Jisshu Nilanjanaa : যিশু সেনগুপ্ত ও নীলাঞ্জনা দাশগুপ্ত ইন্ডাস্ট্রির পাওয়ার কাপল হিসেবেই সকলের কাছে পরিচিত ছিলেন। তাঁদের সম্পর্কে কখনও চিড় ধরতে পারে বা বিচ্ছেদের পথে হাঁটবেন এটা কেউ ভাবতে পারেননি। তাই যিশু-নীলাঞ্জনার বিচ্ছেদের খবর সকলকে চমকে দিয়েছে। সম্পর্কের ভাঙা কাচ জোড়া লাগানোর অনেক চেষ্টা করেছেন শুভাকাঙ্খীরা। কিন্তু, কোনও সুরাহা হয়নি। সোশ্যাল মিডিয়ায় নীলাঞ্জনা খুবই সক্রিয়। ঘরে-বাইরে একাই সামলাচ্ছেন সেই ইঙ্গিত তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টেই বারবার স্পষ্ট হয়ে ওঠে। নীলঞ্জনার চলার পথে তাঁর সারথী দুই মেয়ে সারা ও জারা। ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে ফের ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট করলেন নীলাঞ্জনা। এবার তাঁর পোস্টে রয়েছে বিয়ে করার সঠিক সময়ের ইঙ্গিত।
ইনস্টা স্টোরিতে নীলাঞ্জনার করা পোস্টের বাংলা তর্জমা করলে হয়, 'কেউ ২১ বছরে স্নাতক হয় কিন্তু, ভাল চাকরির জন্য ১০ বছর অপেক্ষা করতে হয়। কারও আবার পেটে বিদ্যা নেই কিন্তু ২৫ বছরেই হয়ে যায় কোটিপতি। অনেকে আবার ২৫ বছরে বিয়ে করে পাঁচ বছর পরই ডিভোর্স দেয়। কিন্তু, ৪০ বছরে বিয়ে করে বাকি জীবন আদরে-সোহাগে কাটানো মানুষও আছে। একটা জিনিস মনে রাখতে হবে তোমার দেরি হয়নি বা সময়ের আগেও কিছু হয়নি। শুধু বুঝতে হবে তুমি যেখানে আছ সেখানেই থাকার কথা ছিল'।
এই পোস্ট যে নীলাঞ্জনা যে ব্যক্তিগত জীবনের অভিমানের বর্হিপ্রকাশ সে কথা বলাইবাহুল্য। একইসঙ্গে এই পোস্টে আরও একটি বিষয় বেশ হাইলাইটেড, সেটা হল বিয়ে। নীলাঞ্জনার পোস্টে কিন্তু, স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে ৪০-এর পরও বৈবাহিক জীবনে সুখ লাভ সম্ভব। তাহলে যিশুকে ভুলে জীবনের নতুন জার্নি শুরু করছেন নীলাঞ্জনা? সে তো সময় বলবে। সম্পর্কের ভাঙা-গড়ার খেলা নিয়ে নীলাঞ্জনা যে নতুন ইঙ্গিত দিলেন তা নিয়ে যে সাধারণ মানুষের মনে কৌতুহল সৃষ্টি হবে সে কথা বলার অবকাশই নেই।
আরও পড়ুন: 'বাড়িতে বিরিয়ানি থাকতেও হোটেলের পচা ভাত খাওয়া একটা রোগ; ডিভোর্স প্রসঙ্গে বিস্ফোরক 'মিঠিঝোরা'-র রিয়া
প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরেই যিশু-নীলাঞ্জনার বিচ্ছেদ নিয়ে চর্চা তুঙ্গে। বেশ কিছু ঘটনায় শুরু হয়েছে জল্পনা। এবার ২০ বছরের দাম্পত্যে সত্যিই ইতি টানতে চলেছেন যিশু-নীলাঞ্জনা? টলিপাড়ার প্রযোজকের লেটেস্ট পোস্ট তো সেই ইঙ্গিতই দিচ্ছে। উল্লেখ্য, দিনকয়েক আগে ছোট মেয়ে জারার জন্মদিনের পার্টিতেও দেখা মেলেনি যিশু সেনগুপ্তের।