International Men's Day 2024 : ১৯ নভেম্বর,২০২৪ 'আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস'। আমরা পুরুষতান্ত্রিক সমাজ বাস করি। ছোট থেকে এটা শুনেই বড় হওয়া। প্রতি বছর ১৯ নভেম্বর দিনটা সেই পুরুষ জাতির জন্য 'এক্সট্রা স্পেশ্যাল'। এইদিনটা তাঁদের আবদার করার দিন। নারীদিবসে মেয়েরা যেমন ছেলেদের থেকে একটু বেশি কিছু প্রত্যাশা করে, প্রিয় মানুষ, বাবা বা স্বামীর থেকে বিশেষ কোনও উপহার পাওয়ার একটা সুপ্ত বাসনাও জাগে। কর্মক্ষেত্রে অনেক সময় নারীদিবসে মহিলা কর্মীদের জন্য বিশেষ আয়োজনও করা হয়। পুরুষ সহকর্মীরা তাঁদেরকে এই দিনটার শুভেচ্ছা জানায়। কিন্তু, 'আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস'-এ উলটো চিত্রটা খুব একটা নজরে পড়ে না। সেই জন্য কোনও আক্ষেপ আছে অভিনেতা সুজয় প্রসাদ চট্টোপাধ্যায়ের?
না, একেবারেই নেই। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস অনলাইনের তরফে সুজয় প্রসাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তাঁর সাফ জবাব, 'আমার কাছে এই সব দিনের সত্যিই কোনও গুরুত্ব নেই। তার কারণ একটাই যে আমি পুরুষকে মানুষ হিসেবেই দেখি। আমার অনেক পুরুষ বন্ধু আছে, যারা আমায় ভীষণ আগলে রাখে। এদের মধ্যে কখোনো পুরুষকারের গর্জন শুনিনি। মনে রাখতে হবে ধর্ষণ দুপক্ষেরই হতে পারে। তবে হ্যাঁ, হয়তো এই অপরাধপ্রবণতা পুরুষদের অনেক বেশি থাকে। আমি পুরুষদের কাছে নানান সময়ে প্রবঞ্চিত হয়েছি এবং আলোকপ্রাপ্ত হয়েছি। আমার জীবনের চিরন্তন পুরুষ দুজন--রবীন্দ্রনাথ ও জর্জক্লুনি'।
সুজয় প্রসাদ চট্টোপাধ্যায় নিজেকে ‘ইন্টারডিসিপ্লিনারি আর্টিস্ট’বলতেই পছন্দ করেন। শিল্প-সংস্কৃতির বিভিন্ন শাখায় তাঁর অবাদ বিচরণ। টিভি থেকে সিনেমা, ওটিটি সর্বত্রই তাঁর একচেটিয়া রাজত্ব। নিজের ছন্দে জীবন অতিবাহিত করতেই ভালোবাসেন শিল্পী সুজয় প্রসাদ।
আরও পড়ুন: 'পথের পাঁচালী'র পর আর কেন দেখা গেল না অপু-দুর্গাকে? উমার মৃত্যুদিনেই ফাঁস করলেন সুবীর
তাঁর পোশাক-সাজসজ্জা বিভিন্ন সময় হাসির খোরাক হয়ে ওঠে। কিন্তু, তিনি সেসব বিষয়কে গুরুত্ব দিতে একেবারেই নারাজ। গসিপকে সাইডলাইন করেই নিজস্ব সত্ত্বা বজায় রেখে চলেন সুজয় প্রসাদ চট্টোপাধ্যায়। আজকের এই 'আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস'-এ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস অনলাইনের তরফেও তাঁর জন্য রইল অনেক শুভেচ্ছা।