অবশেষে আইনী নোটিশ পেলেন তনুশ্রী দত্ত। তনুশ্রীকে হয়রানির শিকার হতে হয়েছে, তাঁদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আনার পর নানা পাটেকর ও বিবেক অগ্নিহোত্রীর তরফে আলাদা আলাদা করে আইনী নোটিশ পেলেন অভিনেত্রী। তনুশ্রী দত্ত বলেছেন, "আজকে দুটো অইনী নোটিশ পাঠানো হয়েছে আমাকে। একটা নানা পাটেকরের তরফে আর একটা বিবেক অগ্নিহোত্রীর তরফে। হ্যারাসমেন্ট, অপমান ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে মুখ খুললে এই মূল্যই দিতে হয় এখানে। নানা ও বিবেকের টিম আমার বিরুদ্ধে সোশাল প্ল্যাটফর্মে মিথ্যে তথ্য দিয়ে প্রচার করছে। সাংবাদিক সম্মেলনে তাঁদের সমর্থকরা এগিয়ে এসে চিৎকার করছেন, সমালোচনামূলক কথাবার্তা বলছেন।"
প্রসঙ্গত, 'আশিক বানায়া আপনে' অভিনেত্রী তনুশ্রী দত্ত সম্প্রতি আবার মুখ খুলেছিলেন দশ বছর আগে তাঁর যৌন হেনস্থার বিষয়ে, যা নিয়ে তিনি দশ বছর আগেও সরব হয়েছিলেন। জুম টিভিকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে ৩৪ বছরের অভিনেত্রী জানান, ২০০৮ সালে নানা পাটেকরের কাছে 'হর্ন ওকে প্লিজ' ছবির সেটে হেনস্থা হয়েছিলেন তিনি। তিনি এও বলেন, পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রী নায়ক ইরফান খানের অভিনয়ের সুবিধের জন্য 'চকোলেট' ছবির সেটে তাঁকে পোশাক খুলতে বলেন।
আরও পড়ুন, ‘নানা’ বিতর্কে ফারহান-প্রিয়াঙ্কাদের পাশে পেলেন তনুশ্রী দত্ত
এদিন অভিনেত্রী তাঁর বক্তব্যে জানান, দুজন লোক তাঁর বাড়িতে ঢোকার চেষ্টা করে। তিনি বলেন, "আজ যখন আমি বাড়িতে একা ছিলাম এবং যে পুলিশকর্মীকে আমার বাড়ির সামনে পোস্ট করা হয়েছে তিনি খেতে গিয়েছিলেন, তখন দুজন লোক আমার বাড়িতে ঢোকার চেষ্টা করছিল, বিল্ডিংয়ের রক্ষী তাদের আটকান।" অভিনেত্রী আরও বলেন, ''এমএনএস (মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা) পার্টির তরফে বারবার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আমাকে কোর্টে টেনে নিয়ে যাওয়ার ভয় দেখানো হচ্ছে। আর মিডিয়া থেকে শুরু করে আদালত, সবাই মেয়েদের পক্ষে থাকলেও বিষয়টা বিচারাধীন বলে চুপ করে থাকবে। কিন্তু বারবার অভিযোগকারিনীকে হয়রান করা হবে এবং আর্থিকভাবে সর্বস্বান্ত করে দেওয়া হবে।"
আরও পড়ুন, জসলীনের সঙ্গে সম্পর্ক ভাঙলেন অনুপ জলোটা
সবটা জেনেও দশ বছর আগে বলিউড মুখে কুলুপ এঁটে ছিল বলেও দাবি করেছিলেন অভিনেত্রী। কিন্তু, সেই বি-টাউনই এবার নীরবতা ভেঙে তনুশ্রীর পাশে দাঁড়াল। ফারহান আখতার, প্রিয়াঙ্কা চোপড়া থেকে শুরু করে টুইঙ্কল খান্না, সকলেই এ নিয়ে মুখ খুলেছেন সোশাল মিডিয়ায়। তবে তনুশ্রীর কথা অনুযায়ী, ''আমি আমেরিকায় নিজের শান্তি এবং আলাদা জীবন খুঁজে পেয়েছিলাম। এখন তো মনে হচ্ছে সেই নতুন জীবনটাও হারাবো যদি ভারতে আইনী ঝামেলায় জড়াতে হয়। আর আপনারা বলছেন কেন ভারতে 'মি টু' মুভমেন্ট হয় না? এই কারণেই।''