ছোট পর্দার পরিচিত মুখ পায়েল দেব। একাধিক বাংলা ধারাবাহিকে নানা চরিত্রে তাঁর অভিনয় বারবার দর্শকের মন জয় করে। 'রাঙা বউ' -এর সীমন্তিনীকে এবার বাস্তবে রাঙা বউয়ের সাজে দেখার অপেক্ষা। আগামী ৫ ডিসেম্বর মনের মানুষ শিখর টন্ডনের সঙ্গে বাঙালি ও পঞ্জাবি মতে বিয়ে সারবেন। আইবুড়ো ভাতের ভুড়িভোজের ছবি তো সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করছেন পায়েল। এখন চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি, যেখানে চরম ব্যস্ততা। বাড়িতে মা, বাবা আর পায়েল ছাড়া কেউ নেই। তাই বিয়ের যাবতীয় কাজ নিজের হাতেই সামলাতে হচ্ছে। সেই জন্য আপাতত সিরিয়াল থেকেও খানিক বিরতি নিয়েছেন। এর মাঝেই কী ভাবে রাজর্ষি দে-র আপকামিং ছবি 'ও মন ভ্রমণ'-এ শ্যুটিং করলেন? তাছাড়া বিয়েতে কেমন সাজবেন হবু কেন? ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস অনলাইনে খুল্লামখুল্লা পায়েল দেব।
সিনেমার শ্যুটিং প্রসঙ্গে বলেন, 'কাজের জায়গা তো বন্ধ করলে চলে না। সবকিছু সামলে কাজটা করতেই হয়। এখানে আমার ছোট একটা চরিত্র রয়েছে। তাই খুব বেশি সময় দিতে হয়নি। তিন থেকে চারদিন শ্যুটিং করেছি। সেই জন্য অসুবিধা হয়নি। এখন তো সিরিয়াল থেকে ছুটি নিয়েছি। সেই জন্য সময়টা অ্যাডজাস্ট হয়ে গিয়েছে। বিয়ের সবটাই নিজেকে সামলাতে হচ্ছে। মা-বাবা তো পুরোটা পারবে না। ধারাবাহিকটা বন্ধ আছে বলেই সিনেমার শ্যুটিংয়ের জন্য তিন-চারদিন সময় বের করতে পেরেছি।'
শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে কী বাকি রয়েছে? পায়েল বলেন, 'এখন তো মনে হচ্ছে আরও একটা মাস সময় পেলে ভাল হত। এখনও ৫% কেনাকাটা বাকি রয়েছে। আইবুড়ো ভাত খেতেও তো কত সময় যাচ্ছে (হাসি)। সকলে বলছে মোটা হয়ে যাচ্ছি। কিন্তু, আমি এটা নিয়ে আপাতত ভাবছি না। সবাই ভালোবেসে আমাকে আইবুড়ো ভাত খাওয়াচ্ছে। কারও ইমোশনকে আমি হার্ট করতে চাই না। বিয়ে তো একবারই হয়। আর বিয়ে মানে দুটো পরিবারের মানুষগুলোর ইচ্ছা-অনিচ্ছা জড়িয়ে থাকে। আমি একটা বিষয়ে খুব খেয়াল রাখি যাতে কারও আবেগে আঘাত না লাগে'।
আরও বলেন, 'একদিনে ১৫ টা নেমতন্ন সেরেছি। তারপরও গিয়েছি। ওয়েডিং ব্লাউজের ট্রায়াল ছিল। প্রচণ্ড শরীর খারাপ নিয়েও আমি আইবুড়ো ভাত খেয়েছি। বিয়ে উপলক্ষেই তো এই আনন্দ। ১৫ ডিসেম্বরের পর কাজে ফেরার পরিকল্পনা আছে। কারণ এখনই আমাদের হানিমুনে যাওয়ার কোনও প্ল্যান নেই। দু-একমাস পর যাব। তবে কোথায় যাব সেটা পুরো আমার বর প্ল্যান করেছে। আমাকে সারপ্রাইজ দেবে। তবে বিয়ের পর কয়েকটা মন্দিরে যাব পরিবারের সকলের সঙ্গে'।
বিয়েতে কেমন সাজবেন পায়েল? অভিনেত্রীর স্পষ্ট জবাব, 'এনগেজমেন্টে আমি গরারা পরছি। এটা পাকিস্তানি ওয়েডিংয়ের একটা পার্ট। আমার শ্বশুরবাড়ি পঞ্জাবি। কিন্তু, পূর্বপুরুষের বাড়ি লাহোরে, তবে মুসলিম নয়। পিওর পঞ্জাবি। সেই জন্যই আমি এই ড্রেসটা বেছেছি। বিয়েতে আদ্যোপান্ত বাঙালি সাজ। বেনারসি, শোলার মুটুক, লাল চেলি যাবতীয় সব থাকবে। শাঁখা-পলার সঙ্গে শ্বশুরবাড়ির নিয়ম অনুসারে চূড়া পরতে হবে। আর রিসেপশন একদন ঘরোয়াভাবে হবে। আমার মায়ের ইচ্ছে ছিল বিয়ের দিন বৃদ্ধাশ্রমের দাদু-দিদাদের খাওয়াব। কিন্তু, ওই দিন একটু সমস্যা হওয়ার জন্য সেটা বউভাতের দিন ব্যবস্থা করেছি। ১০০ থেকে ১৫০ জন অতিথি নিমন্ত্রিত রয়েছেন। ওই দিনও আমি শাড়িই পরব'।