/indian-express-bangla/media/media_files/2025/10/23/sabesh-2025-10-23-17-56-24.jpg)
কী হয়েছিল তাঁর?
Music Director Passed away: তামিল চলচ্চিত্র-জগতের প্রখ্যাত সঙ্গীত পরিচালক, এমসি সাবেসান, যিনি 'সাবেশ' নামে বেশি পরিচিত ছিলেন, দীর্ঘ অসুস্থতার পর বৃহস্পতিবার চেন্নাইয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর।
সাবেশ ছিলেন জনপ্রিয় সঙ্গীত পরিচালক জুটি সাবেশ-মুরালির একজন সদস্য। তাঁরা তাঁদের সঙ্গীতযাত্রা শুরু করেন তাঁদের ভাই, কিংবদন্তি সুরকার দেবা-র সহকারী হিসেবে। ১৯৯৯ সালে প্রশান্ত অভিনীত “জোড়ি” সিনেমায়, ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক, রচনা করার সুযোগ তাঁদের কেরিয়ারে এক বড় মোড় আনে।
এই ছবিতে গানের সুর করেছিলেন এ. আর. রহমান, কিন্তু সময়ের সীমাবদ্ধতার কারণে ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোরের দায়িত্ব দেওয়া হয় সাবেশ-মুরালিকে। ছবির সফলতার পর তাঁদের নাম দ্রুতই তামিল সিনেমায় প্রতিষ্ঠিত হয়ে ওঠে।
এরপর তাঁরা একের পর এক সফল ছবি উপহার দেন- “সামুথিরাম”, “থাভামাই থাভামিরুন্ধু”, “পারাই”, “গোরিপালায়ম”, “পোক্কিশাম”, “এঙ্গাল আসান” এবং “কুডাল নগর”- এর মতো সিনেমায় তাঁদের সুর বিশেষভাবে প্রশংসিত হয়। ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর হিসেবেও তাঁরা দক্ষতা প্রমাণ করেছেন “অটোগ্রাফ”, “পারিজাথাম”, “থালাইমাগান” ও “ইরুম্বু কোট্টাই মুরাত্তু সিংগাম”–এর মতো ছবিতে।
Ram Charan 2nd Baby: দিওয়ালিতে খুশির ডবল ডোজ-উৎসবের দিনই সাধভক্ষণ, মেয়ের বয়স দু'বছর হতেই ফের বাবা হচ্ছেন রামচরণ
তাঁদের শেষ পূর্ণাঙ্গ কাজ ছিল “কাভাথু” (২০১৭) চলচ্চিত্রে, আর শেষ ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর ছিল “মিন্ডুম ওরু মারিয়াথাই” (২০২০)–এ, যেখানে অভিনয় করেছিলেন পরিচালক ভারতীরাজা নিজেই। সাবেশ শুধু একজন সঙ্গীত পরিচালকই নন, বরং শিল্পী সংগঠনেরও একজন গুরুত্বপূর্ণ মুখ ছিলেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি Cine Musicians’ Union-এর সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
ব্যক্তিজীবনে তিনি রেখে গেছেন দুই কন্যা, গীতা ও অর্চনা, এবং পুত্র কার্তিক, যিনি পেশায় অভিনেতা। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, সাবেশের শেষকৃত্য ২৪ অক্টোবর বিকেল ৩টায় তাঁর চেন্নাইয়ের বাসভবনে সম্পন্ন হবে। তাঁর প্রয়াণে তামিল সঙ্গীতজগতে নেমে এসেছে গভীর শোকের ছায়া, সহকর্মী ও ভক্তরা তাঁকে স্মরণ করছেন তামিল সিনেমার এক সুরের জাদুকর হিসেবে।
/indian-express-bangla/media/agency_attachments/2024-07-23t122310686z-short.webp)

Follow Us