/indian-express-bangla/media/media_files/2025/09/09/cats-2025-09-09-15-34-05.jpg)
মায়ের সঙ্গে থাকলেও...
Tanishaa Mukerji: বলিউড অভিনেত্রীদের মধ্যে অন্যতম বঙ্গললনা তানিশা মুখোপাধ্যায়। সম্পর্কে তিনি কাজলের বোন। তাঁর মতো ইন্ডাস্ট্রিতে জায়গা দখল করতে না পারলেও দুই বোনের বন্ডিং বেশ ভাল। শুধু বোনই নয়, মা হিসেবেও কাজলের প্রশংসায় পঞ্চমুখ তানিশা। সম্প্রতি পিঙ্কভিলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তানিশা ব্যক্তিগতজীবন নিয়ে খোলামেলা কথা বলেন। মাত্র এক বছর বয়েস মা-বাবার বিচ্ছেদ থেকে বোনপো-বোনঝিদের সঠিক পথে মানুষ করার জন্য কাজলকে কৃতিত্ব দেওয়া, সবটুকু নিয়েই কথা বললেন তনুজা কন্যা।
প্রসঙ্গত, কাজল-অজয় দেবগনের ছেলে যুগকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রায়ই অনেক ভিডিও ভাইরাল হয়। 'মাম্মাস বয়' বলে খোঁচা দেওয়া হয়। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে কাজলের বোন ও অভিনেত্রী তানিশা মুখোপাধ্যায় যুগের সঠিক লালন-পালনের সম্পূর্ণ কৃতিত্ব দিয়েছেন কাজলকেই। পিংকভিলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে যুগ সম্পর্কে তনিশা বলেন, 'ও খুব সুন্দরভাবে বড় হয়েছে, আর এর পুরো কৃতিত্ব আমি আমার দিদিকেই দিই। অজয়কে কোনও কৃতিত্বই দেব না। সব কৃতিত্ব আমার দিদির। ও একজন অসাধারণ মা, পৃথিবীর সেরা মা। এই বিষয়ে নিশ্চিত কারণ আমি সেটা আমি অনুভব করেছি। অনেক সময় আমার জীবনে মায়ের ভূমিকা পালন করেছিল।'
কথপকথোনের সময় উঠে আসে তানিশার শৈশবের কাহিনিও। জন্মের একবছর পরই মা-বাবার বিচ্ছেদের সাক্ষী তানিশা। মেয়ের বয়স যখন এক বছর তখনই বর্ষীয়ান অভিনেত্রী তনুজা ও পরিচালক শোমু মুখোপাধ্যায় আলাদা থাকা শুরু করেন। সেই প্রসঙ্গে তানিশার সংযোজন, 'আমার যখন এক বছর বয়স তখনই ওঁরা আলাদা থাকতে শুরু করেন। আমি সবসময় মায়ের সঙ্গে থেকেছি। তবে এখন বাবার পরিবারের দিকটা উপভোগ করার সুযোগ পাচ্ছি।'
আরও পড়ুন 'উদয়ের সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ায় আমি খুব...', বিচ্ছেদ যন্ত্রণা নিয়ে মুখ খুললেন বাঙালি অভিনেত্রী
আলাদা থাকলেও বাবা সবসময়ই তাঁর জীবনের অংশ ছিলেন। তনিশার মতে 'এটা সাধারণ বিচ্ছেদ ছিল না। কারণ বাবা সবসময় আমাদের জীবনে ছিলেন। মা স্পষ্টভাবে জানিয়েছিলেন যে সন্তানদের মানুষ করার দায়িত্ব দুজনেরই। আমরা প্রতি সপ্তাহান্তে বাবার সঙ্গে দেখা করতাম। উনি প্রায়ই আসতেন আর আমরা একসঙ্গে ছুটি কাটাতে যেতাম।' তানিশা আরও যোগ করেন, 'সবটা অবশ্যই সহজ ছিল না। কিন্তু এই সিদ্ধান্তটা ভেবে চিন্তেই নেওয়া হয়েছিল।
কারণ মা-বাবা বন্ধু ছিলেন আর ওঁরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন আলাদা থাকা যেন কোনওভাবেই বাচ্চাদের ওপর প্রভাব না ফেলে। আমরা যেন একসঙ্গে মানুষ হই। মা যদি কোনও সিদ্ধান্ত নিতেন বাবা কখনও তার বিরুদ্ধে যেতেন না। আর উল্টোটাও হত। মা সবসময় আমাদের চোখে বাবাকে সম্মানীয় ব্যক্তি হিসেবে উপস্থাপন করতেন। বাবাও ঠিক সেই কাজটাই করতেন।' লাস্ট বাট নট ইন লিস্ট, ১৯৭৩ সালে বিয়ে হয় শোমু-তনুজার। আটের দশক থেকে আলাদা থাকতে শুরু করেন। তবে আইনিভাবে বিচ্ছেদ হয়নি।
আরও পড়ুন সড়ক দুর্ঘটনায় প্রয়াত কাজল! সলমানের নায়িকার মৃত্যুর খবরে তোলপাড়, এরপর যা হল...