অনির্বাণ ভট্টাচার্য কে বয়কট করেছে টলিপাড়া? অভিনেতা এবং পরিচালককে নানাভাবে অসহযোগিতা করা হচ্ছে। টেকনিশিয়ান বনাম পরিচালক দ্বন্দ্বে, বিরাট ফেসেছেন অনির্বাণ এবং সেই নিয়ে কিছুদিন আগে জানিয়েছিলেন, আজ হচ্ছে না কাল হচ্ছে না মানে যে তিনি কোনদিনও চেষ্টা করবেন না, কিংবা বাংলা ছেড়ে পালিয়ে যাবেন, এমনটা নয়। এখানেই শেষ নয়, অনির্বাণ জানিয়েছিলেন, শুটিং এর আগের দিন রাত থেকেই তাঁরা অসহযোগিতা করতে শুরু করেন। টেকনিশিয়ানরা আগের দিন রাতে একের পর এক ফোন করে জানাতে শুরু করে যে তারা আগামীকাল শুটিংয়ে আসতে পারবেন না।
Prosenjit Chatterjee: বাঙালি হয়েও বাংলা শুনে লজ্জা পেলেন প্রসেনজিৎ? …
অনির্বাণ ছাড়াও সেই দলে রয়েছেন পরমব্রত, এবং সুদেষ্ণা রায় এছাড়াও অনেকেই। ফেডারেশন এবং টেকনিশিয়ানদের চাপে চিরে চ্যাপ্টা পরিচালকরা। তার সঙ্গে সঙ্গে, তাঁরা ফেডারেশনের বিরুদ্ধে নানান ধরনের অভিযোগ এনেছেন। রঘু ডাকাত ছবিতে অনির্বাণকে দেখা যাচ্ছে দেবের সঙ্গে অভিনয় করতে। তিনি জানিয়েছেন এর পরে এখনো পর্যন্ত তার হাতে আর কাজ নেই। অনির্বাণ থাকলে অসুবিধে হবে ভেবে অনেকেই তাকে ডাকছেন না। কিন্তু ক্যামেরার সামনে না হলেও ক্যামেরার আড়ালের কাজ চালিয়ে যেতে চান অভিনেতা এবং পরিচালক। এ প্রসঙ্গে যখন সুদেষ্ণা রায়কে জিজ্ঞাসা করলো ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা তিনি কি উত্তর দিলেন?
সুদেষ্ণা রায় বলছেন, অনির্বাণ এর নাম অনেকে জানে তাই। এরকম অনেকে আছেন যাদেরকে ফেডারেশন কাজ করতে দিচ্ছে না। পরিচালক হিসেবে তো দূর আমরা যদি অভিনেতা হিসেবে কোন ইউনিটে যুক্ত থাকি, তাহলে টেকনিশিয়ানদের দিয়ে বলানো হচ্ছে যে এই ইউনিটে আমরা কাজ করব না। অনেকেই দেখে থাকবে বিভিন্ন পরিচালকদেরকে দিয়ে বলানো হচ্ছে, আমরা নিয়ম মেনে কাজ করতে চাই। আমরা ফেডারেশনের কথামতো কাজ করতে চাই। আমরা কিন্তু একবারও বলিনি যে ফেডারেশনের মধ্যে থেকে আমরা কাজ করতে চাই না। কিন্তু আমাদের কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না কেন? পরিচালকরা অনেকেই তাদের কথামতো দাবি মেনে নিচ্ছেন। কারণ তারা কাজ করতে চান।
Rimjhim Mitra: ট্রেনের বাথরুমে ২০ মিনিট আটকে রাখা হয়েছিল রিমঝিমকে, …
আর কী কী বলেন সুদেষ্ণা?
রীতিমতো জোরাজোরি করা হচ্ছে। প্রযোজকরা মোটেই অশান্তি চান না, আমরা তো বলেছিলাম যে আমরা কথা বলতে রাজি আছি। কিন্তু মেনে নেওয়ার মতো তো কিছু নেই। পরিচালকদেরকে বলা হচ্ছে আপনারা যারা, DAEI এর সদস্য থাকে তবে তারা কাজ করতে পারবেন না। EIMPDA এর মেম্বার হতে হবে তাঁদের। অনেক পরিচালকই যারা সদস্য ছিলেন, তাদের কাজের জন্য সেই কম্প্রোমাইজ টা করতে হয়েছে। আমাদের সঙ্গে যারা ২৫-৩০ বছর ধরে কাজ করেছেন, তাদের অনেককে আমাদের সাথে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে। তারা রীতিমত ভয় পাচ্ছে। আমাকে অনেকেই বলেছিল, তুমি তো পরিচালক হিসেবে সবথেকে জনপ্রিয়, তুমি তাহলে ওদের সাথে মিটিয়ে নাও বিষয়টা।
আমাদের আরো দুজন পরিচালক ছিল অয়ন এবং অমিত, ওরাও বেচারা বাধ্য হয়েছে এই নতি স্বীকার করতে। অয়নকে তো করতেই হয়েছে ওর কোন রাস্তা ছিল না। কিন্তু সেখানেই ওরা সেটা শেষ করছে না। জোর করে একটা ভিডিও বানানো হচ্ছে এবং সেখানে বলানো হচ্ছে নানা কথা। বলানো হচ্ছে যে আমরা নাকি মিথ্যে মামলা করেছি। মিথ্যে মামলা আমরা করিনি, আমরা শুধু সুষ্ঠু সমাধান যে একটা দাবি জানিয়েছে। কতগুলো শব্দকে উল্টোপাল্টা করে দিলেই হয়ে গেল না। কলাকুশলীদের বোঝানো হচ্ছে আমরা নাকি মিথ্যে মামলা করেছি। আমরা শুধু একটাই দাবি জানিয়েছি সিস্টেমটাকে ঠিক করো। যেন সর্বভারতীয় স্তরে আমরা সুষ্ঠুভাবে কাজ করতে পারি। জোড়াজুরি করে নয়।