/indian-express-bangla/media/media_files/2025/09/12/cats-2025-09-12-16-04-48.jpg)
তোপ দাগলেন তসলিমা
The Bengal Files: এই মুহূর্তে বলিউডের বহুচর্চিত সিনেমা 'দ্য বেঙ্গল ফাইলস'। ট্রেলার মুক্তির পরই ছবি ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। কলকাতায় সিনেমার ট্রেলার লঞ্চের অনুষ্ঠান ঘিরে একেবারে ধুন্ধুমার। গোপাল পাঁঠার ভুল চরিত্রায়ণের অভিযোগে তাঁর নাতিও পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রীর বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। যদিও সেই মামলা খারিজ করে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। তবে পশ্চিমবঙ্গে এখনও কোনও হলে ছবি মুক্তিতে সায় নেই হলমালিকদের। অঘোষিতভাবে পশ্চিমবাংলায় 'দ্য বেঙ্গল ফাইলস'-এর প্রদর্শনী বন্ধ। যদিও ১৩ সেপ্টেম্বর শনিবার কলকাতার ন্যাশনাল লাইব্রেরীতে বিবেকের ছবির বিশেষ স্ক্রিনিংয়ের আয়োজন করা হয়েছে। এর মাঝেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বিবেকের বিতর্কিত ফাইলস ট্রিলজির শেষ ভাগ নিয়ে তোপ দাগলেন বাংলাদেশের লেখিকা-সমাজসংস্কারক তসলিমা নাসরিন।
দীর্ঘ সাড়ে তিন ঘণ্টা ধরে দ্য বেঙ্গল ফাইলস দেখে একপ্রকার বিধ্বস্ত। এই ছবি দেখে তসলিমার উপলব্ধি, 'সিনেমা বানানোর লোক কম ছিল?' আরও কিছু প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে তসলিমার খোঁচা, 'কেন উত্তর প্রদেশের লোকদের বাংলার কাহিনী নিয়ে হিন্দি ভাষায় সিনেমা বানাতে হয়? কেন বাঙালিরা বাংলার ইতিহাস নিয়ে সিনেমা বানাতে আগ্রহী নন?' তসলিমার মতে, 'বহিরাগত যদি ইতিহাস সঠিক ভাবে উপস্থাপন না করেন তখন ভুল ইতিহাসই আমজনতার কাছে কিন্তু 'ঠিক ইতিহাস' হয়ে দাঁড়ায়।'
দ্য বেঙ্গল ফাইলসের প্রেক্ষাপট, ১৯৪৬ সালের ১৬ই আগস্ট ডাইরেক্ট অ্যাকশনের দিন। কলকাতায় বেঁধে যায় হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা। যাকে বলা হয় 'দ্য গ্রেট ক্যালকাটা কিলিং'। সুর চড়িয়ে বলেছেন, বাংলায় কেন সেই ভয়াবহ দিনটি নিয়ে, নোয়াখালির দাঙ্গা নিয়ে ছবি তৈরি হয়নি? দাঙ্গার ইতিহাসের নথিপত্রের অভাব ছিল বাংলায়? প্রকৃত তথ্যের অভাব ছিল কিনা সেই প্রশ্ন তুলেও খোঁচা মেরেছেন তসলিমা। নাম মা করে বিবেকের উদ্দেশ্যে স্পষ্ট বার্তা সত্যের উপর ভিত্তি করে ডকুফিল্ম বা ফিচার ফিল্ম বানানোই তো যেত।
আরও পড়ুন হাইকোর্টে স্বস্তি মিলতেই আরও এক সুখবর, কলকাতায় 'দ্য বেঙ্গল ফাইলস'-র বিশেষ প্রদর্শন, জানুন দিনক্ষণ
ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে দাঙ্গা বিধ্বস্ত এলাকার উপর একাধিক সিনেমা দেখেছেন। দ্য বেঙ্গল ফাইলস দেখার পর পরিচালককে খোঁচা মেরে তসলিমা লিখেছেন, 'নামীদামী ইহুদি পরিচালকরাই হিটলারের ৬০ লক্ষ ইহুদি নিধন নিয়ে সিনেমা বানিয়েছেন। সেই সব সিনেমা হৃদয় স্পর্শ করে। দ্য বেঙ্গল ফাইলস মনে হয় না কারও হৃদয় স্পর্শ করার জন্য বানানো হয়েছে।' তাঁর দাবি, 'যাঁরা ভাল সিনেমা দেখে অভ্যস্ত তাঁরা এই সিনেমা দেখেই বুঝবেন এটি সিনেমা হিসেবে ভাল নয়। চরিত্রগুলো বিশ্বাসযোগ্য নয়।' সিনেমার তথ্য নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন তসলিমা। যদিও বিচারের দায়িত্ব দর্শকের কাঁধেই দিয়েছেন।
আরও পড়ুন এক সপ্তাহ পেরিয়েও ভাগ্যবদল হল না বিবেকের, কত আয় করল 'দ্য বেঙ্গল ফাইলস'?
বাঙালি পরিচালকদের উদ্দেশে লেখিকা-সমাজসংস্কারক তসলিমা নাসরিন বলেছেন, 'আমার মনে হয় বাংলাদেশে যে হিন্দুর ওপর অত্যচার হয়, হিন্দুরা যে দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য হয়, এগুলো নিয়ে সচেতন এবং সংবেদনশীল বাঙালি পরিচালকদের সিনেমা বানানো উচিত। আমার লজ্জা উপন্যাস নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের কেউ সিনেমা বানাতে সাহস করেননি।' লাস্ট বাট নট ইন লিস্ট, বিবেককে কটাক্ষ করে তসলিমা নাসরিন লিখেছেন, 'বাংলাদেশের হিন্দুদের ইতিহাস নিয়ে ভাল কোনও পরিচালক ভাল সিনেমা বানান। নাহলে কোনও উটকো লোক দ্য বাংলাদেশ ফাইলস নামে কোনও প্রোপাগাণ্ডা ফিল্ম যে বানিয়ে ফেলবে না তা বলা যায় না।'
/indian-express-bangla/media/agency_attachments/2024-07-23t122310686z-short.webp)

Follow Us