যা মনে হচ্ছে, কোনওভাবেই পাইরেসি সাইট তামিলরকার্সকে দমানো সম্ভব নয়। এবার খপ্পরে জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত পরিচালক মিলিখ মুসালের ছবি 'মেড ইন চায়না'। মুক্তির পরের দিনই রাজকুমার রাও, মৌনি রায়, বোমান ইরানি অভিনীত 'মেড ইন চায়না' পাইরেসির শিকার। কুখ্যাত পাইরেসি সাইট তামিলরকার্স অনলাইনে ফাঁস করল ছবি। তবে দীপাবলি রিলিজই নয় যে এই পাইরেসির সমস্যার সঙ্গে লড়াই করছে। এর আগেও বহু ছবি অনলাইনে ফাঁস করেছে তামিলরকার্স।
প্রসঙ্গত, পাইরেসি আটকানো অত্যন্ত কঠিন কাজ হওয়ায় আইন থাকা সত্ত্বেও বারংবার এ ঘটনা ঘটছে। ১৯৫৭ সালের কপিরাইট আইন সারা দেশেই প্রযোজ্য। এই আইন অনুযায়ী, কেউ প্রথমবারের জন্য অপরাধী সাব্যস্ত হলে ৬ মাস থেকে তিন বছরের জন্য কারাবাস হতে পারে। জরিমানা হতে পারে ৫০ হাজার টাকা থেকে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত।
আরও পড়ুন, খারাপ দেখতে বলে অভিনয়ই ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন শাহরুখ
ছবি পাইরেসির খপ্পরে পড়লে তা পরিচালক ও নির্মাতাদের কাছে সবসময় বড় আশঙ্কার কারণ। অনলাইনে ছবি দেখতে পাওয়া গেলে, তাঁরাই সবচেয়ে বেশি আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হন। সম্প্রতি বেআইনিভাবে অনলাইনে ছবি ফাঁস হয়ে যাওয়ার ঘটনা বেড়েছে।
বিভিন্ন ভাষার ছবি অনলাইনে লিক করে দেওয়ার কারণে স্বাভাবিকভাবেই জনপ্রিয় তামিলরকার্স। কর্তৃপক্ষ তাদের আটকাতে ব্যর্থ কারণ তারা প্রতিনিয়ত তাদের ডোমেন পরিবর্তন করে চলে। এইচ ডি কোয়ালিটির প্রিন্ট তারা ফাঁস করে দেয়। মাদ্রাজ হাইকোর্ট ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদানকারীদের ১২,০০০ ওয়েবসাইট বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। যার মধ্যে ২,০০০ ওয়েবসাইট ছিল তামিলরকার্সের। কিন্তু তাতেও দমানো গেল না পাইরেসির দৌরাত্ম্য।
আরও পড়ুন, মহানায়ককে নিয়ে ছবির অংশীদার হওয়া অনেক জন্মের পুণ্য: সুজন
মেড ইন চায়নার চিত্রনাট্য অনুযায়ী, দশটা-পাঁচটা চাকরি নয়, অন্য কিছু করে জীবনে উন্নতি করতে চান, তাঁদের জীবনে প্রতিষ্ঠিত হতে লাগে একটি ইউনিক আইডিয়া– এখানে তেমনই একটি আইডিয়ার খোঁজে রয়েছে রঘু। আর খুঁজতে খুঁজতে পৌঁছে যায় সে চিনদেশে। সেখানেই পেয়ে যায় তার ব্যবসার চাবিকাঠি– ভায়াগ্রা। চিনদেশের ব্যবসায়ী তাকে এটাই বোঝায় যে ভারতীয়দের আসল চাহিদা হল– সেক্স।