ভূষণ নিশ্চিত যে গোটা ঘটনার পিছনে কোনও না কোনও রহস্য রয়েছে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘শ্রীদেবীর মৃত্যুর পিছনে রহস্য রয়েছে। বেশ কিছু ব্যাপার সামনে আনা হয়নি বলে আমার ধারণা।’’
আরও পড়ুন, জাতীয় পুরস্কারের মহড়া মঞ্চে শ্রীদেবীকে নিয়ে কী বললেন বনি কাপুর?
তবে এখনও শ্রীদেবীর মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত চালাচ্ছেন দিল্লি পুলিশের ওই প্রাক্তন এসিপি। এর আগে, ফিল্ম নির্মাতা সুনীল সিং শ্রীদেবীর মৃত্যু নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। যদিও গত ১১ মে শীর্ষ আদালত সেই আবেদন খারিজ করে দেয়।